দৈনন্দিন আমলযোগ্য কিছু সফল ইবাদাত।

Spread the love

দৈনন্দিন আমলযোগ্য কিছু সফল ইবাদাত।

স্বাভাবিকভাবেই আমাদের অন্যান্য মাসে রমাদ্বানের মতো এতো বেশী নফল আমল করা হয় না। তবে কিছু ফযিলতপূর্ণ নফল আমল আছে যেগুলো আমরা প্রতিদিন করতে পারি। হাদিস গ্রন্থগুলোতে এসকল আমলের বিশেষ ফযিলত বর্ণিত হয়েছে।

১. শেষ রাতে ক্বিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদের সলাত পড়া, অন্তত ২ রাকাত হলেও। নফল সলাতগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সলাত হচ্ছে তাহাজ্জুদ। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম সর্বোত্তম পন্থাও এই তাহাজ্জুদ। তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়্যাতে ঘুমালে, কোনো কারণে অনিচ্ছাকৃতভাবে উঠতে না পারলেও তাহাজ্জুদের সওয়াব দেওয়া হয়। সুবহান আল্লাহ!!

১. ফরজ নামায শেষে মাসনুন যিকির আযকার;

২. প্রতিদিন ফজর ও আসর সলাতের পর সকাল-সন্ধ্যার যিকির৷ [সকাল সন্ধ্যায় আযকারগুলো কি কি সে সম্পর্কিত একটা ছোট বইয়ের পিডিএফ লিংক কমেন্টে দেওয়া হবে ঈনশা আল্লাহ];

৩. প্রতিদিন অন্তত ২ পাতা কুরআন তিলাওয়াত;

৪. সূর্যোদয়ের ১৫/২০ মিনিট পর ইশরাকের সলাত আদায়;

৫. ওযুর পর নিচের দুয়াটি পাঠ করাঃ
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
উচ্চারণঃ আশ্‌হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা- শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল;

৫. ওযুর পর ২ রাকাত ‘তাহিয়্যাতুল ওযু’র সলাত আদায়;

৬. প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তিগফার করা;

৭. প্রতিদিন ১০০ বার নিচের দুয়াটি পাঠ করাঃ

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর
উচ্চারণঃ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান;

৮. প্রতিদিন অন্তত ১০০ বার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ যিকির করা;

৯. দুরূদ শরীফ পড়া;

১০. আযানের জওয়াব দেওয়া;

১১. আযান শেষে এই দুয়াটি পড়াঃ
اللّٰهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوْداً الَّذِيْ وَعَدْتَهُ، [إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-’ইমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা ওয়াব্‘আছহু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদতাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না;

১২. প্রতি রাতে সূরাহ মূলক (৬৭) ও সূরাহ সাজদাহ (৩২) তিলাওয়াত করা;

১৩. প্রতি রাতে ১০০ টি আয়াত তিলাওয়াত করা। (উপরের দুটি সূরাহ ৩০+৩০ = ৬০ আয়াত। সাথে সূরাহ ইখলাস ১০ বার পাঠ করলে ১০০ টি আয়াত পূর্ণ হবে);

১৪. ঘুমানোর আগে তিন ক্বুল, আয়াতুল কুরসী, সূরাহ বাক্বারার শেষ ২ আয়াত, ঘুমের দুয়া এবং ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া;

এই আমলগুলো খুবই সহজ এবং করতে খুব বেশী সময় লাগে না কিন্তু এগুলোর ফযিলত ব্যপক। আসুন আমরা আমলগুলোকে আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের অন্তর্ভুক্ত করে নি। ইখলাসের সাথে আদায় করলে এই আমলগুলো আমাদের মীযানের পাল্লাকে ভারী করে তুলবে এবং আমাদের জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণও হতে পারে ঈনশা আল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের বেশী বেশী আমল করার ও তাঁর নৈকট্য অর্জনের তাওফিক্ব দান করুক। (আমীন)

বি.দ্রঃ উপরে উল্লেখিত প্রতিটি আমলের ফযিলাত বিশুদ্ধ ও সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। পোস্ট সংক্ষিপ্ত রাখার স্বার্থে রেফারেন্স উল্লেখ করা হলো না।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »