ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল

Spread the love

ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল

আজকের ঝলক নিউজ।

ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে ঋণের কিস্তি, সঞ্চয় ও ডিপিএস -এর টাকা বকেয়া পড়া একটি কমন বিষয়। প্রতিটি ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের উচিৎ বকেয়া আদায়ের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বকেয়া তো কমেই না, বরং আরো বকেয়া বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে যে সকল ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তা নিম্নে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো।
(১) পকেট কিস্তি : পকেট থেকে টাকা দিয়ে বকেয়া আদায় করা। এটা বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল। কর্মীর বেতন থেকে বা কর্মীর ব্যক্তিগত টাকা থেকে বকেয়া আদায় করা যাবে না। কর্মীর পকেট থেকে বকেয়া টাকা দিলে বকেয়া আরো বৃদ্ধি পাবে। কারন যে টাকা কর্মী পকেট থেকে দিয়েছেন সেটা আদায় করতে গিয়ে তার নিয়মিত কাজ সঠিক ভাবে করতে সমস্যায় পড়বেন। ঐ কর্মী ছাড়া অন্য কারো ঐ বকেয়া আদায়ের গুরুত্ব থাকবে না। সদস্যদের সাথে কর্মীর ব্যক্তিগত লেনদেন হওয়ার কারনে প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের সম্ভাবনার পরিবেশ তৈরি হয়।
(২) এক সদস্যর টাকা দিয়ে অন্য সদস্যর কিস্তি আদায় দিয়ে বকেয়া কমানো। এটা বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে এবং বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের পরিবেশ তৈরি হবে।
(৩) রিশিডিউল করে বকেয়া আদায় না করা। রিশিডিউল করলে ঋণ গ্রহীতা হাতে টাকা না পাওয়ার কারনে নতুন ঋণ নিয়ে আবারও সমস্যা তৈরি হবে।
(৪) নন ক্যাশ : নন ক্যাশ অথাৎ যে কিস্তি ফিল্ড থেকে আসেনি কিন্ত অফিস তহবিল আদায় দেখানো হয়েছে। এটা বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে এবং বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের পরিবেশ তৈরি করবে।
(৫) ঘন ঘন সঞ্চয়ের সাথে বকেয়া সমন্বয় করে বকেয়া কমানো, এটা বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল।
(৬) কর্মীদের অবাস্তব বকেয়া আদায়ের টার্গেট প্রদান। টার্গেট বাস্তব সম্মত হওয়া উচিৎ। এটা বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল।
(৭) প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টের বকেয়া আদায়ে মাঠ পর্যায়ে যথেষ্ট গুরুত্ব না দেওয়া এবং অন্যবিধ কর্মকান্ডে অধিক জড়িয়ে থাকা।
(৮) বকেয়া পড়ার জন্য কর্মী / শাখার কর্মকর্তাদের একতরফা ভাবে দায়ী করার প্রবনতা।
(৯)চলতি বকেয়া রোধে বিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বকেয়া পড়ার সাথে সাথেই যথা সম্ভব দ্রুত আদায়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
(১০) বকেয়া তথ্য গোপন করা যাবে না। বকেয়ার তথ্য গোপন করলে প্রতিষ্ঠানের বকেয়া আরো বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হবে।
(১১) বকেয়া আদায়ের ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি না করা এবং সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দৃঢ় কমিটমেন্ট না থাকা।
(১২) বকেয়া আদায়ে কর্মীদের সফলতাকে মুল্যায়ন না করা।
(১৩) বকেয়ার জন্য বকেয়া সদস্যর দায় কর্মীর উপর দিয়ে দেওয়া এবং কর্মীকে মানসিক চাপে রাখে বকেয়া আদায় করা। এটা বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল। এতে অফিসের পরিবেশ নষ্ট হয় এবং প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ে।
(১৪) কর্মীর সাথে খারাপ ব্যবহার করলে বকেয়া আদায় কমে যেতে পারে।
(১৫) বকেয়া আদায়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান না করা।
(১৬) বকেয়া পড়ার প্রকৃত কারন না জেনে কর্মীকে একতরফা ভাবে চাপ প্রয়োগ করা। এটা বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল।।
বকেয়া আদায়ের বাস্তব সম্মত একটি পরিকল্পনা থাকতে হবে। উপরে উল্লেখিত ভুল গুলো বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে করা যাবে না। এতে প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে পরে যেতে পারে।

এনজিও কর্মীকে কুপিয়ে টাকা ছিনতাই

https://www.youtube.com/watch?v=eXZyBLC_hLk&t=13s

লেখক
কে, এম, রেজাউল করিম (রেজা)



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »