ভালোবাসার চিঠি; মোঃ জহিরুল ইসলাম
জানুয়ারি ১৯ ২০২১, ১৫:৩৬
প্রিয় সুখপাখি :
ভালবাসা রইলো । আল্লাহর কাছে কাছে সব সময় প্রার্থনা করি তুমি ভালথাকো জানিনা কেন তোমাকে লিখছি তুমি তো আমার আপনজন কেউ কি আপনজনের কাছে চিঠি লিখে ? ঠিক জানিনা । যেমন হচ্ছে প্রেমিকের কাছে এক প্রেমিকা লিখছে।
মানুষ জীবন কিছু আশা আকাঙ্খা থাকে, কিছু চাওয়া পাওয়া, ইচ্ছা শখ, ভাললাগা-ভালবাসা, এগুলো পরস্পর একত্রে বাস করে, কিছু সুখ, কিছু দূঃখ হাসি কান্না, কস্ট বেদনা মানুষের জীবনে পর্যায়ক্রমে আসে । আর এই নিয়েইতো জীবন , মানুষের জীবনে কিছু পরিবর্তন দরকার হয়, আর এই পরিবর্তন তাকে এক রুপ থেকে অন্যরুপে সাজায়, এক ঘেয়েমি জীবন মানুষকে কখনো ভাল রাখতে পারেনা, সময় কখনো থেমে থাকেনা একটি শিশু ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত তার অনেক পরিবর্তন হয় যেমন শারিরিক তেমনি মানসিকম এভাবে পরিবর্তনের সিঁড়ি বেয়ে সে উপরের দিকে এগিয়ে যায়, আর এই পরিবর্তনের সিঁড়ি বেয়ে সে উপরের দিকে এগিয়ে যায়। আর এই পরিবর্তনই মানুষকে নব রুপে, নব ছন্দে এগিয়ে চলতে সমাজে উদ্ভাসিত করে এবং এই পরিবর্তনের ছোঁয়া সব মানুষের হিদয়কে আলোকিত করে যেমন আমি তুমি কেউ এর বাহিরে নই ।
জানো সেই ছোট্র আমি কবে এত বড় হয়ে গেছি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা মাঝে মাঝে । আমি কোন দিন স্বপ্ন দেখিনি আকাশ ছোঁয়ার, জোনাকি ধরার, তারা হাতের মুঠোয় আনা, তেমনি কাউকে গোলাপ ফুল দেয়ার কারণ যখন আমি বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই জানতাম আমার মা হিন্দু ছিল, হয়তো এটাই আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় বাধা, অনেক ছেলে আমার জীবনে আসছে কিন্তু নিজের দুর্বলতার কথা প্রকাশ করার কোন ইচ্ছা আমার ছিলনা, আমি খুব আতœঅংহকারী মেয়ে, অনেকের মতো সবার কাছে নিজেকে ছোট করতে বা বিলিয়ে দিতে পারিনা বা পারবোনা কোন দিন, জীবনের একজনের কাছে সব কিছু দিয়েছি তা হলো তুমি কোন দিন ভুল করতে চাইনি কারন ঐ সময়ের ভালবাসা কোনদিন থাকেনা তাই, তবে ভাবতাম যদি কেউ আমাকে ভালবাসে আমার সব কিছু জানার পর আমাকে করুনা বা ঘৃনা না করে সাদরে গ্রহন করতে চায় তবে আমি তাকে মন প্রাণ উজাড় করে ভালবাসবো, তাতে কোন খাঁদ থাকবেনা, তা হবে সোনার মতো খাঁটি । সে শুধু আমার স্বামী হবেনা ভাল বন্ধু হবে । তার সাথে আমি সুখ-দূঃখ ভাগ করে নেব । আমার কাজে সে উৎসাহ দেবে। আমি ভুল করলে শুধরে দেবে, মাঝে মাঝে রাগ করবে তখন আমি খুব কাঁদবো, আবার আমাকেই ভালবাসবে, জীবনে এমন স্বপ্ন দেখিনি যে ঘোড়ায় চরে রাজপুত্র আসবে আর আমাকে নিয়ে যাবে। তবে যা ভাবতাম তা শুধু স্বপ্নেই হয় বাস্তবে হয়না তাই মনে করতাম, যদি হয় তবে হাজারে একজন আর হাজারে একজন আমার স্বামী যে আমাকে এত ভালবাসে, ঠিক যেভাবে চেয়েছি সে ভাবে না তার চেয়ে বেশি পেয়েছি, আর তাই তাকে হারানোর আমার এত ভয় । আমি অনেক ভাগ্যবতী যে তোমার মতো একজন সুন্দর ভালমনের সাথি পেয়েছি । জীবনে যদি ভাল কিছু করে থাকি তাহলে আল্লাহ তার সবকিছুর বিনিময় তোমাকে আমার জন্য দিয়েছেন ।
জানিনা তোমার সাথে আমার ঘর করা হবে কিনা তুমি কোথাও যাওয়ার কথা বল্লে আমার বুকটা কেঁপে ওঠে এই বুজি তোমাকে হারালাম, একটি কথা মনে রেখ মেয়েরা কাউকে মন দিলে বা মনে কর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারো সাথে বিয়ে হলে তাকেই সারাজীবন ভালবাসে, আর তোমাকে তো আমি ভালবাসি, জানিনা চোখের আড়াল মানেই মনের আড়াল এ কথা সত্য কিনা । আমি তোমাকে অনেক বিশ্বাস করি দূরে গিয়ে তমি আমাকে ভূলে যাবেনা তো । যদি যাও ভাববে সেদিন আমার মৃত্যু ঘটবে । কখনো আমাকে অন্যকোন ছেলেদের কথা আমাকে বলোনা, সবাই একরকম না আমি এ কথা সহ্য করতে পারিনা, আমার মাথাটা খারাপ হয়ে যায় তোমাকে অনেক কিছু বলি তার পরে নিজেই কষ্ট পাই, তোমার প্রতি অনেক অধিকার খাটাতে চাই কিন্তু তাতো সম্ভব না, তুমি চট্রগ্রাম গেলে আমি তোমাকে বিদায় জানাবো কি করে বলতে পারো ? কতদিন তোমাকে না দেখে থাকবো কিভাবে? তুমি আমাকে নেবে তোমার সাথে, আমি কি বোকা দেখো ইচ্ছা হলেই কি তোমার সাথে যাওয়া যায় । যাইহোক প্রটিটি দিন শুরু হয় আমাদের জীনের এক একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করার জন্য বাস্তবের সাথে তাল মিলিয়ে যে চলতে পারে সে তো প্রকৃত মানুষ, সুখ-দূঃখ মিলেই তো আমাদের জীবন ২ তারিখের ব্যবহারের জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দূঃখিত আমি আমি আবারো ক্ষমা চাই, যাক যতদিন কাছে থাকবো বিরক্ত করবো, যখন আর একজন আসবে তখন আর প্রয়োজন হবেনা আমাকে, তখন ভূলে যেও, আমি তোমার অপেক্ষায় থাকবো কবে তুমি আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যাবে বা তা আদৌ সম্ভব হবে কিনা, যেখানে থাকো ভালো থাকো,সুস্থ্য থাকো শরীর প্রতি যতœ নিও আমি তোমাকে মিস করবো । তোমার অপেক্ষায় থাকবো ।
প্রিয় সুখ
সর্ব প্রথমে আমার সালাম গ্রহন কর, জানিনা তুমি কেম আছো ? দো’আ করি সব সময় ভালো থাকো । চিঠিটা কিভাবে লিখব বা কোন কথা দিয়ে শুরু করবো বুঝতে পারছি না । আসলে আমার মনটা খুব খারাপ, সব সময় কোন কিছু না পাওয়ার হতাশায় মনটা ব্যকুল থাকে । কিছুই যেন আগের মতো ভাল লাগেনা । জীবনটা খুব অসহ্যময় মনে হয় মাঝে মাঝে ।
সেদিন তোমার মনের কথা আমি জেনে গেছি । এখন তোমাকে একজন অচেনা মানুষ মনে হয়, মনে হয় এই তুমি কি আমাকে ভালবাসতে নাকি সে অন্য কেউ ? নাকি সেটা তোমার আবেগ ছিল ? তোমার ভিতর কি অন্য কেই বাসা বাঁধছিলো বলতে পারো ? তোমার চিন্তা ভাবনা হঠাৎ পাল্টে যাবে তা কোনদিন ভাবতে পারিনি এই তুমি আমাকে স্বপ্ন দেখিছিলে নতুন ভাবে বাঁচার আর আজ —-? জীবন সম্পর্কে কোন ধারনা আমার ছিলনা । অন্য কোথাও আমার বিয়ে ঠিক হলে তুমি আমাকে বিয়ে করে অণ্য কোথাও নিয়ে যাবে, আমার জন্য তুমি সিলেট যাওনি । আমার সবকিছু মনে আছে । কারন সেই দিনগুলি আমার জীবনের কিছু স্মরণীয় দিন হয়ে আজীবন আমার অন্তরে আশার আলো ছড়াবে । তোমার সাথে আমার বিয়ের আগে আমি বুঝতে পারিনি স্বামী কি বা কেমন হয়। এগুলো শিখছি তোমার কাছ থেকে । একদিন তোমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করার পর তুমি ভার্সিটিতে বস এ নিয়ে আমাকে বলেছিলে যে, ভালবাসার মানুষের মধ্যে কিছু হলে শেষ পর্যন্ত যদি আলাদা হওয়ার চিন্তা করে বাবা মায়েরা কিন্তু ভালবাসার দুজন যদি না চায় তাহলে কোন দিন আলাদা করা সম্ভব হয়না । দূরে গিয়ে দুজন নদীর চরেও ঘর বাঁধতে পারে, এরকম অনেক কথা তুমি আমাকে বলেছো । বলতে পারো এগুলো কি তোমার মনের কথা ছিল কিনা ? হয়তো বলবে এগুলো আবেগের কথা বা আমি এখন বাস্তব নিয়ে ভাবছি । এই কথাগুলো আমি কিভাবে ভুলে যাবো ।
আসলে আমার কপালটাই খারাপ। তানা হলে যাদেরকে আমি বেশি ভালবাসি তারাই বা কেন পর হয়ে যায় । ছোটবেলা চাচা-চাচি, ফুফা-ফুফুদের খুব বেশি ভালবাসতাম কিন্তু বড় হওয়ার পর দেখলাম তারা কেমন, আমার মতো অন্তর আত্না দিয়ে ভালবাসেনা আর ভালও জানেনা। আমার বন্ধুদের সাথে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল, ওদের জন্য অনেক কিছু করতাম কিন্তু একটু স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলে শালা ওরা আমাকে ছাড়তোনা । বাব, মা, ভাইকে সারাজীবন নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবেসেছি কিন্তু এরাও কেমন যেন, একটু ১৯-২০ হলে পারেনা আমাদের ধুইয়া দেয় । প্রত্যেকটা মানুষ এমন কেন পৃথিবীতে, আমিতো কোনদিন স্বার্থ দিয়ে কাউকে ভালবাসিনি । নিজের সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে সবাইকে ভালবাসছি কিন্তু কেউ আমার মত আমাকে অন্তর আত্তা দিয়ে ভালবাসলোনা । যাক দূঃখ আর কি ? কপালের লিখন না যায় খন্ডন । যাক কথাটা স্পষ্ট করে বলছো তাই ভাল হইছে , কারণ সামাজিকভাবে তোমার আমার বিয়ে কখনোই হবেনা আর তোমাকে পাওয়ার আশাও আমি ছেড়ে দিয়েছি, আর তোমার সাথে কোথাও চলে যাওয়ার আশাও আমি করিনা কারণ তাতে অশান্তি আরো বাড়বে । মেয়েরা তার স্বামীর ভাগ কাউকে দিতে পারেনা সেটা ভালো করেই জানো । বাবার সিদ্ধান্ত মেনে নিও, আমি অভিশাপ দেব একটাই যে আমার চেয়ে অনেক ভাল মেয়ে যেন তোমার ভাগ্যে থাকে যে তোমাকে এত ভালবাসে, এত বেশি ভালবাসে যে আমার কথা তোমার আর মনে না পড়ে, তবে মনে রেখ আমি তোমাকে যে ভালবাসি তা যদি সত্যি হয় তো আমাকে তোমার মনে পড়বে, যদি মনে যাই আমার কবর দিও তোমার বুকের ভিতর ।
আমার মা তো আর তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে পারবেনা তার হয়ে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই, দোয়া করি জীবনে অনেক বড় হও । আল্লাহ তোমাকে অনেক টাকার মালিক করে দিক যাতে তোমার এই দুর্দিনের কথা মনে পরে যে টাকার মালিক থাকলে শ্রæতির কাছে আমার ছোট হতে হতোনা । তবে জীবনে কোনদিন অহংকার করনা, মানুষকে সব সময় সাহয্য করবা কারণ মানুষ মানুষের জন্য আমার মায়ের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সেটা ব্যবহার করোনা । যদি অনেক টাকার মালিক হও মানুষকে শ্রদ্ধা করতে শিখবে । আমি তোমার শুভাকাঙ্খি সারা জীবন থাকবো, তুমি চির সুখি হও ।
জানিনা হয়তোবা এই চিঠি লেখাই তোমার কাছে লেখা শেষ চিঠি হয় কিনা, তিনমাস অপেক্ষা করা লাগবে তো করবো, জানিনা কি সিদ্ধানত হবে । তবে নেগেটিভ চিন্তা করাই ভালো । একটি অনুরোধ করবো রাখবে কিনা জানিনা, রিয়ার সাথে একটু ক্লোজ হওয়ার চেষ্টা করো, কারন তোমার বড় কোন ভাই বাড়িতে থাকেনা, আর যে থাকে সে বিবাহিত, পরিবার নিয়ে ব্যস্ত, তুমি ওকে একটু ভালবাসা দিও ও তো তোমারি ছোট্র বোন, ও তোমার ব্যবহারে খুব কস্ট পায়, আর কিছু কথা মনে রেখ, যেমন, কোন কিছু গড়তে অনেক সময় লাগে কিন্তু হারাতে এক মিনিট লাগেনা । নিয়ত সব সময় বড় রাখবে, কারণ নিয়্যত গুনে বরকত । সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে কারণ ভুল মানুষ জীবনে এক বারই করে । সেতুকে সব সময় একই চোখে দেখবা ওযে বড় হইছে সেটা ওকে কখনো বুঝতে দিবেনা ও তোমার মেয়ের মতো নয় মেয়ে ও যেন কখনো কস্ট না পায়।
আর তুমি অনেক বুদ্ধিমান ছেলে, তোমাকে বলে দেবার কিছু নেই, আমি তোমার জীবনে না থাকলে এগুলো কোন দিন ভুলবেনা । কোন পথ তুমি আমার জন্য খোলা রাখলেনা আতœহত্যা করা পাপ তারপর তোমাকে ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়েছ । কোন পথে যাবো ? তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে জীবনে স্থান দেয়া সম্ভব না, অনেক চিন্তা করছি কিন্তু পারিনাই, যে কোন একটা সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আমি আমার পথ বেছে নেব । আমার মনের অবস্থা খুব খারাপ, ঐ ব্যপারটা পরীক্ষার আরো আগে হলে ফরম ফিলাব করতাম না । বই নিয়ে শুধু বসেই থাকি, পড়া আর হয়না, পরীক্ষাও দিতামনা । যে সময়গুলোতে আমি তোমার সাথে বেশি কথা বলতাম সে সময়গুলো যখন ঘড়িতে আসে তখন তাকিয়ে থাকি আর আগের কথা চিন্তা করি যে, আমি তোমার সাথে ১ দিনে ৩-৪ বার কথা বলতাম সে ৩-৪ দিন পর ১ বার কথা বলে, জানিনা এগুলো তুমি অনুভব করো কিনা, নাকি নতুনকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছো । ভালই হয়েছে কি বলো ? আমি তো তোমাকে অনেক বিরক্ত করতাম এখন আর বিরক্ত হবেনা, খাইছো নাকি, কখন খাইছো, তো ঘুমাওনা কেন ? কি করো ইত্যাদি ইত্যাদি । কালের বিবর্তিতে মানুষ এভাবেই পরিবর্তন হয়ে যায় । এই চিঠিটা তোমার কাছে পৌঁছাবে কিনা জানিনা। এর আগেও একটা লিখেছিলাম সেটা দেয়া হইনি হারিয়ে গেছে ।
চিঠি দিয়ে আর কি হবে যাকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসলাম সেই যখন হারিয়ে গেল তো-কিসের কি? তোমাকে হারাতে হবে জীবনে কোনদিন ভাবিনী, ভেবেছি তুমি হয়তো তোমার চেয়ে আমাকে বেশি ভালবাসবে কিন্তু সেটা ভুল, মানুষ কেন বারবার ভুল করে বলতে পারো ? আমি আমার সব কিছু দিয়ে তোমাকে সুখি করতে চেয়েছি কিন্তু আমি অপারগ আমি পারি নাই, আমার একদিকে পৃথিবী আর একদিকে তুমি ছিলে কিন্তু তোমার ক্ষেত্রে তা না, তুমি আমার চেয়ে তোমার সামাজিকতাকে বেশি ভালবাসলে ! এমন ভালবাসা আমার দরকার নেই । যে তার প্রেমিকার চেয়ে সামাজিকতাকে বেশি ভালবাসে মায়ের কথা অপমানিত হয়ে প্রেমিকাকে ভুলে যায় ভালবাসাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সেই ভালবাসাকে আমি ঘৃণা করি । ভুল হলে ক্ষমা করো আর কয় দিন বা জ্বালাবো । আমার হাত খরচের জন্য টাকা পাঠাবেনা টাকা নেবনা তোমার কাছে আর ঋণি থাকতে চাইনা, কারণ তুমি বলবে যে আমার কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়া খেয়েছে। আমি আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে পারি নাই ।
আজ তোমাকে একটা কথা বলি ”আমার বড় ফুফিকে আমি বলেছিলাম যে তুমি এতো অহংকার কর, আমিও এমএ পাশ করা ছেলেকে বিয়ে করবো যদি তা না পারি তো আমি আমার বাপের মেয়েনা । শুধু তাইনা সে আমাকে খুব ভালবাসবে এবং ভাল চাকুরী করবে এবং আমার বাবা মাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করবে’ কিন্তু আমার কপালে যে তা হলোনা এর জন্য আমি তোমার এমএ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এতোটা উগ্রিব ছিলাম, কিন্তু অভি আমি বুঝতে পারছি মানুষের সব আশা পূরণ হয়না, বেশি আশা করলে বেশি কস্ট পেতে হয়। যাক, যা হবার তো হবেই, শুধু ৩ মাস না আমি তোমার জন্য সারা জীবনও অপেক্ষা করতে পারতাম কিন্তু মেয়েতো বাবা মা তো আর তা শুনবেনা, তবে অপেক্ষা করতে পারবো ইনসাল্লাহ কারণ বাবা মা যতই খারাপ হোক আমার কথা ছাড়া তারা কিছুই করবেনা সে বিশ্বাস আমার আছে । তুমি একটা ভাল চাকুরী করলে সে সম্মানটা তোমারই থাকবে আমার বাবা মায়ের কোন উপকার হবেনা । কিন্তু তারা বলতে পারবে তাদের জামাই বড় চাকুরী করে এটাই তাদের গৌরব থাকবে কোন বাবা মা তার সন্তানের খারাপ চায়না । তুমি হয়তোবা বলবে চাকুরী হাতের মোয়া না, কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কি ? তারপর উপরে আল্লাহ আছে, তুমি কি ভাবে ভাবলে তোমার চাকুরী থাকবেনা আর তোমার বাবারটা আমি খাব, আমার কিছু দরকার হলে তার কাছে চাইবো অথবা তুমি তোমার বড় ভাইয়ের কাছে চাইবে সেটা আমি মেনে নিতে পারবোনা ।
আজ বাদে কাল তোমার পরিবারের লোকজন বলবে বিয়ে করার সময় দেখে আসোনাই ওর চাকুরী নাই, তুমি যতই বলো বলবেনা আমি তা বিশ্বাস করিনা এবং এটাই বাস্তবতা । যাক লিখতে লিখতে অনেক বেশি লিখে ফেলেছি । সব সময় ভালো থেকো, ঠিক সময় খাবে, রাতে তাড়াতারি ঘুমাবে, কখনো কারো সাখে খারাপ ব্যবহার করবেনা । রাগটা একটু কমাবে, আল্লাহকে সব সময় স্মরণ রাখবে আবার বলি ভুল হলে ক্ষমা করে দিও । তোমার মঙ্গল কামনা করি সর্বক্ষণ । তোমার শ্রুতি আমি আমার সারা জীবন তোমরই থাকবো আর তুমি সারা জীবন
অভি, আমি তোমাকে ভালবাসি এবং ভালবাসি তারপর ভালবাসি সারাজীবন ভালবাসবো—– ।