চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভূয়া জন্মসনদ দিয়ে বিবাহ পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কাছিয়াখালি গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৪জুলাই) রাত ১১টায় ওই গ্রামের বাদশা মিয়া জামে মশজিদে দুলারহাটের মোস্তফা কাজি এ বিবাহ সম্পাদন করেন বলে স্থানিয় এক ইউপি সদস্য জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইউপি সদস্য বলেন, বুধবার (১৪জুলাই) রাত ১১টায় ওই মসজিদে ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামালের প্রায় ১৬ বছর বয়সের ছেলে নাগর ও একই ইউনিয়নের ১৮বছরের এক মেয়ের সঙ্গে পারিবারিক সম্মতিতে এ বিবাহ সম্পাদন করা হয়। স্থানিয় গ্রামপুলিশ আরিফ ও সোহাগ জানান, কাছিয়াখালির ফারুক বেপারীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে রিয়াজ দীর্ঘদিন ধরে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাইন জাল করে কম্পিউটারের দোকান থেকে একাধিক ভূয়া জন্মসনদ তৈরী করে প্রত্যেক সনদ বাবদ ৩ থেকে ৫হাজার করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এ জালিয়াতি ব্যবসা করে আসছে। পূর্বেও রিয়াজকে এমন ঘটনায় স্থানিয়ভাবে সালিস বিচার করে সাবধান করার পরেও সে ভূয়া জন্মসনদ তৈরী বন্ধ করেনি। ইউপি সদস্য বাচ্চু মির বলেন মোস্তফা কাজি রিয়াজের তৈরীকৃত ভূয়া সনদ দিয়ে বাল্যবিবাহ সম্পন্নের ঘটনা জানতে পাড়লে তাৎখনিক ওই রেজিস্ট্রি ছিড়ে পুড়িয়ে দেয় এবং ভূয়া জন্মসনদটি ছিড়ে ফেলা হয়েছে।
ভূয়া ও জাল জন্মসনদ দিয়ে বাল্যবিবাহ কিভাবে পড়িয়েছেন এমন প্রশ্নের জাবাবে মোস্তফা কাজি বলেন, আমি ওই বিবাহ পড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য দেয়া হয়েছে। এদিকে নাগরের (বর) মা পারভিন বেগম রিয়াজের তৈরীকৃত ভূয়া ও জাল জন্মসনদটি স্থানিয় গ্রামপুলিশ আরিফের হাতে তুলে দেন। এসময় সংবাদকর্মীদের তিনি বলেন, প্রতিবেশি ফারুকের ছেলে রিয়াজ ২হাজার টাকার বিনিময়ে এ ভূয়া জন্মসনদটি তৈরী করে দিলে গতকাল বুধবার রাতে বাদশা মিয়া জামে মসজিদে এ বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। রিয়াজ ও তার পরিবার বাড়ি না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ভূয়াসনদ দিয়ে বাল্যবিবাহ পড়ানোর অভিযোগ অস্বিকার করে মোস্তফা কাজি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে যাই বলুক আমি এ বিবাহ পড়াইনি। নুরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার সাইন জাল করে রিয়াজসহ একটি চক্র ভূয়া জাল জন্মসনদ ও নাগরিক সনদ তৈরীসহ এলাকায় বল্যবিবাহে সহজ সরল মানুষকে উৎসাহ দিচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান রাহুল বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।