দুমকির নদীগর্ভে বিলীন হওয়া জমির এডি লাইন টানা হলো
ফেব্রুয়ারি ০৩ ২০২১, ২১:৪৪
এডি লাইন টানা হলো দুমকির নদীগর্ভে বিলীন হওয়া জমির
সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিকস্তি জমির এডি লাইন টানার কাজ শুরু করেছে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলা ভূমি অফিস। ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ বুধবার দুমকিতে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া জমির এডি লাইন টানার কাজ সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন বরিশাল বিভাগের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার (ডিএলআরসি) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল। এসময় তার সাথে দুমকি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মোঃ আল ইমরান এবং ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলের ভৌগলিক ইতিহাস ভাঙাগড়ার ইতিহাস। সিকস্তি-পয়স্তির ইতিহাস। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলে নদী-নালা-খাল-বিল ভেঙে জমি যেমন পানিতে বিলীন হয়, তেমনি নতুন নতুন ভূমিও জেগে ওঠে। কিন্তু সময়মতো এডি লাইন না টানার কারণে জমির মালিকানা নিয়ে দেখা দেয় দ্বন্দ্ব। প্রতিনিয়ত চলে মামলা-হামলা, দখল-পাল্টা দখল এবং সংঘর্ষ। ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অধিকাংশ সময় নামজারি ও অন্যান্য কাজে সময় অতিবাহিত করেন। এডি লাইন টানার ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ তেমনটি পরিলক্ষিত হয় না।
বরিশাল বিভাগের ডিএলআরসি তরফদার মোঃ আক্তার জামীল বলেন, বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়সহ বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসকবৃন্দ সিকস্তি ও পয়স্তি জমির এডি লাইন টানার বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করে আসছিলেন। আমি নিজেও পরিদর্শনকালে সবসময় এডি লাইন টানার বিষয়ে ভূমি অফিসসমূহকে বলে এসেছি। দীর্ঘদিন পরে হলেও দুমকি উপজেলায় এডি লাইন টানার কাজ শুরু হয়েছে। এটা আশাব্যঞ্জক। আশা করি বিভাগের অন্যান্য জেলার উপজেলা ভূমি অফিসসমূহও এ কাজটি শুরু করবে। এর ফলে এ অঞ্চলে জমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতাও হ্রাস পাবে।