দু’মুঠো অন্ন-বস্ত্রের জন্য দশমিনায় শিশু-কিশোররা শ্রমে ঝুঁকছে

ডিসেম্বর ১২ ২০২০, ০০:১৯

Spread the love

দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
করোনা মহামারির ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে অর্থনীতির ওপর। অর্থনৈতিক সঙ্কটের ফলে দু’মুঠো অন্ন ও বস্ত্রের জন্য পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ চরা লের অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের শিশু-কিশোররা দিন দিন ঝুঁকে পড়ছে শ্রমের দিকে। ওদের যে সময়টা শিক্ষার আলোতে আলোকিত হওয়ার কথা ছিল, সেই সময়ে নানা কর্মব্যস্ত হয়ে পরেছে অসহায় পরিবারের শিশুরা। দারিদ্রের কষাঘাতে অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটছে ওদের শৈশব। মহামারি করোনাভাইরাসের ফলে উপজেলায় প্রতিনিয়ত শিশু শ্রমে যুক্ত হওয়া ও বাল্যবিবাহের প্রবণতাও বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছে শিশু-কিশোরদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার গল্প। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ অনিশ্চয়তার মধ্যে শিশু-কিশোরদের আগামী ভবিষ্যৎ।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, খেলাধুলায় অংশগ্রহণ না করা, অপরদিকে পরিবারের আর্থিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানকার শিশু ও কিশোররা যুক্ত হচ্ছে শ্রমের দিকে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিনদাসপাড়া গ্রামের শ্রমিক শিশু-কিশোর মোঃ রায়হান(১৪) দৈনিক ৭থেকে ১০ঘণ্টা শ্রম বিকায়। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় অটো রিকশা চালায়। সে গছানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্র। এ বয়সে কেন কাজ করছ জানতে চাইলে সে বলে, পেটের দায়ে কাজ করতে আসছি। রায়হানের মতো অনেক শিশু-কিশোররা শ্রমিক রয়েছে যারা বিভিন্ন কাজ করে আসছে। উপজেলার সদর রোডে ওয়ার্কসপের দোকানে কাজ করেন শামিম(১০) নামের এক শিশু শ্রমিক। তার কাছে জিজ্ঞেস করলে জানায়, ‘ঘরে থাইক্কা যে আমরা ল্যাহা পড়া করমু হেইয়া আমাগো কপালে নাই। আমাগো ঘরে ভাত নাই। তাই বদলা দিয়ে ৩শ” থেকে সাড়ে ৩শ” টাকা পাই তা দিয়ে ঘরে চাউল কিনি’। শামিমের মতো হাজারও শিশুর স্বপ্নগুলো এভাবে নষ্ট হচ্ছে। আরো দেখা গেছে, জেলে পল্লীখ্যাত বাঁশবাড়িয়ার সোহাগ(৯), কাটাখালীর মাসুম(১০) ও সৈয়দ জাফর গ্রামের হানিফ(১১)এর মত ছোট ছোট ছেলেরা মাছ শিকারে যাচ্ছে নদীতে তাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় নেই মুখে মাস্ক নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউই। জেলেরা ট্রলারে সিমিত মাছ নিয়ে আসে ঘাটে। তাদের থাকার পরিবেশের অবস্থা শোচনীয়।
দশমিনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস জানান, মহামারির সময় স্কুল বন্ধ দেয়া হয়েছে ঘরে থাকার জন্য । শিশু-কিশোরদের শ্রম ও বাল্যবিবাহের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »