সুখ পাখি : মোঃ জহিরুল ইসলাম (রাজু)

ajkerjholok

Spread the love

                                                                          সুখ পাখি :

ঝলক সাহিত্য পাতা : সুখপাখির গল্প পর্ব-১ (এক)

লিখেছেন: মোঃ জহিরুল ইসলাম (রাজু)

প্রতিবছর একটি করে ডায়রী কিনতাম আমার জীবনের হিসাব নিকাশ সেই ডায়রিতে লিখে রাখতাম । কিন্তু দূঃখের বিষয় হচ্ছে, বছরের শেষ দিন সেই ডায়রীটা ছিড়ে ফেলতাম । ভাবতাম আর লিখবোনা লিখতে লিখতে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি। ২০০৫ এ কোন ডায়রী লিখিনি । ২০০৬ সালে হঠাৎ কোন এক অচেনা যুবকের সাথে আমার পরিচয় হলো । কে জানতো সে হবে আমার স্বপ্নের পুরুষ ! যা কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি, হঠাৎ করেই তার প্রতি আলাদা একটা মায়া জন্ম নিল, তার লেখা এসএমএস আগের দিনের কথায় বলা যায় চিরকুট আর বর্তমান যুগে তা হলো মোবাইল এসএমএস আমাকে মুগ্ধ করতো । সে গুলো সব আমি লিখে রাখতাম আমার ডায়রিতে। একটি ভালো সম্পর্ক তৈরী হলো তার সাথে ।

ভেবেছিলাম বেশিদিন হয়তো সম্পর্ক থাকবেনা । আমি এভেবেই নতুন ডায়রী কিনিনী, পুরোনো ডায়রীতে লিখেছিলাম তার সব কিছু । সময় যে কিভাবে চলে যায় টেরও পাইনি, কখনযে আমি এত বড় হয়ে গেলাম বুঝতেও পারিনি, অনেক কিছু বুঝতে শিখেছি, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারি এখন। এটা ভাবতেই অবাক লাগে সেই ছোট্র আমি জীবনের এক সুন্দর দ্বাঁরপ্রান্তে এসে দ্বাঁড়িয়েছি । কেউ আমাকে হাত বাড়িয়ে ডাকছে, কিন্তু হাত বাড়াতে ভয় পাচ্ছি । যদি সে আমাকে ছেড়ে চলে যায়! কিন্তু না সে আমার প্রিয়জন । সে একজন আদর্শ ব্যক্তি, আমার দেখা ভাল মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠতর সে ।

তাঁর সাথে আমার বিয়ে হোক বা না হোক কোন দিন তাঁর কথা ভুলবোনা। মুত্যুর আগ পর্যন্ত আমি তার কথাগুলো মনে রাখবো। তাঁকে যদি আমি আমার জীবনে স্বামী হিসাবে পাই এরচেয়ে বড় সুখ, পরম পাওয়া আর নেই, তাহলে সৃষ্টিকর্তার কাছে কোটি শুকরিয়া আদায় করবো যে, আমি হয়তো এ জীবনে ভাল কাজ করেছি বা আমার পূর্ব-পুরুষগণ কোন ভাল কাজ করেছে তাই আল্লাহ খুশি হয়ে আমাকে এই পুরুস্কার দিয়েছেন। তাঁকে দেখে রাখার দ্বায়িত্ব আমার, সবচেয়ে বেশি ভয় হয় তাকে আমি আমার কোন ভুলে হারিয়ে না ফেলি, আমি দূর থেকে তার জন্য দো’আ করি সে যেন সবসময় ভাল থাকে, সুন্দরভাবে তার জীবন অতিবাহিত হয়। আমি তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি, কোন দূ:খ কষ্ট তাকে যেন স্পর্শ করতে না পারে । সবশেষে তার নামটা লিখে রাখি মনের খাতায় ও ডায়রির পাতায় তার নাম (অভি ) তানভির হাসান অভি, আমার প্রিয় অভি ।

মানুষের জীবনে কিছু চাওয়া পাওয়া থাকে, কিছু ভাল লাগা, ভালবাসা থাকে । এই নিয়েইতো জীবন, কিছু চাওয়া-পাওয়া, ভাললাগা, ভালবাসা ইচ্ছা-আকাংঙ্খা এগুলো সবই পরস্পর একত্রে বসবাস করে । কিছু সুখ-দূঃখ, পর্যায়ক্রমে আসে । জীবনের মাঝে মাঝে পরিবর্তন দরকার হয় । আর এসব কিছুই মানুষের জীবনে পরিবর্তন সৃষ্টি করে । মানুষের জীবনে পরিবর্তন এক রুপ থেকে অন্যরুপে জন্ম দেয়। এক ঘেয়েমি জীবন তাকে কোনদিন ভাল রাখতে পারেনা ।
পরিবর্তন তার একান্ত প্রয়োজনীয় । সময় কখনো থেমে থাকেনা সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনেও এক নবরুপে তাকে সবার কাছে উদ্ভাসিত করে । একটি শিশু ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত তার অনেক পরিবর্তন হয় । যেমন পরিবর্তন হয় তার দৈহিক তেমনি মানুষিক এভাবে পরিবর্তনের সিঁড়ি বেয়ে সে ধাপে ধাপে এগিয়ে যায় । এই পরিবর্তনই মানুষকে নবরুপে নবছন্দে এগিয়ে চলতে সমাজে উদ্ভাসিত করে, এবং এই পরিবর্তনের ছোঁয়া সব মানুষের হিদয়কে আলোরিত করে আন্দোলিত করে।

আমি কোনদিন কাউকে ভালবাসিনি/ভালবাসা নামের এই শব্দটা আমার হিদয়ে কখনো ছিলনা, কিন্তু আজ হঠাৎ আমার কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে, কিছু বলতে ইচ্ছা করছে।
আমি এমন একজন ছেলেকে ভালবাসতে চাই বা বিয়ে করতে চাই যে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শুধু আমাকেই ভালবাসবে আর আমিও তাকে মনপ্রাণ উজাড় করে ভালবাসবো, এ ভালবাসায় কোন খাদ থাকবেনা তা হবে ২২ ক্যারেট সোনার মতো খাঁটি, সে শুধু আমার স্বামী হবেনা, সে হবে আমার বন্ধু আমার সবচেয়ে আপন বন্ধু । আমি তার সঙ্গে হাসি-কান্না, সুখ-দূঃখ সব ভাগ করে নেবো। আমার সকল কাজে সে আমাকে উৎসাহ দেবে, প্রেরণা দেবে, আমি ভুল করলে আমাকে শুধরে দেবে, মাঝে মাঝে রাগ করবে তখন আমি কাঁদবো, আবার আমাকেই শান্তনা দেবে, ভালবাসবে আর আমি তাকে ভালবাসবো শুধু তাকেই ।

এগুলো স্বপ্নের কথা, স্বপ্নেই এসকল কিছু ভাবা যায়, বাস্তবে হয়তো এসব’র কোন মিল নেই বা প্রতিফলন হয়না স্বপ্নেই রয়ে যায়, আর যদি বাস্তবে সেরকম পাওয়া যায় তা হলো হাজারে একজন, এগুলো আসলে ভাগ্যের ব্যপার, বিয়ে তো ভাগ্যের উপর, কার স্বামী কেমন হবে ! কার স্ত্রী কেমন হবে ! তা শুধু সৃষ্টিকর্তাই জানেন । আমি কি জানি আমার ভাগ্যে কি আছে !! হয়তো এমনও হতে পারে আমি যা চিন্তা করছি বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন হবেনা । তখন কষ্ট ছাড়া আমার জীবন আর কিছুই থাকবেনা, আবার এমনওতো হতে পারে যা চেয়েছি তার চেয়েও বেশি পেয়েছি ! যাই হোক প্রতিটি দিন শুরু হয় আমাদের জীবনের একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করার জন্য । বাস্তবের সাথে যে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সেই তো আসল মানুষ, সুখ দূঃখ মিলিয়ে তো আমাদের জীবন, এগুলো না থাকলে জীবনে স্বার্থকতা আসবে কি করে?।

আজ আমার কি হলো বুজতে পারছিনা !! খুব লিখতে ইচ্ছা করে আমার প্রিয় মানুষের উদ্দেশ্যে কিছু লিখতে হবে কারন তার জন্মদিন । তাই লেখা শুরু করে দিলাম আপনারা একটু কষ্ট করে চিঠির পাতাটা খুলে পড়ে নিবেন । চলমান—–চোখ রাখুন সুখপাখি গল্পে ।

আমার এ লেখা একান্তই ধ্যান ধারনা থেকে নেওয়া এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল না থাকতে পারে । প্রতিটি লেখা কারো জীবনের সাথে মিলে যেতে পারে । যদি কারো বেলায় এমনটি ঘটে আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী ।

ধন্যবাদ : লেখক ।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »