অস্বস্তিতে আছেন বেসরকারী চাকুরিজীবীরা

Spread the love

অস্বস্তিতে আছেন বেসরকারী চাকুরিজীবীরা; বিশেষ করে এনজিও কর্মী ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা আছেন বেশি সমস্যায় ।

আজকের ঝলক নিউজ : 

নিজস্ব প্রতিনিধি : জানাগেছে লকডাউনে চরম অসস্তিতে আছেন বেসরকারী চাকুরিজীবীরা । গতবছর লকডাউন হলে, সাধারণ ছুটি হয়ে যাওয়ায় সকল প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবীরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করেছিলেন বিধায় তেমন কোনো সমস্যা ছিলোনা, কিন্তু এবারের চিত্রটি ভিন্ন । লকডাউন হলেও কর্মস্থল ছাড়ার অনুমতি না থাকায় চরম বিপাকে পরেছেন কর্মীরা ।

বিস্বস্ত সূত্রে জানাগেছে বিপাকে আছেন এনজিও কর্মীরা

১.  অনেক অফিস আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় কর্মীদের অফিসের বাহিরে ব্যাচেলর অবস্থান করতে হয় যারা বিভিন্ন হোটেল ও ম্যাচে খেয়ে থাকেন, লকডাউনে হোটেল ও ম্যাচ বন্ধ থাকায় তাদের খাওয়ার ক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পরতে হচ্ছে বিশেষ করে রমজানের সেহরি খেতে বেশী সমস্যা হচ্ছে ।

২. লকডাউনের কারণে বন্ধ ঘোষণা করলেও কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের অফিসের কাজ গোপনে চালু রেখেছেন যার জন্য তাদের মাঝে মাছে অফিসে ও ফিল্ডে যেতে হচ্ছে তাই তারা আক্রান্ত হওয়ার আতংকে আছেন ।

৩. অনেক সংস্থার টার্গেটে বেতন হওয়ার কারণে মাসশেষে সঠিকভাবে সম্পূর্ণ বেতন পাবেন কিনা সে নিয়ে আছেন চরম উৎকন্ঠায়, এছাড়া সামনে রয়েছে ঈদ, সংস্থার কিস্তি ঠিক মতো আদায় না হলে সঠিকভাবে বেতন ও বোনাস পওয়া নিয়ে আছে দুশ্চিন্তা ।

৪. কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের মাঠের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখলেও কোনোকোনো এনজিও নিজস্ব  প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য কর্মীদের চাপ দিচ্ছেন বিশেষ করে সেমাই, পরিধেয় বস্ত্র, খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদি । লকডাউন থাকার কারণে এসব বিক্রিতেও হচ্ছে সমস্যা কর্মীদের।

৫. গোপনে কিছু কর্মীদের মাঠে যেতে হলেও তাদের নেই কোনো মুভমেন্ট পাশ তাই নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে যেতে হচ্ছে । জানা গেছে ইতিমধ্যে বেশ কিছু এনজিওকে নির্দেশ অমান্য করে ঋনের কিস্তি আদায় করার জন্য জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত ।

এসব বিষয় সঠিক সিদ্ধান্ত ও কর্মীরা যাতে কোনোপ্রকার ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তারজন্য সরকার ও এনজিও উদ্যোগতাদের যৌথ উদ্যোগ খুবই জরুরী ।

চরম সমস্যায় আছেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা

লকডাউনের মধ্যেও বিক্রয় প্রতিনিধিদের সেল টার্গেট রয়েছে, কিন্তু দোকান খোলা না থাকায় তা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছেনা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন ‘‘শুধু  মেডিকেল সেক্টর ছাড়া বাকি বিক্রয় প্রতিনিধিরা খুবই সমস্যার মধ্যে আছেন । এমনিতে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ আর বেচা বিক্রি তেমন না থাকায় সেল হচ্ছেনা আর পুলিশের হয়রানির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে । উপরের কর্মকর্তারা শুধু টার্গেটের জন্য চাপ দিচ্ছে কিন্তু মাঠের অবস্থা দেখছেনা’’ ।

বেসরকারী চাকুরিজীবীদের নেই কোনো বীমার ব্যবস্থা তাই তারা করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসা ও মৃত্যু হলে তাদেরর পরিবার পরবে চরম বিপাকে । তাই বেসরকারী চাকুরিজীবীদের নিয়ে সরকারের প্রনোদনা বিষয় বিশেষ নজর দেয়ার দাবী জানিয়েছেন কেউ কেউ ।

আরো পড়ুন

বাংলাদেশের এনজিও সমিকরণ

করোনায় চাকুরির ঝুঁকিতে আছেন এনজিও কর্মীরা

ভিডিও দেখুন : https://www.youtube.com/watch?v=3FKpbgOS-Hc&list=RDMM3FKpbgOS-Hc&start_radio=1

 



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »