করোনায় এনজিও অফিস খোলা না বন্ধ !!
জুলাই ২৪ ২০২১, ২০:৫১
করোনায় এনজিও অফিস খোলা না বন্ধ !!
আজকের ঝলক নিউজ এনজিও প্রতিনিধি :
পবিত্র ঈদ-উল-আযহার পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন । এর আগে গেজেটে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে এনজিওদের ক্ষুদ্র ঋণ চলমান রাখার ব্যপারে নির্দেশনা দিতে দ্বায়িত্ব দেয়া হয় মাইক্রো রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ) কে । যদিও এখনো কিছু কিছু এনজিও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন । কিছু কিছু এনজিও তাদের কালেকশন চলমান রেখেছে । কিছু এনজিও কাল সিদ্ধান্ত নেবেন । আবার কিছু এনজিও ৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রেখেছেন । এ বিষয় স্পষ্ট নির্দেশনা চান এনজিও কর্মীরা ।
এ বিষয় এনজিও বিষয়ক গবেষক মো: জহিরুল ইসলাম বলেন এনজিও কর্মীরা যেনো কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয়
বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ এনজিও কর্মী ক্ষুদ্র ঋণের সাথে জড়িত । দেশের গ্রামীন অর্থনীতি সচল রাখার ক্ষেত্রে এনজিওদের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাপক ভূমিকা রাখছে । করোনা মহামারিতে লকডাউনের কারনে এনজিওদের ক্ষুদ্র ঋণ হুমকির মুখে । ছোট ছোট সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে কর্মীদের বেতন বোনাস দিতে হিমশিম খাচ্ছে । কিছু কিছু এনজিও এবছর কর্মীদের ইনক্রিমেন্ট দেয়নি । আবার কিছু এনজিও ব্যায় কমাতে সংস্থার কর্মীদের বেতন কমিয়েছে ও বেতন রিফান্ড করেছে ।
মৌসুমী ঋণের মধ্যে পবিত্র ঈদ উল আযহা অন্যতম এই সময় গরু ব্যবসার জন্য অনেক এনজিও বিনিয়োগ করেছেন যেখানে সদস্য প্রতি ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকাও ব্যক্তিকে ঋণ দেয়া আছে যা ঈদ-উল-আযহার গরুর বিক্রি করে সদস্যরা এককালীন পরিশোধ করবে ।
এমতাবস্থায় লকডাউন শিথিল হওয়ায় সেই ঋণ কালেকশনে যেতে পারে অনেক সংস্থা । দয়া করে তাদের হয়রানি করবেন না ।
প্রশাসনের প্রতি :
আপনারা যেমন সরকারি চাকুরি করে মাস শেষে বেতন নেন এনজিও কর্মীদের ক্ষুদ্র ঋণ আদায় করে বেতন নিতে হয় । সুতরাং তাদের কাজকে শ্রদ্ধা করুন । কোনো কর্মীকে হয়রানি করবেন না । যদি কোনো সংস্থার কর্মীকে আপনি মাঠে কিস্তি আদায় করতে দেখেন মনে করবেন সেটা সংস্থার সিদ্ধান্ত, কর্মীকে জেল জরিমানা না করে আপনি সংস্থার অফিসারদের সাথে বা প্রধানদের সাথে কথা বলুন । এমআরএ অথবা পিকেএসএফ’র সাথে কথা বলুন । কর্মীদের জেল জরিমানা করবেন না তাদের হয়রানি করা থেকে বিরত থাকুন ।
সংস্থা প্রধান ও অফিসারগণের প্রতি:
কর্মীদের মাঠে পাঠালে তার দ্বায়িত্ব নিতে শিখুন তার খোঁজ খবর রাখুন, প্রশাসনকে বুঝান এই কালেকশন আপনারা কেনো করছেন । কর্মীদের বিপদে তাদের পাশে দ্বাঁড়াবেন, আইনগত সহযোগিতা দরকার হলে তা দিবেন । প্রয়োজনে কর্মীর সাথে সরাসরি মাঠে থাকবেন । কোনো কর্মী যাতে জেল জরিমানার সম্মুখিন না হয় সেটা খেয়াল রাখবেন । যদি কর্মীর নিরাপত্তা ও প্রশাসনের সাথে, সদস্য, স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় না করতে পারেন কর্মীদের মাঠে পাঠাবেন না ।
সাংবাদিক ও স্টেকহোল্ডারদের প্রতি :
কোনো এনজিও কর্মীর জেল জরিমানার ছবি দিয়ে পত্রিকায় প্রকাশ করবেন না । এনজিও কর্মীরা চোর, ডাকাত, লুটেরা না । কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা মাঠে গিয়ে কিস্তি কালেকশন করছে সুতরাং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন । পারলে তাদের সহযোগিতা করুন । এনজিও কর্মীরা কোনো অন্যায় করলে কোনো অপরাধ করলে তা তুলে ধরতে পারেন ।
আরো পড়ুন
এনজিও কর্মীরা যেন হয়রানি না হয়
আমরা এনজিও কর্মী; শুধু কাজ করি
এনজিও কর্মীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
ভিডিও দেখুন