সীতাকুন্ড ট্রাজেডি; ডিপো বিস্ফোরণে রক্তাক্ত
জুন ০৬ ২০২২, ০৯:২৯
সীতাকুন্ড ট্রাজেডি; ডিপো বিস্ফোরণে রক্তাক্ত
আজকের ঝলক
সরেজমিন দেখা যায়, ডিপোর পশ্চিম পাশের কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। আশপাশের আরও কয়েকটি কনটেইনার থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ওপর থেকে এসব কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছেন। ডিপোর প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রয়েছে পুলিশের একটি দল। ফটকের একটু ভেতর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। রয়েছেন সেনা সদস্যরাও।
শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। ঘণ্টা দুই পর রাসায়নিক থাকা কয়েকটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের।
ফায়ার সার্ভিসের এত কর্মীর মৃত্যুর কারণ কী
ফায়ার সার্ভিস বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার খবর পায় শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে। আগুন নেভাতে নিকটস্থ কুমিরা ফায়ার স্টেশন ও সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওই দুটি দলের ২৬ সদস্যের সবাই হতাহত হয়েছেন। তাঁদের ৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের একটি লাশ শনাক্ত করা যায়নি। ৩ জন নিখোঁজ। বাকি ১৪ জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, এর আগে কখনো একটি ঘটনায় এত অগ্নিনির্বাপণকর্মীর মৃত্যু হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ডিপো কর্তৃপক্ষ তাদের ফোন করেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে টেলিফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে ছুটে যান। তাঁদের ধারণা ছিল, কনটেইনারের ভেতর পোশাকসহ অন্যান্য মালামাল রয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার পরও ডিপো কর্তৃপক্ষ জানায়নি যে কনটেইনারে রাসায়নিক (হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড) আছে। ফলে বিস্ফোরণের সময় ডিপোর ভেতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আর অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পারেননি।
আরো পড়ুনবরিশাল ও চট্রগ্রামে প্যারালিগ্যাল নিয়োগ
ভিডিও দেখুন https://www.youtube.com/watch?v=bpCKNtreyY8