লিখেছেন জহিরুল ইসলাম : বরিশাল সদরের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সেকেন্ট অফিসার মধ্য বয়সী একজন নারী । ঠিক তার পাশেই বসে আছেন এক বয়স্ক দাদা তার পদবী জানিনা অনুমান হয়তো আর ৩-৪ বছর চাকুরির মেয়াদ থাকতে পারে, তার সেবার সম্পর্কে আমি এখানে কিছু লিখছিনা । আমার খুবই একটি জরুরী সেবা দরকার ছিলো আজ। সেকেন্ড অফিসারের কাজের চাপ দেখে আমি কিছুটা বিস্মৃত হলাম, ১০ মিনিট টেবিলে বসতে পারছেন্না ভদ্র মহিলা কাজের এতো চাপ, তার পরেও অন্য ডেস্কও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন এমন কি অফিসের একটি কাগজ স্ক্যান করতে দেখলাম তাকে । কিছুক্ষণ পরে আমাকে বসতে বল্লেন, আমি বসে আমার কাগজপত্রগুলো দেখালাম ওনি খুব সুন্দরভাবে কাগজগুলো দেখে বল্লেন একটি কাগজ ঘাটতি আছে।
আমি জানালাম বাসা থেকে এনে দিতে ১০ মিনিট সময় লাগবে । তিনি বল্লেন আপনার পুরো সার্ভিসটি পেতে আমাদের একদিন সময় দিতে হবে, আমি জানালাম আজকে যদি আমি কাজটি করতে পারি তাহলে উপকৃত হই । ভদ্রভাবে বল্লেন ঠিক আছে আপনি কাগজটি নিয়ে আসুন আমি প্রুক্রিয়া করে যাচ্ছি দেখি কি করা যায় ।
তার দেখি কি করা যায় বলায় আমি বেশ আশাবাদী আমি সেবাটি পাবো । ঠিক ২০ মিনিট পরে গিয়ে দেখি একই অবস্থা তার টেবিলে কাজের অন্ত নেই, করোনার কারণে ১২.৩০ মিনিটে ব্যাংকি কাজ শেষ করতে হবে ।
আমি অপেক্ষা করলাম কারণ তার হাতে প্রচুর কাজ, কিচুক্ষণ পরে ঐ অফিসের একজন আমার কাজটি মনে করিয়ে দিলে তিনি তাকে বল্লেন আমি জানি একটু অপেক্ষা করতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরে আমার কাজটি হাতে নিলেন নির্ভুল ও সঠিকভাবে কাজটি করে দিলেন ।
আমি যদি আজকে সেবাটি নাও পেতাম আমার কোনো অভিযোগ থাকতো না কারণ তিনি আপ্রান চেষ্টা করেছেন । ২০ মিনিট অপেক্ষার পরে আমি আমার সেবাটি পেলাম । আমি জানি এই সেবাটি হয়তো ঐ ব্যক্তি ঐ চেয়ারে না থাকলে পাওয়া সম্ভব হতোনা ।
আমি তার কাছে গিয়ে বল্লাম আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ, আপনাকে ধন্যবাদ আমাকে সেবা দেয়ার জন্য ।তিনি হেসে বল্লেন, আমার তো দায়িত্ব এটা কাজের চাপ না থাকলে আরো কম অপেক্ষা করতে হতো । সেবাটি দিতে পেরেছি এজন্য আমারো ভালো লাগছে ।
এজন্যই যোগ্য ব্যক্তিদের যোগ্য স্থানে বসা খুবই জরুরী কারণ সেবার মান নির্ভর করে ব্যক্তির উপরে আর সেবার কথা লেখা থাকে শুধু কাগজে কলমে ।
অনেকেই প্রতিষ্ঠানের সেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আসলে প্রতিষ্ঠানের সেবা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানে কাজ করা ব্যক্তিদের উপরে ।