বিআইডব্লিউটিএ’র খাস জমিতে দখলকৃতদের উচ্ছেদের পরে দোকানের ভাঙ্গা টিন নিয়ে যাচ্ছে দোকানী

চরফ্যাশনে সরকারি জমি প্রভাবশালীর নামে রেকর্ড ও বন্দবস্ত দেয়ার অভিযোগ 

ফেব্রুয়ারি ১১ ২০২১, ২০:৪৮

Spread the love

চরফ্যাশনে ৪ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি প্রভাবশালীর নামে রেকর্ড ও বন্দবস্ত দেয়ার অভিযোগ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি:

চরফ্যাশনে প্রায় ৪-কোটি টাকা মূল্যের বিআইডব্লিউটিএ’র সরকারী জমি বেহাতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নিলকোমল ইউনিয়নের ঘোষেরহাট বাজার সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ’র টিকিট কাউন্টারসহ পরিত্যাক্ত ৭৮ শতাংশ সরকারী (একওয়ার ভূক্ত) জমি অবৈধ ভাবে দখল নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখনের নামে। এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ’র অধিনস্থ খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত ৩০ শতাংশ জমির ১০শতাংশে দোকানভিটিতে অসহায় ও দরিদ্র শ্রেণী প্রায় ৩০বছর যাবত ভোগ দখলে থাকলেও ওই ৩০ শতাংশ জমিও তার মা মাসুমা খানমের নামে বন্দবস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।চরফ্যাশনে অস্ত্রসহ সহযোগীসহ ডাকাত আটক;মটর সাইকেলটি জব্দ
সরেজমিনে জানা যায়, নিলকোমল ইউনিয়নের চরযমুনা মৌজায় এসএ ১৪০ নং খতিয়ানের ৫টি দাগে ২৯৭,২৯৮,৩১৬,৩১৭ ও ৩১৮ এলএ কেইচ নং ৬২ এফ ১৯৬৬-৬৭ সালে ৭৮ শতাংশ জমি বাংলাদেশ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র নামে একওয়ার করে ঘোষেরহাট বাজারে লঞ্চঘাটের টিকিট কাউন্টার ভবন নির্মাণ করে ভোগদখলে থাকে। দির্ঘবছর পরে ওই ভবনটি পরিত্যক্ত হলে ইকবাল হোসেন লিখন ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে বাৎসরিক লীজে ভোগদখল করেন। কিন্তু জমিটি তার বাড়ি সংলগ্ন হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জরিপ চলাকালীন সময়ে (৯২-১০সাল পর্যন্ত) ৪৮শতাংশ জমি অবৈধভাবে রেকর্ড করিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন স্থানিয় বাসিন্দারা।
যার এসএ ১৪০নং খতিয়ানে ২৯৭ নং দাগে ১৪৭নং দিয়ারা খতিয়ানে ৮৯৬ নং দাগে ১৫শতাংশ জমি তার মা মাসুমা খানমের নামে, এসএ ৯৭ ও ৯৮ নং দাগে দিয়ারা ২৩৪৪ নং খতিয়ানে ৮৯৫ নং দাগে তার পিতা সুলতান আহমেদ মাস্টারের নামে ২শতাংশ, এসএ ৩১৬,১৭ ও ১৮ নং দাগে দিয়ারা ২১২৯ নং খতিয়ানে ৮৭৫,৭৬ নং দাগে পিতা সুলতান আহমেদ মাস্টার, ইকবাল হোসেন লিখনসহ ৩ ভাই ফারুক,ওহিদুজ্জামান টুটুলের নামে মোট ৪৮ শতাংশ জমি রেকর্ডের অন্তর্ভূক্ত করিয়ে নেন।
এছাড়াও ওই জমির ৩০ শতাংশ জমি খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় এসএ ৯৭,৯৮ নং দাগে তার মা মাসুমা খানমের নামে তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে নিজের ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করে যেখানে  ৯ বোনসহ ওয়ারিশ রয়েছে ১২জন সেখানে ৩ভাই ইকবাল হোসেন লিখন,ফারুক এবং ওহিদুজ্জামান টুটুলকে ওয়ারিশ করে বিধবা মায়ের নামে আবেদন করে ওই জমি বন্দবস্ত নেন তিনি। যার কেইচ নং ৪৭৯এফ/১৫-১৬ খতিয়ান নং ২৯১৪ দিয়ারা দাগ নং ৮৯৫।আজকের গুরুত্বপূর্ণ নিউজ হেডলাইন ( ঝলক-১০)
স্থানিয়রা বলেন, ওই ৩০ শতাংশ খাস জমির ১০শতাংশ জমিতে ৩০ থেকে ৩৫ বছর যাবত ভোগদখলকৃত (দোকানভিটি) অসহায় ও নদী ভাঙ্গা মানুষকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়নি।
তবে বিআইডব্লিউটিএ’র অধিনস্থ ৩০ শতাংশ খাস জমিসহ সংলগ্ন স্থানিয় এক ব্যক্তির বাড়ি সংলগ্ন ভোগদখলকৃত ৬৯শতাংশ খাস জমি যা ওই ব্যক্তি ২৫২ এফ ২০০৮/৯ সালে বন্ধবস্ত নিয়ে সরকারি খাজনা পরিশোধ করে যার খতিয়ান নং ৭২১। বিআইডব্লিউটিএ’র ৭৮ শতাংশ একওয়ারভূক্ত জমির ৪৮ শতাংশ জমি ৯২-১০ সালের জরিপে তিনি এবং তার ২ভাই ও বাবা মায়ের নামে রেকর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ’র অধিনস্ত ৩০ শতাংশ খাস জমি এবং ওই জমি সংলগ্ন অন্য ব্যক্তির ভোগদখলে থাকা ৬৯ শতাংশ খাস জমি বন্দবস্ত নেন কিভাবে এমন প্রশ্ন এখন এলাবাসীর।
স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) ভূমি ও স্থাপনা বিভাগকে ইকবাল হোসেন লিখন মিথ্যা ও ভুল বুঝিয়ে  গত ৭ফেব্রুয়ারী খাস জমিতে স্থানিয় গড়িব ও অসহায় এলাকাবাসীর ভোগদখলকৃত ১০ থেকে ১২টি দোকানঘর বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ দ্বারা ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হয়। তবে এখন উচ্ছেদকৃত ওই জমি ভোগদখলের পায়তারাসহ বাকি জমিতে দোকান ও স্থাপনা নির্মাণ করে ভোগদখল করছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন।
এবিষয়ে ইকবাল হোসেন লিখনকে একাধিকবার ফোন দিয়ে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (ভূমি ও স্থাপনা) গোলাম মোস্তফার সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, কৃষি জমির জন্য ইকবাল হোসেন লিখনকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে যা প্রতিবছর নবায়ন করা হয়। তবে ওই জমিটি রেকর্ড ও বন্ধবস্ত নেয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
 ছবিঃ বিআইডব্লিউটিএ’র খাস জমিতে দখলকৃতদের উচ্ছেদের পরে দোকানের ভাঙ্গা টিন নিয়ে যাচ্ছে দোকানী
বার্তা প্রেরক
এআর সোহেব চৌধুরী
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »