ঝুঁকিতে বেশিরভাগ এনজিও কর্মী
লকডাউনে এনজিও অফিস খোলা !
এপ্রিল ০৫ ২০২১, ২০:৩৮
লকডাউনে এনজিও অফিস খোলা ! ঝুঁকিতে বেশিরভাগ এনজিও কর্মী
আজকের ঝলক নিউজ :
এনজিও বিষয়ক প্রতিনিধি : ১ সপ্তাহের লকডাউনে বেশ কিছু অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা গেছে । তার মধ্যে এনজিও অফিস বন্ধ ও খোলার ব্যাপারে পরিস্কার নির্দেশনা না থাকায় এখনো এনজিওদের অফিসগুলো সিদ্ধান্ত হীনতায় কিছু এনজিও তাদের কাজ বন্ধ রাখলেও অনেকে খোলা রেখেছেন পরবর্তী পদক্ষেপ দেখার জন্য । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এনজিও পরিচালক বলেন, আমরা ১ম দিন অফিস খোলা রেখেছি এবং মাঠে ক্ষুদ্র ঋণ কালেকশন চালাবো । এর পরে পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবো । এদিকে এমআরএ সূত্র অনুসারে অফিস খোলা রাখা যাবে ।
এদিকে লকডাউন বিষয় সরকার প্রজ্ঞাপনে মোট ১১টি বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। গণপরিবহনের আওতায় রয়েছে সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। তবে বিদেশগামী বা বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না। পণ্য-পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরী সেবাদান চালু থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর সমূহের কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা সহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ তাদের কর্মচারী ও যানবাহন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে তাদের প্রয়োজনীয় জনবল নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারবে। শিল্প কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প কারখানার শ্রমিকদের স্ব-স্ব কারখানা কর্তৃক নিজস্ব পরিবহনে আনা-নেয়া করতে হবে। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ অন্তর্ভুক্ত কারখানা গুলিকে শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল চালু করতে হবে।
মানা হচ্ছে এমআরএ নির্দেশনা: পরিপত্রের মাঝে ঋণ বিতরণ প্রদান অব্যাহত রাখতে বলেছেন ।
এদিকে সরকারিভাবে লকডাউন সংক্রান্ত সরকারী নির্দেশনাঃ
১ সপ্তাহের লকডাউন :
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বগতির কারণে এক সপ্তাহের লকডাউন দিতে যাচ্ছে সরকার।
জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিবিসিকে বলেছেন, এক সপ্তাহের এই ‘লকডাউন’ সোম অথবা মঙ্গলবার শুরু হতে পারে। এখনই চূড়ান্ত দিন তারিখের কথা উল্লেখ করেননি মি. হোসেন। তিনি বলছেন, জনগনকে প্রস্তুতি নেবার সুযোগ দেয়া হবে। তবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলছেন, সোমবার থেকে শুরু হবে ‘লকডাউন’।
এ সময় আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকবে। আর কীভাবে এই লকডাউন কার্যকর হবে তার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
তবে ফরহাদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার ও খাবারের দোকান লকডাউনের সময় খোলা থাকবে। সেইসঙ্গে গার্মেন্ট ও অন্যান্য শিল্প-কারখানাগুলো লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
এর কারণ হিসেবে মি. হোসেন বলেছেন কারখানা বন্ধ রাখা হলে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক বাড়িতে ফিরতে শুরু করবে, এতে ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।
তাই কলকারখানা খোলা রেখেই শ্রমিকদের কয়েকটি শিফটে ভাগ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া বইমেলার বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।সরকার বলছে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় ঢেউ সামলানোর জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর পরে সোমবার থেকে শুুরু হলো লকডাউন ।
সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে আছেন কক্সবাজারে কর্মরত এনজিও কর্মীরা বিশেষ করে যারা সরাসরি রহিঙ্গাদের খাদ্য সেক্টরে আছেন, সকল কাজ বন্ধ হলেও তাদের কাজ খোলা থাকবে ।
এদিকে এনজিওতে চাকুরিত কর্মীদের সাথে আলোচনা করলে জানা যায়, লকডাউনে মাঠে ঋণের কিস্তি কালেকশন খোলা থাকলেও তা আদায় করা খুবই কঠিন হবে কারণ মানুষ কিস্তি দিতে চায়না ।এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও অধিকাংশ এনজিওতে কোনো প্রকার ঝুঁকিভাতা চিকিৎসা খরচ নেই ।
নীতি নির্ধাকরা মনে করেন সকল এনজিওদের একটি সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত যাকে কর্মীরা বিভ্রান্ত না হয় এবং ঝুঁকিমুক্ত থাকে।
এদিকে ব্র্যাক একটি সার্কুলার দিয়ে বিষয়টি পুরোপুরি পরিস্কার করেছেন ।
আরো পড়ুন
এনজিও বিষয়ক মন্ত্রনালয় প্রয়োজন
এনজিও কর্মীদের জন্য চাই সমতা ও নায্যতা; প্রয়োজন জিও-এনজিও উদ্যোগ
ভিডিও দেখুন https://www.youtube.com/watch?v=EuMzqzjdK3U