প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের নিয়ম কি?
সেপ্টেম্বর ১৮ ২০২৪, ০৯:২২
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের নিয়ম কি?
বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৭ ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হওয়ার জন্য যে শর্তাবলী আছে সেগুলোর মধ্যে দুটি হলো রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগ জমা দেওয়া আর সংসদ সদস্য পদে না থাকা।
গত ৫ই অগাস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণ অনুযায়ী, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং এর পরের দিন তিনি দ্বাদশ সংসদ ভেঙ্গে দিয়েছেন।
আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ কাজী জাহেদ ইকবাল বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যদি তর্কের খাতিরেও ধরে নেই শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি, তবে এই বিষয়টি তো স্টেট নেসেসিটি থিউরিতে চলে গেছে”।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রধানমন্ত্রী আরেকজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে যাবেন।
মি. ইকবাল বলেন, “উনি তো কারো কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের অপেক্ষা করেন নি। তিনি তো দেশ ছেড়ে গেছেন। এরপর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়েছে। সংসদ ভাঙার পর ওনার তো প্রধানমন্ত্রীত্ব করার আর কোন সুযোগ থাকে না”।
এই বিষয়টি নিয়ে প্রথম ধোঁয়াশা তৈরি হয় গত মাসে শেখ হাসিনা পুত্র জয়ের বক্তব্যের জের ধরে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থান বা যুদ্ধ মুহূর্তে পদত্যাগের অর্থ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করা না। সংবিধানেও সেটা বলা নেই।
সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না বিবিসি বাংলাকে বলেন, “নতুন একটা সরকার গঠনের এক মাস পরে এসে এই প্রশ্ন গুরুত্ব বহন করে না শেখ হাসিনা পদত্যাগ সঠিকভাবে হয়েছে কী না”।
“প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিছে কী দেন নাই, এটা বলার একমাত্র এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। তিনি যেহেতু ওই দিনই বলেছেন শেখ হাসিনা তার কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন, সুতরাং এখন অস্বীকার করলেও পদত্যাগ কার্যকর হতে কোন বাঁধা নেই”, বলছিলেন মি. পান্না।