এনজিও চাকুরীর ২০ টিপস
এনজিও ক্যারিয়ারে করনীয় ও বর্জনীয়
মে ২৩ ২০২৪, ১০:০৩
যদি এনজিওতে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে নিম্নের বিষয়গুলি মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
১. উদ্ধর্তনদের সাথে বেয়াদবি ও তর্কে জড়াবেন না।
২. বাৎসরিক বাজেট কে প্রতিদিনের বাজেটে ভাগ করে কাজ করবেন দেখবেন অনায়াসে লক্ষে পৌছে যাবেন।
৩. কমন কারন ছাড়াও অঞ্চল ভিত্তিক কারনে বকেয়া পড়ে। সেই কারনগুলো পর্যাবেক্ষন করে ঋণ বিতরন করবেন। মনে রাখবেন দু একটি বাদে অধিকাংশ বকেয়াই যাচাই বাছাই এর অভাবে পড়ে। মনের কাছে সংশয় হলে কোন ভাবেই ঋণ বিতরণ করবেন না। একমাত্র সভানেত্রী বা এলাকার নিদ্দিষ্ট ব্যক্তির মতামতে সদস্য যাচাই বাছাই করবেন না।
৪.আপনার ঋণ যাচাই বাছাই করে বস যেন বাদ দিতে না পারে। মনের কাছে চ্যালেন্স রাখবেন।
৫. বসের কাছে অজানা বা অস্পষ্ট কার্যক্রম গুলোর পরামর্শ নিবেন।
৬. নিজের প্রচেষ্টা দিয়ে বকেয়া আদায় করবেন। দুষ্ট সহকর্মীর পরামর্শে বসকে বকেয়া বাড়ী নেওয়ার চেষ্টা করবেন না কারন বস গেলে আপনার দায়ভার কমে গেলেও ঔ বকেয়া না উঠার সম্ভবনা থাকে কেননা আপনার মত কাকুতি মিনতি বা প্রয়োজনে রুক্ষ ব্যবহার বস করতে পারে না। ৬. অতৃপ্ত, কুটকৌশলী, চামড়া মোটা, লজ্জাহীন,বেয়াদব, কাজে ফাকি,উদ্ধর্তনদের দুর্বলতা খোজা, একজনের কথা অন্যজনের কাছে লাগানো, এসব কর্মী হতে দুরে থাকবেন।
৭. বসের কোন পরামর্শ পছন্দ না হলে বা ভুল মনে হলে ব্যক্তগত ভাবে বুঝিয়ে বলবেন।
৮. শাখায় দল পাকানো স্টাফদের থেকে দুরে থাকবেন মনে রাখবেন দল পাকিয়ে সাময়িক সুবিধা অর্জন করতে পারলেও আপনার ভবিষ্যত উজ্জল হবে না।
৯.অন্য সংস্থার সুযোগ সুবিধা দেখে নিজের সংস্থার প্রতি বিরুপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।
১০. এনজিওতে ৯৫% চাকুরিচ্যুত হয় নারী কেলেংকারি,অর্থ আত্নস্নাত ও অযোগ্যতার কারনে সুতরাং এসব হতে বিরত থাকুন , নিজের সামর্থের সবটুকু দিয়ে কাজ করুন।
১১. অনেক সময় মনের বিরুদ্ধে ডিউটি করতে হয়। ভালো না লাগলেও হাসিমুখে বরন করে নিবেন, ভবিষ্যতে ভালো ফলাফল পাবেন। ১২.গুরুত্ব পূর্ণ কারন ছাড়া বাড়ী হতে ছুটি নেওয়ার অভ্যাসটা ত্যাগ করবেন কেননা বসেরা এই ছুটিগুলো খুবই বিরক্ত ও ভালো চোখে দেখেন না।
১৩. নিজের কাজ শেষ করে দুর্বল স্টাফদের কাজে সহযোগিতা করেন।
১৪.বসের সাথে অবসরে সময় দিবেন। প্রয়োজনে কাজে সহযোগিতা করবেন।
১৫. বসের আগে অফিস শুরু এবং বসের পরে অফিস শেষ করার চেষ্টা করুন।
১৬. শাখায় সকলের সাথে সৌহাদ্যপুর্ন সম্পর্ক বজায় রাখবেন।
১৭. সর্বপরি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে না হলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু ভোগ করতে পারবেন না।
ভোগবাদ এবং কক্সবাজারে এনজিও/সিএসও
১৮. হুটহাট করে সংস্থা পরিবর্তন করবেন না। দীর্ঘদিন একই সংস্থায় থাকলে যখন প্রমোশন হওয়া চালু হবে দেখবেন আস্তে আস্তে অনেক দুর চলে এসেছেন।
১৯. সংস্থার নীতিমালা অনুয়ায়ী দীর্ঘদিন একই সংস্থায় চাকুরি করলে আপনার অনেক ভুলভ্রান্তি সংস্থা সহজ ভাবে দেখে এবং পিএফ,গ্রাচ্যুইটি সহ অন্যন্য অনেক সুবিধা অর্জিত হবে যা ভবিষ্যতে সন্তানদের জন্য কিছু করে যেতে পারবেন।
২০. সর্বপরি যেখানে কাজ করেন সেই প্রতিষ্টানের প্রতি আস্থা রাখুন।
https://www.youtube.com/watch?v=ZV_C7mJdmXc&t=187s
সংকলন:
আবদুর রহমান ফরিদ, কোস্ট ফাউন্ডেশন।