বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি,:বাবুগঞ্জের রাকুদিয়া গ্রামের নুতুন হাট এলাকায় ছদ্মনাম মর্জিনা আক্তার-(১৫) এর সাথে ধামুরা এলাকার রমেশ চন্দ্র শীলের ছেলে অপু-(১৮)কে রাতের আধাঁরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে উত্তম মাধ্যম দিয়েছে স্থানীয়রা। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মেয়ের পালক বাবা স্যানেটারি ব্যবসায়ী জসিম হাওলাদারকে নিয়ে ৫০হাজার টাকায় রফা দফা করার পায়তারা করছে স্থানীয় কয়েকেজন কারণ মুসলিম পরিবারের মেয়ে আর ছেলে হিন্দু সনাতন ধর্মের হওয়ার কারণে টাকার বিনিময় বিষয়টি গোপন রাখার কথা বলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে জসিম হাওলাদারের বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে।
স্থানীয় রেজাউল ফরাজি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার দিন রাতে ছেলেকে সন্দেহ হলে নজড়ে রাখলে একটা পর্যায় দুজনকে পুকুর ধারে আপত্তিকর অবস্থায় লোকজন নিয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলি। তাৎক্ষনিক অপুকে বেধম মারধর করার কথা স্বীকার করেন তিনি। মারধর করে নুতুন হাটে কর্মরত ছেলের চাচা নরসুন্দর সুভাষ চন্দ্র শীলের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয় অপুকে।
স্থানীয়রা জানায়, নরসুন্দর সুভাষ চন্দ্র শীল নতুন হাটে কাজ করার সুবাধে ভাতিজা অপু ওই এলাকায় বসবাস করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ছেলে মেয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। ঘটনার পর থেকে অপু পলাতক রয়েছে।
সূত্র জানায়, (ছদ্ধনাম) মর্জিনা আক্তার গত এক বছরে রামপট্রি , রহমতপুর ও দক্ষিন রাকুদিয়া এলাকায় বোর্ড স্কুল এলাকার জৈনিক ছেলেদের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জরিয়ে পরে। যা মেয়ের পালক বাবা জসিম উদ্দিন টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে। নাম প্রকাশে অনচ্ছুক, জসিম উদ্দিনের উৎসাহ পেয়ে মেয়েটি বিভিন্ন স্কান্ডালে জড়িয়ে পরছে।
পালকবাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ছেলে মেয়ে দুইজনই নাবালক । বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জসিম হাওলাদার ঘটনাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করতেছে ও উক্ত সত্য ঘটনাটি মিথ্যা বানানোর চেষ্টা করতেছে। এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।