এনজিও কর্মীরা যেন হয়রানি না হয়

Spread the love

আজকের ঝলক নিউজ

বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ এনজিও কর্মী ক্ষুদ্র ঋণের সাথে জড়িত । দেশের গ্রামীন অর্থনীতি সচল রাখার ক্ষেত্রে এনজিওদের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাপক ভূমিকা রাখছে । করোনা মহামারিতে লকডাউনের কারনে এনজিওদের ক্ষুদ্র ‍ঋণ হুমকির মুখে । ছোট ছোট সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে কর্মীদের বেতন বোনাস দিতে হিমশিম খাচ্ছে । কিছু কিছু এনজিও এবছর কর্মীদের ইনক্রিমেন্ট দেয়নি । আবার কিছু এনজিও ব্যায় কমাতে সংস্থার কর্মীদের বেতন কমিয়েছে ও বেতন রিফান্ড করেছে ।

NGO

কঠোর লকডাউনের মধ্যে অনেক এনজিও মাসিক কিস্তি কালেকশন করেছে । এনজিওদের বেশ কিছু সৃজনী ঋণ আছে বিশেষ করে  মৌসুমী ঋণের মধ্যে পবিত্র ঈদ উল আযহা অন্যতম এই সময় গরু ব্যবসার জন্য অনেক এনজিও বিনিয়োগ করেছেন যেখানে সদস্য প্রতি ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকাও ব্যক্তিকে ঋণ দেয়া আছে যা ঈদ-উল-আযহার গরুর বিক্রি করে সদস্যরা এককালীন পরিশোধ করবে ।

এমতাবস্থায় লকডাউন শিথিল হওয়ায় সেই ঋণ কালেকশনে যেতে পারে অনেক সংস্থা । দয়া করে তাদের হয়রানি করবেন না ।

প্রশাসনের প্রতি :

আপনারা যেমন সরকারি চাকুরি করে মাস শেষে বেতন নেন এনজিও কর্মীদের ক্ষুদ্র ঋণ আদায় করে বেতন নিতে হয় । সুতরাং তাদের কাজকে শ্রদ্ধা করুন । কোনো কর্মীকে হয়রানি করবেন না । যদি কোনো সংস্থার কর্মীকে আপনি মাঠে কিস্তি আদায় করতে দেখেন মনে করবেন সেটা সংস্থার সিদ্ধান্ত, কর্মীকে জেল জরিমানা না করে আপনি সংস্থার অফিসারদের সাথে বা প্রধানদের সাথে কথা বলুন । এমআরএ অথবা পিকেএসএফ’র সাথে কথা বলুন । কর্মীদের জেল জরিমানা করবেন না তাদের হয়রানি করা থেকে বিরত থাকুন ।

সংস্থা প্রধান ও অফিসারগণের প্রতি: 

কর্মীদের মাঠে পাঠালে তার দ্বায়িত্ব নিতে শিখুন তার খোঁজ খবর রাখুন, প্রশাসনকে বুঝান এই কালেকশন আপনারা কেনো করছেন । কর্মীদের বিপদে তাদের পাশে দ্বাঁড়াবেন, আইনগত সহযোগিতা দরকার হলে তা দিবেন । প্রয়োজনে কর্মীর সাথে সরাসরি মাঠে থাকবেন । কোনো কর্মী যাতে জেল জরিমানার সম্মুখিন না হয় সেটা খেয়াল রাখবেন । যদি কর্মীর নিরাপত্তা ও প্রশাসনের সাথে, সদস্য, স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় না করতে পারেন কর্মীদের মাঠে পাঠাবেন না ।

সাংবাদিক ও স্টেকহোল্ডারদের প্রতি :

কোনো এনজিও কর্মীর জেল জরিমানার ছবি দিয়ে পত্রিকায় প্রকাশ করবেন না । এনজিও কর্মীরা চোর, ডাকাত, লুটেরা না । কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা মাঠে গিয়ে কিস্তি কালেকশন করছে সুতরাং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন । পারলে তাদের সহযোগিতা করুন । এনজিও কর্মীরা কোনো অন্যায় করলে কোনো অপরাধ করলে তা তুলে ধরতে পারেন ।

সদস্যদের প্রতি :

সদস্যরা মনে রাখবেন যখন কোথায় আপনি ঋণ পাননি আপনার ভাগ্য উন্নয়নে এই এনজিও কর্মী   ভাইয়েরা আপনার বাসায় গিয়ে সকল প্রসেস করে ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে । আপনি জানেন এই কিস্তি কখন পরিশোধ করার কথা সে সময় কিস্তি পরিশোধ করতে চেষ্টা করুন । যদি কোরবানীর পশু বিক্রি করে কিস্তি দেওয়ার কথা থাকে এনজিও কর্মীদের ডেকে টাকা দিয়ে দিন কারণ আপনার যখন আবার টাকার দরকার হবে তখন এনজিও’র কাছে আপনি টাকা পাবেন । সুতরাং আপনার কারনে যেনো কোনো এনজি কর্মী হয়রানি না হয় সে বিষয় লক্ষ্য রাখা আপনার দ্বায়িত্ব । এনজিও কর্মীরা যদি আপনার কোনো ক্ষতি সাধন করে আপনার সাথে কোনো অপরাধ করে আপনি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন ।

সুতরাং এনজিও কর্মীদের কিস্তি কালেকশনে যাওয়া কোনো অপরাধ নয় । তারা অপরাধী নয় তারা বাধ্য হয়ে মাঠে যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে । বাংলাদেশের বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে সেখানে এনজিও কর্মীরা কর্মসংস্থান করছে এই কিস্তি আদায় করে তাই তারা যেনো সম্মান পায় কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয় ।

লেখক,

মো: জহিরুর ইসলাম

আমরা এনজিও কর্মী; শুধু কাজ করি

করোনা কেড়ে নিলো আরো এক এনজিও কর্মীর প্রাণ

দেশের উন্নয়নে এনজিওদের অবদান

ভিডিও দেখুন  আমাদের চ্যানেলে সাবস্কাইব করুন https://www.youtube.com/watch?v=zA0ZJcdWkRs&t=38s

 



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »