ধর্ষকের সঙ্গে নির্যাতিতাকে ১০ ঘণ্টা বাথরুমে রাখলেন সমাজপতিরা!

সেপ্টেম্বর ২৩ ২০২০, ১৫:২১

Spread the love

# শরীয়তপুরের নড়িয়ার মগর গ্রামে ‘শ্বশুরালয়ে গৃহবধূকে ধ*র্ষ ণ করেছে তার চাচাতো এক দেবর’ এমন অ’ভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী।

# তার অ’ভিযোগ, পু’লিশে না দিয়ে সালিশি সিদ্ধান্তে টানা ১০ ঘণ্টা বাথরুমে অব’রুদ্ধ রাখা হয় ধর্ষকসহ গৃহবধূকে। দফায় দফায় সালিশি মীমাংসার নামে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করে সমাজপতিরা। এ ঘটনায় সংসার ভেঙে যেতে বসেছে গৃহবধূর। এরপর সাতদিন পেরিয়ে গেলেও থা’নায় হয়নি মা’মলা। নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে ভুক্তভোগী পরিবারের।

# ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী আরো জানায়, ‘গত বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি স্ত্রী’কে দেখতে না পেয়ে বাথরুমে আলো দেখে স্ত্রী’কে খুঁজতে সেখানে যান। তিনি বাথরুমের দেখেন স্ত্রী’কে ধ*র্ষ ণ করছে তার বংশীয় চাচাতো ভাই জিহাদ। তখন দরজার বাইরের সিট’কিনি লাগিয়ে চি’ৎকার করলে বাড়ির মানুষ ও এলাকাবাসী ছুটে আসে। ডেকে আনা হয় মে’য়ের পরিবারকে। পর’কী’য়া স’ম্পর্কের অ’ভিযোগ এনে টানা ১০ ঘণ্টা ধর্ষকসহ গৃহবধূকে বাথরুমেই অব’রুদ্ধ করে রাখা হয় তাদের। পরে ধর্ষককে আর্থিক জ’রিমানার সিদ্ধান্ত দিয়ে গৃহবধূকে জিহাদের সাথে বিয়ে পড়ানোর জন্য মে’য়ের পরিবারের হাতে তুলে দেয় মগর গ্রামের সালিশ বিচারকরা। মে’য়ের পরিবার ও জিহাদের পরিবারের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে নেয়া হয় স্বাক্ষর।

# তবে ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানায়, রাতে প্রয়োজন হওয়ায় বাথরুমে গিয়েছি। দেবর জিহাদ বাথরুমে ঢুকে বলে ‘চি’ৎকার করলে ফাঁ’সিয়ে দেবো, তাই আমি চি’ৎকার করিনি। পরে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমাকে জিহাদসহ বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার ত’দন্তসা পেক্ষে বিচার চেয়ে আমি নড়িয়া থা’নায় একটি অ’ভিযোগ দায়ের করেছি বৃহস্পতিবার।’

# এদিকে, ওই গৃহবধূ থা’নায় একটি অ’ভিযোগ দায়ের করলেও ঘটনার ৭দিন পেরিয়ে গেলেও নড়িয়া থা’নায় এখনও কোনো মা’মলা দায়ের হয়নি। ত’দন্তসা পেক্ষে দোষীদের বি’রুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বা’স দিয়েছেন নড়িয়া থা’নার ওসি মোহাম্ম’দ হাফিজুর রহমান।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »