এস্যাইনমেন্ট যেভাবে লিখবেন (বাংলা)

ডিসেম্বর ২০ ২০২০, ১৩:৩৩

Spread the love

অনেকেই এ্যসাইনমেন্ট লেখা নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে যান বিশেষ করে যারা এমবিএ, বিএড, এমড করে থাকেন অথবা ডিপিএড প্রশিক্ষণে অংশ নেন । একটি সফল এ্যসাইনমেন্টর ধারনা দিতে চেষ্টা করছি । বিশেষ করে বাংলায় এ্যসাইনমেন্টর কপির মডেল পাওয়া দুস্কর ।

 

এসাইনমেন্টে সাধারণত থাকে

১. কভার পেজ

২. ফরোয়াডিং চিঠি

৩. কৃতজ্ঞতা পত্র

৪. ঘোষণা পত্র

৫. মুখবন্ধ

৬. সূচীপত্র

৭. ভূমিকা

৮. রেফারেন্স

১০. সংক্ষিপ্ত শব্দের পূর্ণ রুপ

১১. প্রশ্নের আলোকে পুরো এস্যাইনমেন্ট উপস্থাপন

১২. উপসংহার

এখানে একটি মডেল উপস্খাপন করা হলো ।

কভার পেজ: 

বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ওপেন স্কুল এমবিএ প্রোগ্রাম (বাংলা মাধ্যম)
এ্যাসাইনমেন্ট
ওএসএমবিএ ২১০৩: আন্তর্জাতিক ব্যবসায়
এমবিএ (বাংলা) প্রোগ্রাম
ওপেন স্কুল

উপস্থাপনায়
ক.
তত্ত্বাবধায়ক
খ.

এ্যাসাইনমেন্ট উপস্থাপনের তারিখ : …..

 

 

ফরোয়াডিং

বরাবর
সমন্বয়কারী
এমবিএ (বাংলা) প্রোগ্রাম
ওপেন স্কুল
বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যায় ।

বিষয়: এস্যাইনমেন্ট জমাদান।

মহোদয়,
যথাযথ সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এইযে অত্যান্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যায়ের আলোকে আমি আমার তত্ত্বাবধায়কের নির্দেশনা ও আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় একখানা এস্যাইনমেন্ট প্রস্তুত করেছি ।
আমি উক্ত এস্যাইনমেন্ট প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যায়ের লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করার চেষ্ট করেছি।

আমার এ্যাসাইনমেন্ট খানা গ্রহন করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি ।

বিনীত নিবেদক,

ক)

কৃতজ্ঞতা স্বীকার

মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট শোকরিয়া আদায় করছি এজন্য যে, তার অশেষ রহমতে আমি এই এ্যাসাইনমেন্ট টি লেখার সুযোগ পেয়েছি। এ্যাসাইনমেন্টটি লেখার শুরুতে আমি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞাত জ্ঞাপন করছি আমার তত্ত্বাবধায়ক সরকারি বরিশাল কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক জনাব মোঃ জামাল উদ্দীন স্যার এর প্রতি। তিনি আমার এ্যাসাইনমেন্টটি তৈরি করার জন্য সার্বিক সহায়তা করেছে। তার আন্তরিক সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি, সুচিন্তিত মতামত,সুদক্ষ দিক নিদের্শনা ও বিচক্ষনতায় আমার পক্ষে এ্যাসাইনমেন্টটি প্রস্তুত করা সক্ষম হয়েছে।
আমার এ্যাসাইনমেন্ট বিষয় হচ্ছে “বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরন অঞ্চল” । আমি এ্যাসাইনমেন্টটি প্রস্তুত করতে বিভিন্ন নিউজপত্র ওয়েবসাইট ও বাউবির বই থেকে তথ্য গ্রহন করেছি তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ।
সবশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যলয় ও সরকারী বরিশাল কলেজ কতৃপক্ষের কাছে বাংলায় এরুপ একটি কাজ সম্পন্ন করার সুযোগ দেয়ার জন্য ।

কৃতজ্ঞতায়:

ক)

ঘোষণাপত্র

আমি এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, “বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরন অঞ্চল” শীর্ষক এ্যাসাইনমেন্টটি সম্পুর্ণ রুপে আমার নিজস্ব রচনা। এই মর্মে ঘোষনা পত্রটি এমবিএ (বাংলা), ৩য় সেমিষ্টার, পাঠ্যক্রমের একটি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে রচনা করছি। এটি অন্য কোন গবেষণা কাজের জন্য প্রস্তুত করা হয়নি। বা কোনো বানিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য নয় ।
আমি আমার এই রচনায় শৃজনশীলতা প্রকাশের চেষ্টা করেছি । আমার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে । এই রচনায় কোন প্রকার ভুলত্রুটি হলে সেটার দায়ভার আমার এর জন্য আমার তত্ত¦াবধায়ক অথবা কর্তৃপক্ষ দায়ি নয় ।
আমি এ ষোষণা সজ্ঞানে সুস্থ্য মস্তিস্কে করছি ।

ধন্যবাদান্তে
ক)

পটভূমি :
একটি দেশের আথর্- সামাজিক উন্নয়ন, জীবনযাত্রার মানোন্নায়ন, দারিদ্র্যতা দূরীকরণ এবং শিল্প খাতের দ্রুত বিকাশের লক্ষ্যে দেশের বিভিন ড়ব অঞ্চলে রপ্তানি পঙμিয়াকাল এলাকা স্থাপনের নীতিমালা গ্রহণ করা হয়। রপ্তানি পঙμিয়াকরণ অঞ্চল হলো একটি বিশেষায়িত অঞ্চল, যেখানে রপ্তানিমুখর শিল্প-কারখানা স্থাপন করা হয়। ইপিজেড হলো মূলত রপ্তানি প্রμিয়াকরণ অঞ্চল। ইপিজেথ বলতে মূলত রপ্তানি পঙμিয়াকরণ অঞ্চলকে বোঝায়। শুধুমাত্র রপ্তানির উদ্দেশ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। এই অঞ্চলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অবকাঠামোকৃত সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। আদিকাল থেকে মূলত এলাকাভিত্তিক শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার ধারণা প্রচলিত। তাই আমরা বলতে পারি, রপ্তানিপ্রμিয়াকরণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ধারণা নতুন নয়। একটি দেশের অর্থনীতির উনড়বয়নে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভূমিকা অনস্বীকাযর্। একটি দেশের ব্যবসায়িক বিপ্লবের জন্য তথা শিল্পোনড়বয়নের জন্য রপ্তানি পঙμিয়াকরণ অঞ্চলকে সরকার কর্তৃক কর অবকাশ সুবিধাসমূহ প্রদান করা হয়। সরকার কর্তৃক বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা ইপিজেটের প্রধান কাজ।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে এ্যসাইনমেন্ট প্রস্তুত করা হয়েছে ।

কোর্সের নাম:

এস্যাইনমেন্টর শিরোনাম :

রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য প্রত্যেকটি দেশের মতো বাংলাদেশেও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল রয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানিতে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের ভূমিকা লিখুন।

এস্যাইনমেন্টে ব্যবহারিত সংক্ষিপ্ত শব্দের পূর্ণ রুপ :
সংক্ষিপ্ত শব্দের পূর্ণ রুপ
বাউবি বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ওএসএমবিএ ওপেন স্কুল মাস্টার্স অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্টেসন
ইপিজেড এক্সপোর্ট প্রোসেসিং যোন
ইঊচতঅ ইধহমষধফবংয ঊীঢ়ড়ৎঃ চৎড়পবংংরহম তড়হব অঁঃযড়ৎরঃু

সুচিপত্র

বিষয় পৃষ্ঠা নং
১. সূচনা ৮
২. রপ্তানি প্রক্রিয়াকরন অঞ্চল ৯
৩. রপ্তানি প্রক্রিয়াকরন অঞ্চল তৈরীর কারণ ১০
৪. বাংলাদেশে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরনে স্থাপনযোগ্য শিল্পের শ্রেনিবিভাগ ১১
৫. ইপিজেড এ বিনিয়োগের কারন ১২
৬. উপসংহার ১৩

সূচনা :
বাংলাদেশে ১৯৮০ সালে সংসদে পণ্র ীত একটি আইনের ভিত্তিতে ১৯৮৩ সালে প্র ম ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ৮ (আট)টি ইপিজেট রয়েছে। স্থানসমূহ হলো : চট্টগ্রাম, ঢাকা, মংলা, কুমিল্লা, ঈশ্বরদী, উত্তরা (নীলফামারী), আদমজী ও কর্ণফুলী ইপিজেথ, বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রামে একটি কোরীয় ইপিজেথ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেকোরিয়া সরকারের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্র ম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বও পণ্য রপ্তানিতে ৯৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের আয় হয়েছে [(সূত্র : বাংলাদেশ রপ্তানি উনড়বয়ন ব্যুরো (ইপিজি)] বিগত
২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে সাড়ে ১০ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়। বিগত বছরে আয় হয়েছিল মোট ৩৪ হাজার ৫৪
কোটি ডলার। (সূত্র : প্রথম আলো, ২০১৯) বাংলাদেশ রপ্তানি পঙμিয়াকরণ অঞ্চল অথবা বেপজা মূলত আথর্- সামাজিক
উনড়বয়ন এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে শিল্প খাতের দ্রুত বিকাশের জন্য কাজ করে আসছে।

রপ্তানি পঙμিয়াকরণ এলাকা বলতে যা বুঝায় :
রপ্তানি পঙμিয়াকরণ অঞ্চল হলো এমন একটি এলাকা অথবা অর্থনৈতিক সুবিধাযুক্ত স্থান, যেখানে আমদানীকৃত,
উৎপাদিত অথবা পুনঃজাহাজীকরণ করা হয় হ্রাসকৃত শুল্ক এবং শুল্ক কর্মকর্তাদের ন্যূনতম হস্তক্ষেপে। গ.জ. ইবধভবৎ মতে,
‘একটি বিশেষায়িত অঞ্চলকে রপ্তানি পঙμিয়াকরণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে রপ্তানিমুখর শিল্প-কারখানা । বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো বেসরকারি খাত ্থ শিল্প এবং ব্যবসায় সম্প্রসারণে এই খাতের ভূমিকা
অপরিসীম। সরকার কর্তৃক বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করার জন্যই ইপিজেথের সৃষ্টি। ইপিজেড মূলত বিদেশি
বিনিয়োগ আকষর্ণ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ইপিজেডে যে সম¯ Í শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তারা অবকাঠামোগত
এবং আর্থিক সুবিধা সরকার পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল অথবা বেপজা মূলত আথর্-সামাজিক উনয়œন এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে শিল্প খাতের দ্রুত বিকাশের জন্য কাজ করে আসছে। বেপজা সরাসরি মাননীয় প্রধানমšী¿র নেতৃতধ¡ীন একটি বোর্ড অব গভর্নরের নিয়ন্ত্রাধীন। এই বোর্ডে মোট সদস্যসংখ্যা ২১ জন। বোডের্র উল্লেখযোগ্য সদস্যদের মধ্যে অন্যতম হলো অথর্, পরিকল্পনা, শিল্প, বাণিজ্যে, বিদ্যুৎ জ্বালানি, খনিজ এবং শিপিং মšণ¿ালয়ের মাননীয় মšী¿বগর্, ঘইজ-এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ইঙও-এর চেয়ারম্যান এবং সরকারের সংশিষ্টø মšণ¿ালয়ের সচিবগণ। এ ছাড়া বেপজার বোডর্ অব গভর্নরসের অধীনে একটি নির্বাহী পরিষদ কাজ করে। উলেখø্য, প্িরতটি রপ্তানি প্িরক্রয়াকরণ অঞ্চলের প্রধান হলেন একজন জিএম অথবা মহাব্যবস্থাপক। এই মহাব্যব¯া’পক সরাসরি নির্বাহী চেয়ারম্যানের অধীনে কাজ করেন।
একটি দেশে যে কারণে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল তৈরি হয় :
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল তৈরি হয় স্থাপনের মূলে নি¤েœাক্ত কারণগুলো উল্লেখযোগ্য :
১. একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা।
২. রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্িরতষ্ঠানসমূহকে সুযোগ করে দেওয়া।
৩. প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
৪. উৎপাদনে বিচিত্রতা ও উৎকষর্ সাধন।
৫. রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ।
৬. শিল্পক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে শিল্প-প্িরতষ্ঠান ¯া’পনের অনুপ্রেরণা দেওয়া।
৭. একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে কাজ করা।
৮. আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তরান্বিত করা এবং দারিদ্য্রতা হ্রাসকরণ।

বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় স্থাপনযোগ্য শিল্পের শ্রেণিবিভাগ :
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের মূল লক্ষ্যই শিল্প-প্িরতষ্ঠানসমূহকে বিশেষ সুবিধা পদ্রান করা। রপ্তানি প্িরক্রয়াকরণ অঞ্চলে স্থাপনযোগ্য শিল্পসমূহকে মালিকানার দিক থেকে নি¤োœক্ত তিনটি বিশেষ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যথা :
১। ‘অ’ শ্রেণি (এৎড়ঁঢ়-অ) : ১০০% বিদেশি পুঁজিনির্ভর শিল্পকে শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মূলত বিদেশি নাগরিকত ¡ লাভ করা বাংলাদেশিরা এরূপ শিল্প স্থাপন করতে পারে।
২। ‘ই’ শ্রেণি (এৎড়ঁঢ়-ই) : বিদেশি ও বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের যৌথ মালিকানায় যে শিল্প-প্িরতষ্ঠান গড়ে ওঠে তাকে ‘ই’ শ্রেণির শিল্প বলে।
৩। ‘ঈ’ শ্রেণি (এৎড়ঁঢ়-ঈ) : মূলত ১০০% বাংলাদেশিদের প্েরচষ্টায় যে শিল্প-প্িরতষ্ঠান গড়ে ওঠে তা ‘সি’ শে্িরণর শিল্প বলা হয়।
শ্রেণিবিভাগ অনুসারে বাংলাদেশের এ নি¤েœাক্ত রপ্তানিশিল্প ¯া’পন করা যেতে পারে। যেমন :
১. বয়ন ও পোশাকশিল্প; যথা : তৈরি পোশাক, হোসিয়ারি, নিটিং কাপের্ট, ক¤ল^।
২. গৃহস্থালি শিল্পসামগ্রী; যথা : সরঞ্জাম, আসবাবপত্র, যšপ¿াতি।
৩. চামড়াজাত শিল্প; জুতা ও চামড়ার তৈরি দব্র্যসামগ্রী।
৪. খেলাধুলার সামগ্রী।
৫. ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যাদি।
৬. কৃত্রিম অলংকারসামগ্রী।
৭. মেডিক্যাল যšপ¿াতি-শিল্পসামগ্রী।
৮. মৎস্য টিনজাতকরণ।
৯. প্লাস্টিকের দ্রব্য।
১০. ফল প্রক্রিয়াকরণ শিল্প।
শিল্পের শ্রেণিবিভাগ (জুন, ২০১৮)
শ্রেণিবিভাগ সংখ্যা

ই ঈ ১০০% বিদেশি পুঁজিনির্ভর বিদেশি ও বাংলাদেশিদের যৌথ মালিকানায়
১০০% বাংলাদেশি মালিকানায় ২৬৭ ৬৬
১৪৩
বাস্তবায়নের অধীনে মোট ৪৭৬ ১১৪

ইপিজেড- এ বিনিয়োগের কারণসমূহ বর্ণনা করা হলো :
আধুনিক ব্যবসায় ক্রমাগতভাবে সম্প্রসারণে বিশা¦য়নের ভূমিকা অপরিসীম। উনয়œনশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক বিশে ¦পদচারণ শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে ইপিজেডের ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে শিল্পোনয়œন পরিপূণর্ বিকাশ এখনো ঘটেনি; যার মূলে রয়েছে মূলধনের সুষ্ট ব্যবহার, অ¯ি’িতশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, উদ্যোক্তার অভাব এবং সর্বোপরি প্রেষণার অভাব। শিল্প স্থাপনে এ সম¯ Íঅসুবিধা থাকা সত্তেও¡ ইপিজে উদ্যোক্তাদের আশার আলো দেখিয়েছে। ইপিজে পণ্য উৎপাদন রপ্তানিতে সঠিক পরামশর্ পদ্রান করে দেশীয় ব্যবসায় সম্পস্রারণে উলেখøযোগ্য সেবা পদ্রান
করছে। বেপজা কতর্পৃক্ষের পৃষ্ঠপোষকতায় ইপিজে অঞ্চলে ক্রমবধর্মানভাবে বিদেশি পত্র্যক্ষ বিনিয়োগের (ঋউও) হার
বেড়ে চলেছে। ইঊচতঅ নেতৃতে ¡বাংলাদেশ অথর্নীতি উত্থানের সাথে দুর্দাš Íগতিতে আমদানি ও রপ্তানি বেড়ে চলেছে।
বেপজা (ইঊচতঅ) এখন বর্তমান বিশ্বে একটি ত্যান্ড হসেবে ¯ী^কৃত প্িরতষ্ঠান, যা শিল্প ¯া’পনে এবং শিল্পের সুবিধাথের্ অন্যদের পথ প্রশ¯ Íকরে চলেছে। ইঊচতঅ-এর কাছ থেকে যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে বা ইপিজেে বিনিয়োগের কারণসমূহ তুলে ধরা হলো :
১। বেপজাপ্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা : নি¤োœক্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো ইপিজে গুলো দিয়ে আসছে।
ক্স তাৎক্ষণিক আমদানি ও রপ্তানির অনুমতি পদ্রান।
ক্স আমদানি, রপ্তানি সনদ নবায়নের প্রয়োজন হয় না।
ক্স বিশেষায়িত সেবা প্রদান।
ক্স বন্ড লাইসেন্স নবায়ন প্রয়োজন হয় না।
ক্স সার্বক্ষণিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান।
ক্স সুরক্ষিত বন্ডের ওয়্যার হাউস।
২। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা : অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বলতে নি¤েœর সেবাসমূহ প্রদান করা হয় :
ক্স অবকাঠামোগত সুবিধা যথা : পানি, রা¯াÍ, গ্যাস ইত্যাদি।
ক্স গুদামঘরের পর্যাপ্ততা।
ক্স কারখানা ভাড়ার সুব্যবস্থা।
ক্স শ্রমিক-কর্মচারীদের শিক্ষক ব্যবস্থা।
ক্স চিকিৎসার ব্যবস্থা।
ক্স সাপোটর্ সার্ভিস : শপিং, ডে-কেয়ার, হেলথ কা¬ব, পোস্ট অফিস ইত্যাদি।
৩। লিড টাইম হ্রাস : মূলত অবিযাচনের জন্য, অর্থাৎ পণ্য ক্রয়ের সময় থেকে প্রাপ্তি পযর্š Í সময়ের ব্যাপ্তিকালকে লিড বলা হয়। মূলত ইপিজেে খবধফ ঃরসব কম প্েরয়াজন হয়। কেননা :
ক্স সহজে আমদানি ও রপ্তানির অনুমতি পদ্রান করা হয়।
ক্স ইপিজেড গুলোর মধ্যে পণ্য স্থানান্তরের অনুমতি রয়েছে।
ক্স উড়পঁসবহঃধৎু অপপবঢ়ঃধহপব ভিত্তিক আমদানির, অর্থাৎ ওসঢ়ড়ৎঃ ড়হ উড়পঁসবহঃধৎু অপপবঢ়ঃধহপব সুযোগ হয়। সাবকন্ট্রাক্টিং সুবিধা রয়েছে। কাঁচামালের সহজলভ্যতা।
৪। আইন-শৃঙ্খলাজনিত সুবিধা : ইঊচতঅ কতর্পৃক্ষ ইপিজেড এলাকায় সাবির্ক নিরাপত্তাব্যব¯া’ সুনিশ্চিতকরণের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো :
ক্স বিনিয়োগকারীদের স্বত্বাধীকরণের আইনগত ¯ী^কৃতি পদ্রান।
ক্স বিদেশি বিনিয়োগ আইন দ্বারা স্বীকৃত।
৫। প্রণোদনা : ইঊচতঅ উদ্যোক্তাদের আকষর্ণের উদ্দেশ্যে আথির্ক এবং অনাথির্ক ইনসেনটিভ পদ্রান করে থাকে, যা নি¤ে œ তুলে ধরা হলো :
ক্স শুল্কমুক্ত নির্মাণসামগ্রীর আমদানির সুযোগ।
ক্স কৃষিভিত্তিক শিল্পের জন্য ৩০% নগদ সহায়তা।
ক্স ১০ বছরের জন্য আয়কর মওকুফ এবং পরবর্তীতে ৫ বছরের হ্রাসকৃত হারে আয়কর পদ্রান।
ক্স দ্বৈতকর হতে অব্যাহতি।
ক্স বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শুল্কমুক্ত তিনটি মোটরযান আমদানির সুবিধা।
ক্স লভ্যাংশের ওপর আয়কর মওকুফ।
ক্স ১০০% বৈদেশিক মালিকানা শিল্পকে অনুমতি দেওয়া।
ক্স মূলধন ও লভ্যাংশের টাকা নিজ দেশে প্রেরণের সুবিধা।
ক্স বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ গ্রহণের সুবিধা পদ্রান।

৬। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ তদারকি সংস্থাসমূহের আšঃÍসম্পর্ক :
ইঊচতঅ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করেছে। যথা : গঁষঃরষধঃবৎধষ ওহাবংঃসবহঃ এঁধৎধহঃবব
অমবহপু(গওএঅ) এবং ডড়ৎষফ রহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু ঙৎমধহরুধঃরড়হ (ডওচঙ) ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈবহঃবৎ ভড়ৎ ঃযব ঝবঃঃষবসবহঃ (ওঈঝওউ) ঙাবৎংবধং চৎরাধঃব ওহাবংঃসবহঃ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হ (ঙচওঈ)। উপরোক্ত দুটি প্িরতষ্ঠানের সাথে সুসম্পকর্ বজায় রেখেছে, যা বিনিয়োগকারীদের ¯া^থর্ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

উপসংহার :
রপ্তানি প্রক্রিয়া অঞ্চল অবকাঠামোগত সুবিধা, লিড টাইম হ্রাস, আইন-শৃঙ্খলাজনিত সুবিধা, আর্থিক এবং অনার্থিক ইনসেনটিভ প্রদান, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ তদারকি সংস্থাসমূহের আন্ত সম্পর্ক সংরক্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

রেফারেন্স :
১. বাউবি বই
২. শ্রেণি শিক্ষকের উপস্থাপন
৩. প্রথম আলো পত্রিকা
৪. ডেইলি স্টার
৫. ইপিডেপ ওয়েব সাইট
৬. গুগুল



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »