জেলেদের আর্থ-সামাজিক জীবিকা
জানুয়ারি ১৫ ২০২১, ১১:২৮
ভোলা জেলায় ক্ষুদ্র পরিসরে মৎস চাষের সাথে সম্পৃক্ত অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র, প্রান্তিক এবং প্রতিক’ল পরিবেশের কাছে অসহায়। উপক’লীয় এলাকার জেলেরা অন্যতম প্রগতিশীল এবং প্রতিযোগীতাপূর্ণ একটি এলাকায় বসবাস করে যেখানে ঝুঁকি তাদের জীবিকার কৌশলের একটি অংশ। এটি দরিদ্রদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে কিন্তু একই সাথে এটি তাদের জীবন, স¤পদ, আয় এবং সঞ্চয়ের উপর হুমকি সৃষ্টি করে যার অর্থ মৎসজীবি সমাজের মানুষের দরিদ্রতা হতে মুক্ত হবার উলেখযোগ্য সুযোগ থাকা জরুরী। কিন্তু বাস্তবতা হল, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের জেলেদের জীবিকার মতই ভোলা জেলার জেলেদের জীবিকাও সময়ের সাথে দূঢ় ভাবে অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। ভোলা জেলার বহু সংখ্যক জেলেদের জীবন এবং জীবিকা জেলার চারপাশের পানি স¤পদের সাথে সম্পৃক্ত। নদী তীরে বসবাসকারী জেলেদের জীবিকার মান বহুলাংশে নদীর জীব-বৈচিত্র এবং মৎস স¤পদের উপর নির্ভরশীল। একটি জীবিকাকে তখনই টেকসই বলা যায় যখন তা মানুষকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলতে এবং চাপ ও ঝুঁকি হতে মুক্ত থাকতে এবং প্রাকৃতিক সম্পদের বিনষ্ট না করে বর্তমান ও ভবিষ্যতে সম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং সুরক্ষা করতে সহায়তা করে (চেম্বার্স, ১৯৯২)।
বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক এবং জীবিকা সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা গেছে যে, ক্ষুদ্র পরিসরে মৎস চাষীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং জীবিকার স্বরূপ-প্রকৃতি দেশের সমগ্র উপক’লীয় অঞ্চলে কম-বেশি একই রকম। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন গবেষক এবং বিজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা অনেক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং এসব গবেষণা প্রতিবেদন ওয়েবসাইট সহ বিভিন্ন মাধ্যম বিস্তারিত পাওয়া যাচ্ছে। তথাপি আমরা ভোলা জেলার ক্ষুদ্র মৎস চাষীদের আর্থ-সামাজিক এবং জীবিকার জাতিগত অবস্থা সম্পর্কে আলোকপাত করছি।
জরিপকালীন সময়ে সেকেন্ডারি ডাটার সত্যতা জেলেদের জীবিকার অবস্থা স¤পর্কিত বিভিন্ন ভেরিয়েবলের প্রেক্ষিত বিবেচনায় যাচাই করা হয়েছে। এই ভেরিয়েবলের মধ্যে রয়েছে বয়স কাঠামো, ধর্ম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুবিধাসমূহ, পরিবারের আকার, বাড়িঘরের অবস্থা, সুপেয় পানির সুবিধা, পয়ঃনিস্কাশন সুবিধা, বিদ্যুত সুবিধা, আয়, ঋণ সুবিধা, প্রশিক্ষণ সুবিধা, ঝুঁকি, অধিকার,অসহায়ত্ব/দুরবস্থা, সমস্যা ইত্যাদি।