কক্সবাজারের রোহিঙ্গাশিবিরে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছে কেয়ার বাংলাদেশ
আগস্ট ০২ ২০২১, ১৪:২৯
কক্সবাজারের রোহিঙ্গাশিবিরে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছে কেয়ার বাংলাদেশ
১ আগস্ট, কক্সবাজার, বাংলাদেশ: কেয়ারবাংলাদেশএরউদ্যোগেকক্সবাজারের ৪ নংরোহিঙ্গাশরণার্থীশিবিরেরসম্প্রসারিতঅংশেস্থাপিতহল ৪০ শয্যাবিশিষ্ট কোভিড-১৯ আইসোলেশনসেন্টার। মৃদুথেকেগুরুতরউপসর্গবিশিষ্টসকলপর্যায়ের কোভিড-১৯ আক্রান্তরোহিঙ্গাজনগোষ্ঠিকেসেবাদেবেএইসেন্টারটি। নারী ও পুরুষরোগীদেরজন্যআলাদাওয়ার্ড, শৌচালয় ও স্নানাগারেরসুবিধারপাশাপাশিএইআইসোলেশনসেন্টারটিতেথাকছেসার্বক্ষণিকচিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স, ঔষধ, অক্সিজেনসেবাএবং কোভিড-১৯ এরনমুনাসংগ্রহেরসুযোগ। সৌরশক্তিতেচালিতএইসেন্টারটিতেথাকছেরোগিদেরতিনবেলাখাবারেরসুবিধাও। পুরোশরণার্থীশিবিরেপরিচালিতস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোরমাধ্যমেকারও কোভিড-১৯ এরমৃদুউপসর্গদেখাদিলেতাকেএইআইসোলেশনসেন্টারেপ্রেরণকরাহবে।
কেয়ারবাংলাদেশএরতত্ত্বাবধানেপরিচালিতআইসোলেশনসেন্টারটিতেঅবস্থানকারীরোগিদেরপর্যবেক্ষণকরাহবে। মাঝারিকিংবাগুরুতরউপসর্গদেখাদিলেরোগীদেরউন্নতচিকিৎসারজন্যপ্রেরণেরওব্যবস্থাকরবেসেন্টারটি।
উদ্বোধনীঅনুষ্ঠানেপ্রধানঅতিথিহিসেবেউপস্থিতগণপ্রজাতন্ত্রীবাংলাদেশসরকারেরশরণার্থীত্রাণ ও প্রত্যাবাসনকমিশনারশাহ্রেজোয়ানহায়াতউদ্যোগটিসম্পর্কেসন্তুষ্টিপ্রকাশকরেএতোঅল্পসময়েরমধ্যেনারী ও পুরুষরোগীদেরজন্যপৃথকসুবিধাবিশিষ্টএমনএকটিসেন্টারপ্রতিষ্ঠায়কেয়ারবাংলাদেশকেধন্যবাদজ্ঞাপনকরেন। তিনিবলেন, “কোভিড-১৯ মোকাবিলায়আমাদেরএকসঙ্গেকাজকরাউচিত। এইআইসোলেশনসেন্টারটিকেয়ারবাংলাদেশএরকঠোরপরিশ্রমেরএকটিফসল।”
উক্তঅনুষ্ঠানেবিশেষঅতিথিহিসেবেউপস্থিতছিলেন ৪নং রোহিঙ্গাশরণার্থীশিবিরেরসম্প্রসারিতঅংশেরক্যাম্প-ইন-চার্জমোঃমাহফুজাররহমানএবংশরণার্থীত্রাণ ও প্রত্যাবাসনকমিশনেরস্বাস্থ্যসমন্বয়ক ড. আবুতোহাএম.আর.এইচভুইয়া। তারাউভয়ইসাইটম্যানেজমেন্টসার্ভিস (এসএমএস) ও অন্যান্যঅংশীদারদেরসহযোগিতারমাধ্যমেনবনির্মিতএইআইসোলেশনসেন্টারটিতেসার্বক্ষণিকসেবারবিষয়টিনিশ্চিতকরারবিষয়েকেয়ারবাংলাদেশেরপ্রতিআহ্বানজানান।
অনুষ্ঠানেউপস্থিতকেয়ারবাংলাদেশএরকান্ট্রিডাইরেক্টর রমেশ সিংবলেন, “বাংলাদেশসরকার ও অন্যান্যঅংশীদারদেরসঙ্গেকেয়ারবাংলাদেশেরসম্মিলিতপ্রচেষ্টারএকটিঅনন্যউদাহরণএইআইসোলেশনসেন্টারটি। বাংলাদেশসরকারেরঅকুণ্ঠসাহায্য ও সহযোগিতায়কেয়ারদীর্ঘদিনযাবৎ বাংলাদেশেতাদেরকার্যক্রমপরিচালনাকরেআসছে।”
কেয়ারবাংলাদেশএরডেপুটিকান্ট্রিডিরেক্টর (হিউম্যানিটারিয়ান) রামদাশবলেন, “এইআইসোলেশনসেন্টারটিপ্রতিষ্ঠারএকদমসূচনালগ্নথেকেইশরণার্থীত্রাণ ও প্রত্যাবাসনকমিশনারেরকার্যালয়েরঅসামান্যসহযোগিতাপেয়েএসেছেকেয়ারবাংলাদেশ। কোভিড-১৯ এরবিরুদ্ধেলড়াইকেবেগবানকরতেবিপুলচাহিদারপ্রেক্ষাপটেএটিকেয়ার-এরএকটিক্ষুত্রপ্রয়াস।”
রোহিঙ্গাশরণার্থীশিবিরেরবাসিন্দারোহিঙ্গানারী ও স্বাস্থ্যস্বেচ্ছাসেবকইয়াসমিনবলেন, “আইসোলেসনসেন্টারটিআমাদেরউপকারেআসবে । এখানেখুবছোটপরিসরেঅনেকমানুষেরবসবাস। তাইকোনওপরিবারেরএকজনসদস্যকরোনাভাইরাসেরশিকারহলেআইসোলেশনএকদমইঅসম্ভবএকটিবিষয়। এইসেন্টারটিআক্রান্তদেরপরিবারেরমানুষজনথেকেআলাদাথাকতেসহায়কহবে। আমরাস্বাস্থ্যস্বেচ্ছাসেবকরাকোথাও কোভিড-১৯ আক্রান্তকাউকেসনাক্তকরতেপারলেউপযুক্তচিকিৎসা ও পরিবারথেকেআলাদাথাকানিশ্চিতকরতেএইসেন্টারেপাঠাবো।”
কেয়ারসম্পর্কে: ১৯৪৫ সালেযাত্রাশুরুকরেকেয়ার। বিশেষকরেনারী ও নারীশিশুদেরনিয়েকাজকরারমাধ্যমেবৈশ্বিকদারিদ্রেরবিরুদ্ধেলড়াইচালিয়েযাওয়াকেয়ারএকটিশীর্ষস্থানীয়মানবিকসংস্থা। বর্তমানেবিশ্বের ১০০টিরও বেশিদেশেকাজকরছেকেয়ার। বাংলাদেশেকেয়ারএরযাত্রাশুরু ১৯৪৯ সালে। বর্তমানেকেয়ারবাংলাদেশেপরিচালনাকরছেনারী ও নারীশিশুরক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, গ্রামীণজনগোষ্ঠিরচরমদারিদ্রহ্রাসএবংমানবিক ও রেজিলিয়েন্সবিষয়কনানাবিধপ্রকল্প। গতবছরবাংলাদেশেপরিচালিত ৫৩ টিপ্রকল্প/উদ্যোগেরমাধ্যমেপ্রত্যক্ষভাবে ৭৭ লক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ ৬০ হাজারমানুষেরকাছেপৌঁছেছেকেয়ার। এসবপ্রকল্পসমূহেঅংশগ্রহণকারীদেরশতকরা ৫৮ ভাগইছিলেননারী।
বিস্তারিতজানতেভিজিটকরুন: www.care.org ওwww.care-international.org