প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির মামলায় রিমান্ডে ছাত্রলীগ নেতা ভোলার ছেলে মুমিন

প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির মামলায় রিমান্ডে ছাত্রলীগ নেতা ভোলার ছেলে মুমিন

Spread the love

রফিকুল আলমের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়।

এই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ফোনে তরিকুলকে জানিয়ে দেন।

এরপরেই তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা।

মামলায় বলা হয়, এরপরেই সেই নথিতে তরিকুল ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন। একইভাবে অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। প্রায় এক মাস আগে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

এই নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করেন এবং হস্তান্তরের পরে আরেক দফায় ১০ হাজার টাকা তার ছেলের বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে নেন বলে মামলায় বলা হয়। প্রায় এক মাস আগের ঘটনা হলেও করোনাভাইরাসের কারণে মামলা দিতে দেরি হয়েছে বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

একাধিক তথ্যসূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার কোতয়ালি থানায় একটি চাঞ্চল্যকর জালিয়াতির মামলা দায়ের করার প্রেক্ষিতে তাকে আটক করেছে পুলিশ। ঢাকার কয়েকজন ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে প্রকল্পের কাজের তদবির করে দিবে বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তরিকুল ইসলাম মুমিন। এ ছাড়াও সরকারের বিশেষ কোনো ব্যাক্তির সাক্ষর জালিয়াতি করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাকে ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুমিন সহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে। সেই চক্রে একজন মন্ত্রীর পিএস সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে। পরে সে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে জন্মস্থান ভোলায় পলাতক হয়। পরে তার অবস্থান নিশ্চিত করার কর বুধবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়ে তা জান যায়নি, তবে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে আটকের সহায়তা চাইলে ভোলা সদর থানা পুলিশের মোবাইল টিম সহায়তা করে। মামলাটি চাঞ্চল্যকর না হলে এ করোনার মধ্যে তাকে আটকের জন্য ভোলায় ঢাকা পুলিশ আশার কথা নয় বলে জানান ওসি।

এই মামলায় শুক্রবার তরিকুলের সঙ্গে ফরহাদ ও নাজিম উদ্দিন নামে দুজনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »