দুর্নীতি থেকে মুক্তির উপায়

Spread the love

দুর্নীতি থেকে মুক্তির উপায়

দুর্নীতি একটি বহুল আলোচিত শব্দ বাংলাদেশে এবং এর থেকে মুক্তির সহজ কোনো উপায় নেই নিঃসন্দেহে।
বাংলাদেশে দুর্নীতি শুরু হয়েছে স্বাধীনতার পর থেকেই, আর প্রতি মেয়াদেই আমরা পূর্ববর্তী সরকারের রেকর্ড ভেঙে চেমপিয়ান-সিপে এগিয়ে থাকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে, আমার ‘ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়’ বলে কেয়ামত পর্যন্ত তা চলবে, থামবে না।

তবে দুর্নীতির মুল দু-একটি কারণ এবং এর প্রতিকার নিয়ে আমি এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
দুর্নীতির পূর্বশর্ত হলো মিথ্যা বলা, যা আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে রুপ নিয়েছে, তা সহজে যাবে বলে মনে হয় না। আর এই মিথ্যা বলা আমাদের নেতা-নেত্রী যতদিন ছাড়তে পারবেন না, ততদিন আমাদের দুর্নীতি থেকে মুক্তির সূচনা হবে না । এই কাজ করতে হলে আমাদের সর্ব প্রথম চাটুকারিতা বন্ধ করতে হবে, বিশেষ করে সরকারি দলের সদস্যদের।

কিছু নেতা-নেত্রী অবলিলায় দিনকে রাত আর রাতকে দিন বলে থাকেন এবং মনে করেন আবাল বাঙালি এসব বুঝে না। এটা ভাবার পেছনেও যথেষ্ট কারণ আছে , তার একটা হলো কিছু চাটুকার আছে যারা বলে–
“আমার নেতা আমার নেত্রী
যাহাই বলেন তাহাই সত্যি”

এই চাটুকারদের কারনেই নেতা-নেত্রীদের আজকের অধঃপতন।
একবিংশ শতাব্দীর এই ইনফরমেশন টেকনোলজির যোগে আমাদের বসবাস, পুরো বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। আজকের দিনে প্রায় সবার হাতে হাতে “আই ও এস অথবা এনড্রয়েড” ফোন রয়েছে, ইচ্ছে করলেই পৃথিবীর যে কোন স্থানে কে কি করছেন সরাসরি দেখা যায়। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার দিন এখন আর নেই, তার পরেও যদি কেউ মানুষকে আবাল বাঙালি মনে করে ভুল করে থাকেন তা হবে বোকামির চূড়ান্ত পর্যায়।

রাজনীতি করা মানুষের অধিকার, যার যে দল পছন্দ সে তাই করবে , একে অন্যকে পরাজিত করার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই । তাই বলে আমাদের একেবারে নিকৃষ্ট প্রাণীতে পরিণত হতে হবে কেন, মিথ্যাবাদী বা চাটুকার হতে হবে কেন। এসব করে টাকা উপার্জন করেই বা কি লাভ, কতো হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক খালি হাতে দুনিয়া থেকে চলে যান আমাদের চোখের সামনেই, আমরা জানাযা পড়ে বিদায় দেই, কিছুই পারেন না সাথে নিয়ে যেতে। তাহলে কি লাভ এসব করে, দুনিয়া এবং আখেরাত দুই জায়গাতেই তাদের জন্য ধ্বংস, আমরা সৃষ্টির সেরা জীব তা কি করে ভুলে যাই ।

আসুন বন্ধুগন এখনও সময় আছে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর, যে কোনো রাজনৈতিক দল করেন সমস্যা নেই, শুধু একটি জায়গায় আমরা আমাদের দেশকে ভালবেসে এক হই, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে এক হই। আমরা মিথ্যা বলা আর চাটুকারিতা ছেড়ে দিয়ে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মানুষ/জাতিতে পরিণত হই । কেউ যদি মিথ্যা বলেন সাথে সাথে আমরা সমস্বরে বলে উঠি “আপনি মিথ্যা বলছেন”, খুব বেশি দিন লাগবে না তাদেরকে ঠিক করতে। দেশটাকে নিজের মায়ের মতো ভালোবাসি, বলতে পারেন আমি একজন ভালো হলে কি হবে, অন্য জন তো এসব করবে, দেখুন শুরু একজনকেই করতে হয়, ক্ষতি কি – সেই একজন না হয় আমি এবং আপনি। ছবি সংগৃহীত ।

আউয়াল জামান কয়েছ
বার্মিংহাম, যুক্তরাজ্য
২৪/০৭/২০২০



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »