এনজিও কর্মীরা অধিকার বঞ্চিত: এনজিও কর্মীদের অধিকার রক্ষায় ট্রেড ইউনিয়নের মতো কোন কমিটি/সংগঠন গঠন করার মতো বাধ্যবাধকতা থাকা দরকার

এনজিও কর্মীদের অধিকার রক্ষায় ট্রেড ইউনিয়নের মতো কোন কমিটি নেই

Spread the love

আজকের ঝলক নিউজ :

স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে এনজিওগুলো । পৃথিবীর ১ নম্বর এনজিও ব্র্যাক বাংলাদেশের । গ্রামীণ ব্যাংক হিসাবে নাম হলেও ক্ষুদ্র ঋণের জন্য পেয়েছেন পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক নোবেল এ্যাওয়ার্ড । প্রশ্ন থেকে যায় এতো উন্নয়ন হলেও দেশে এনজিও শ্রমিক/কর্মীদের ভাগ্যের কতটুকো উন্নয়ন হয়েছে ? । এর উত্তর তারা দিতে পারবেন যারা সরাসরি কাজ করতেছেন ।

বরং বলা যেতে পারে এনজিও কর্মীরা কিন্তু অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত,  কারণ মানব-সম্পদ নীতিমালা এমনভাবে অনুমোদন দেয়া হয় যেখানে কর্মীদের কথা বলার খুব একটা সুযোগ থাকেনা । সেক্ষেত্রে কর্মীর অধিকার লঙ্ঘিত হলে খুব একটা কিছু করারও থাকেনা । এমনো কিছু এনজিওতে ঘটে যে এক দিনের নোটিশে কর্মীকে চাকুরিচ্যুত করা হয়, বেতন কর্তন করা হয় এমনকি আত্নমযাদা ক্ষুন্ন হয় এমন বাক্যও শুনতে হয় ।

তার মানে কর্মীরা জানেন আগামী কাল যদি প্রতিষ্ঠান প্রধান না চান তাহলে তাতে বাড়ি ফিরে যেতে হতে পারে । বিধায় চুপ থাকতে হয় । যদিও ‍কিছু ব্যতিক্রম এনজিও আছে তাদের জন্য এ কথাটি হয়তো মানাসই নয় । তবে বেশিরভাগ কর্মীরাই অনিশ্চয়তায় ভোগেন । আবার যাদের পিছুটান আছে তাদের তো সব মুখ বুজে সহ্য করতে হয় ।

গার্মেন্টে দৈনিক ৮ ঘন্টার উপরে শ্রম দিলে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক পান শ্রমিকরা, বিক্রয় প্রতিনিধিরা অতিরিক্ত সেল দিতে পারলে বোনাস পান । কিন্তু এনজিও কর্মীরা দিন রাত পরিশ্রম করলেও তাদের কোন অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ নেই ।

এসকল বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য কোন তাদের সংগঠন নেই । তাই আইন/নীতিমালা পরিবর্তন করে এনজিও নীতিমালায় এনজিও কর্মীদের অধিকার রক্ষায় ট্রেড ইউনিয়নের মতো কোন কমিটি/সংগঠন গঠন করার মতো বাধ্যবাধকতা থাকা দরকার । এ বিষয় এনজিও প্রতিনিধি ও সরকারের এনজিও বিষয়ক দফতরগুলো আলোচনা শুরু করতে পারে ।

লেখক : মোঃ জহিরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক-জেন্ডার ও এ্যাকুয়াকালচার ।

https://www.facebook.com/mdjahirulislamcom/



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »