জেলেদের আয়ের উৎস্য ও বার্ষিক আয়

জানুয়ারি ১৫ ২০২১, ১১:৪১

ajkerjholok

Spread the love

আয়ের উৎস সমূহঃ
দেশের অন্যান্য স্থানের মতই ভোলা জেলার জেলেরা তাদের মূল আয় এবং পুষ্টির জন্য মাছ ধরার উপর নির্ভরশীল। বংশ পরম্পরায় তারা মাছে ধরার সাথে স¤পৃক্ত। জরিপ অঞ্চলের জেলেরা দিন, রাত কিংবা দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই মাছ ধরার কাজে স¤পৃক্ত থাকে বলে জানা যায়। দিনের বেলায় জেলেরা সাধারণত ভোর ৫টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত মাছ ধরতে পছন্দ করে। আর রাতের বেলায় তারা সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত মাছ ধরে। মাঠ পর্যায়ে পেশাদার এবং মৌসুমি উভয় ধরণের জেলেদেরই অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমান বিশ্লেষণ বলছে পেশাদার জেলের হার আনুমানিক ৬৫% এবং মৌসুমি জেলের হার ৩৫%। দেখা গেছে অমৌসুম কিংবা যে সময়ে মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকে তখন জেলেরা বিকল্প কোন পেশায় নিযুক্ত থাকে, যেমন- ৩০% জেলে কৃষি কাজ করে, ২৫% জেলে শ্রমিকের কাজ করে, ৩০% জেলে গবাদি প্রাণি যেমন-গরু, ছাগল, মহিষ, হাস-মুরগী ইত্যাদি পালন করে, ১০% জেলে রিক্সা-ভ্যান চালায় এবং ৫% জেলে ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত থাকে।

বার্ষিক আয়
একটি পরিবারের আয়ের অবস্থা কোন একটি সমাজের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নির্দেশ করে। একজন জেলের বার্ষিক আয় তার প্রধান এবং বিকল্প পেশা থেকেই মূলত এসে থাকে। ভোলা জেলার সমস্ত জেলেদের তাদের বার্ষিক আয়ের ভিত্তিতে মোট চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথম ভাগে সেসব জেলেরা রয়েছে যাদের বার্ষিক প্রকৃত আয় ৫০,০০০ টাকার কম। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মূলত সেসব জেলেরা যাদের আয় যথাক্রমে ৫০,০০১ থেকে ৭৫,০০০ টাকা, ৭৫,০০১ থেকে ১০০,০০০ টাকা এবং ১০০,০০০ টাকার উর্ধে। দেখা গেছে যে, সবচেয়ে কম বার্ষিক আয় অর্থাৎ ৫০,০০০ টাকার কম আয় করা জেলেদের সংখ্যাই মূলত সবচেয়ে বেশি (৪৫%) এবং সবচেয়ে বেশি আয় করা অর্থাৎ ১০০,০০০ টাকার বেশি আয়কারী এমন জেলের সংখ্যা সবচেয়ে কম (মাত্র ১০%)। ২৫% জেলেদের বার্ষিক শুদ্ধ আয়ের পরিমান ৫০,০০১ থেকে ৭৫,০০০ টাকা এবং ২০% জেলেদের বার্ষিক শুদ্ধ আয় ৭৫,০০১ থেকে ১০০,০০০ টাকা। এতে দেখা যায়, বছরে ৫০,০০০ টাকা শুদ্ধ আয় করতে পারেনা এমন জেলে পরিবারের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।

সংকলন

মোঃ জহিরুল ইসলাম

উন্নয়ন কর্মী



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »