২০১৪ সাল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা

চলে গেলেন এইচ টি ইমাম; সিএমএইচ এ মারা যান তিনি

Spread the love

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক (এইচ টি) ইমাম আর নেই

আজকের ঝলক নিউজ :

বুধবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে বুধবার পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েকদিন ধরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এইচ টি ইমাম। মঙ্গলবার থেকে তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ।

সূত্র জানায়, এইচ টি ইমাম দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি অসুস্থতা বাড়লে তাকে সিএমএইচে নেয়া হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর । ২০১৪ সাল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসাব দায়িত্ব পালন করেন । অবসর নেওয়ার পর আওয়ামী লীগে সক্রিয় হন এইচ টি ইমাম। দলের নির্বাচন পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন, যে কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা।

এর আগে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া রাতে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এইচ টি ইমামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম রাত ১টা ১৫ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। জানাজা এবং দাফনের বিষয়টি পরে অবহিত করা হবে।

এইচ টি ইমামের জন্ম ১৯৩৯ সালে। পুরো নাম হোসেন তৌফিক হলেও পরে তিনি এইচ টি ইমাম নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন। বাবার চাকরি সূত্রে তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জেলায়।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন এইচ টি ইমাম। আর ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে।

এরপরর রাজশাহী কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি নিয়ে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি নেন। তখন তিনি বাম ছাত্র সংগঠনে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এইচ টি ইমাম। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিবও হন তিনি।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত তিনি মন্ত্রিপরিষদের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত সাভারের লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি যোগাযোগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবও হন।

রাণীনগরে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

https://www.youtube.com/watch?v=-RdGkTO-D2Y&list=RDMM-RdGkTO-D2Y&start_radio=1

 



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »