চাঁদাবাজদের হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন

রাজাপুরে বর্গাচাষিকে মামলা তুলে নিতে চাঁদাবাজদের প্রাণ নাশের হুমকি; ৮একর জমির চাষাবাদ বন্ধ

Spread the love

আজকের ঝলক নিউজ

চাঁদাবাজদের হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন

রাজাপুরে বর্গাচাষিকে মামলা তুলে নিতে চাঁদাবাজদের প্রাণ নাশের হুমকি; ৮একর জমির চাষাবাদ বন্ধ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

রাজাপুর সাংবাদক ক্লাব : ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম ফরাজীর ছেলে দরিদ্র বর্গাচাষি শহিদুল ইসলাম ফরাজীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য স্থানীয় প্রতি পক্ষের চাঁদাবাজ সন্ত্রসিরা প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছে। ওই বর্গাচাষির ৮ একর জমির আমনধানের চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছে। ১১ জুলাই শনিবার সকালে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, প্রায় চার মাস আগে ব্যাংক থেকে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে স্থানীয় আমজেদ আলী খান,মোদাচ্ছের আলি খান,ইকবাল শরীফ,নুরু মাষ্টার ও আবু ছালেক তালুকদারের প্রায় ৪ একর জমিতে পিয়াজ,তরমুজ,খিড়াই,মিষ্টি কুমড়া ও জালি কুমড়া চাষকরি।

চাষাবাদে খরচ হয়েছে প্রায় এক লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। ফসল ভালো হয়েছে দেখে পার্শবর্তি নলছিটি উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের মৃতু আমজেদ আলি হাং এর ছেলে বেলায়েত হাং, ছালাম আকনের ছেলে জুয়েল, হেমায়েত হাং এর ছেলে মামুন, খালেক মৃধার ছেলে রুবেল, কামাল আকনের ছেলে নয়ন, চান খানের ছেলে খোকন ও রিপন, রফিক খানের ছেলে সালমান, রশিদ মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লা, কবির হাং এর ছেলে শিহাব ও আইউব আলি আকনের ছেলে মাসুদসহ আরো ৪/৫ জনের একটি গ্রুপ বিভিন্ন সময় শহিদুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ফসল নষ্ট করার হুমকি দেয়। ফসল রক্ষার্থে বিভিন্ন সময় ৫শ’, ৭শ’ ও এক হাজার টাকাও তাদেরকে চাঁদা দিয়েছে শহীদুল ইসলাম।

কিন্তু ৫ এপ্রিল সকালে চাঁদাবাজরা ওই জমিতে গিয়ে শহিদুল ইসলামের কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই টাকা চাঁদা না দেয়ার কথা বললে তারা শহিদুলকে খারাপ গালমন্দ ও দেখিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরের দিন শহিদুল পাইকারের কাছে ৫ হাজার টাকার খিড়াই বিক্রির খবর পেয়ে ওই দিন রাতে প্রতিপক্ষের লোক জন মুখুশ পড়ে প্রায় শতাধিক গরু-মহিষ ওই ক্ষেতের বেড়া ভেঙ্গে প্রবেশ কড়িয়ে দেয়। ক্ষেত পাহাড়া দিতে টোং ঘরে শহিদুল ও তার সহোযোগী ফারুক মুসল্লির কাছে গিয়ে প্রতি পক্ষরা মোবাইল ফোনটি চায়। ফোনটি না দেয়ার কথা বললে বাক বিতন্ডার এক পর্যায় প্রতি পক্ষের হাতে থাকা দাও,রামদা,লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতারী কুপিয়ে ও পিটিয়ে শহিদুল ইসলাম ও তার সহোযোগী ফারুক মুসল্লিকে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় শহিদুল ও ফারুক বাঁচার জন্য মৃতুর ভান করেন। অনেকক্ষণ পরে তারা ক্ষেতের ফসল গরু মহিষ দিয়ে ও উপড়ে ফেলে নষ্ট করে চলে যায়। এতে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়।

তারা চলে গেলে শহিদুল ইসলাম ও ফারুক মুসল্লির ডাক চিৎকারে এলাকাবাসি এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেখান থেকে শহিদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করা হয়। ৭ এপ্রিল ফারুক মুসল্লি বাদি হয়ে আসামিদেরকে না চেনায় অজ্ঞাত ১৩/১৪ জনকে আসামি করে রাজাপুর থানায় একটি মামলা (নং ০৫/৫৬) দায়ের করেন। বর্তমানে কয়েকজন আসামি জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে শহিদুল ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। সন্ত্রাসি চাঁদা বাজদের হুমকিতে আতংকে শহিদুলের ৮ একর জমির চাষাবাদ বন্ধ,ইনকামের পথ বন্ধ থাকায় ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ বন্ধ এবং বৃদ্ধ বাবা,মা,স্ত্রী ও সন্তানদের খাবার জোগার করতে না পারায় অর্ধহারে অনাহারে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। সন্ত্রাসি চাঁদাবাজদের হাত থেকে বাচতে শহিদুল ও তার পরিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। প্রতি পক্ষের নেতৃত্বদানকারী মৃতু আমজাদ আলি হাং এর ছেলে বেলায়েত হাং তাদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, শহিদুলের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক ছিলো। রাতের আধারে কে বা কারা শহিদুলকে মেরেছে এবং ফসল নষ্ট করেছে এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমাদের বিরুদ্ধে শহিদুল একটি মিথ্যা মামলা করেছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »