ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের আরও কয়েকজন শিক্ষকের একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক দৈহিক সম্পর্ক ও যৌনাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে

ছাত্রীকে বিয়ে করে যৌতুক দাবি করায় মামলা

সেপ্টেম্বর ১৫ ২০২০, ১৫:৩৪

Spread the love

আজমীর হোসেন তালকুদার, ঝালকাঠি: ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আল-আমিন মাঝির বিরুদ্ধে ছাত্রীকে বিয়ে করে যৌতুক দাবির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএম ইমরানুর রহমান রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ আদেশ দেন। ইতিপূর্বে সরকারি মহিলা কলেজে শিক্ষাদান কালে এই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে দৈহিক মেলামেশা করেও বিয়ে করতে অস্বীকার করলে চাপের মুখে সে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল।

ওই ছাত্রীর মা ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসানের কাছে অভিযোগ করেন এবং মামলা দায়েরের জন্য ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে এফিডেভিট করেন। তবে ওই সময় জেলা ও দায়রা জজ ছুটিতে থাকায় মামলা হয়নি। পরে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আল-অমিন মাঝি নলছিটি উপজেলার রানাপাশা গ্রামের মো. তৈয়বুর রহমান মাঝির ছেলে। তিনি ৪ বছর আগে ঝালকাঠি মহিলা কলেজে যোগ দেন।

অভিযোগে জানা যায়, নির্যাতিত ওই ছাত্রী ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পাস করে। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কয়েক মাস আগে ক্লাস নেয়ার সুবাধে আল-আমিন মাঝি ওই ছাত্রীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে আল-আমিন ছাত্রীকে ফোন করে মহিলা কলেজে এনে বলেন, ‘তুমি ভালো রেজাল্ট করেছো। তুমি মেডিকেলে ভতির পরীক্ষা দাও। আমি তোমাকে সব রকমের সহযোগিতা করব।’

অভিযোগ রয়েছে, সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রভাসক আল-আমিন বিভিন্ন সময় ছাত্রীকে বরিশাল-ঝালকাঠির বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও মহিলা কলেজ সড়কের বাসায় নিয়ে শারীরিক ভাবে ভোগ করতো। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ল্যম্পট প্রভাসক আল-আমিন বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এনিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দোগ নিলে সে বাধ্য হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই ওই ছাত্রীকে যৌতুকের টাকার জন্য সে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করে। টাকা না দিলে বাবার বাড়ি থেকে আর নেয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন প্রভাষক আল আমিন মাঝি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রভাসক রুপী ল্যম্পট আল-আমিন মাঝি আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে কলেজে সহযোগীতা, পরীক্ষায় সুযোগ-সুবিধা দেয়াসহ নানা প্রলোভনে একই কায়দায় যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে। উক্ত আলআমিন মাঝি ছাড়াও ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের আরও কয়েকজন শিক্ষকের একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক দৈহিক সম্পর্ক ও যৌনাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »