আজকের ঝলক নিউজ :

ঈদে মাংস ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিচের ১২ নিবেদন মেনে চলা উচিত ।

১. যারা গরুর জবাই কাজে যুক্ত থাকবেন তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন ।

২, যেখানে পশু কোরবানি, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটি করা হবে, সেখানে কাজের শুরুতে ও শেষে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিবেন

৩. যাঁরা কোরবানি, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটি করবেন, তাঁদের অবশ্যই হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক এবং পায়ে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা রাবারের জুতা পরে নিবেন। কাজ শুরুর আগে ও কাজ শেষে দুই হাতসহ পুরো শরীরের অনাবৃত অংশ সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিবেন।

৪. কোরবানির পশু, চামড়া ও খোলা মাংসের আশপাশে কোনো অবস্থাতেই হাঁচি-কাশি দেওয়া যাবে না। কোরবানি, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটির জায়গায় ভিড় করবেন না। যাঁরা এই কাজগুলো করবেন, তাঁদের অবশ্যই অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখবেন।

৫. কাজ শেষে যাবতীয় বর্জ্য মুখ বন্ধ করা ব্যাগে ভরে স্থানীয় প্রশাসন বা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় রাখতে হবে। নতুবা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।

৬. মাংস রাখার পাত্র ব্যবহারের আগে ও পরে অবশ্যই সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

৭.  রান্নার সময় কাঁচা মাংস নাড়াচাড়ার আগে ও পরে হাত ভালো করে সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

৮. মাংস ভালোভাবে রান্না করতে হবে। মাংসের প্রতিটা অংশ যেন ভালোভাবে সেদ্ধ হয়।

৯.  কাঁচা মাংসের পাত্র, কাটিং বোর্ড, ছুরি, বঁটি প্রভৃতি হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন।

১০. রেফ্রিজারেটর থেকে বের করে কাঁচা মাংস ধরার সময় প্রতিবারই ওপরের সতর্কতাগুলো অবলম্বন করুন।

১১. রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব ছোট প্যাকেটে মুখ বন্ধ করে মাংস রাখুন।

১২. গন জমায়েত করে মাংস বিতরণ থেকে বিরত থাকুন ।

করোনা পরিস্থিতি সবাই স্বস্থ্যবিধি মেনে পশু করবানি করবেন এটাই প্রত্যাশা । ছবি সংগৃহীত