ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে লন্ডভন্ড দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাতটি জেলা; প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি; আশ্রয়হীন লাখো মানুষ ও গবাদিপশু

Spread the love

ঘূর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে লন্ডভন্ড দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাতটি জেলা; প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি;আশ্রয়হীন লাখো মানুষ ও গবাদিপশু

ব্যুরো প্রতিনিধি:

ঘূর্নিঝড় আম্পানের প্রভাবে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাতটি জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জেলাগুলো হলো, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলা। বুধবার সকাল থেকেই এ সকল জেলাগুলোতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটা থেকে উপকূলীয় এলাকার নদী অববাহিকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস বইতে শুরু করে। অনেক যায়গায় নদী রক্ষা বাঁধসমূহ দূর্বল হওয়ায় প্রবলভাবে স্রোত বয়ে গিয়ে উক্ত বাঁধ সমূহের আংশিক বা কোথাও কোথাও পুরোপুরি ভেঙে লোকালয় প্লাবিত করেছে। এর ফলে জেলাসমূহের লোকজন অনেকেই পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গাছপালা ভেঙে পড়ে বহু মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাত দশটার দিকে উপদ্রুত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে 2007 সালের প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড় সিডরের থেকেও ঘুর্নিঝড় আম্পানের শক্তি বেশি। কারন হিসেবে তারা বলেছেন সিডরে তাঁরা এতো পানি দেখেননি। অনেকে জীবন বাঁচাতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সবথেকে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়াটাই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। অনেকে নিজ এলাকার যাঁদের বিল্ডিং রয়েছে সেখানে কোনোমতে আশ্রয় নিয়েছে। গৃহপালিত পশু যেমন, গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী নিয়ে নিরাপদে থাকাটা অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। মহামারী করোনা ভাইরাসের তান্ডবের মধ্যে প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড় আম্পানের কারনে দেশের মানুষ মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে এটা নিশ্চিতই বলা যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পটুয়াখালীর গলাচিপায় গাছের ডাল ভেঙে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জেলাগুলোতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এভাবে যদি সারা রাত ঘূর্ণিঝড় তার তান্ডব চালায় তাহলে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »