২৪ লক্ষাধিক টাকা যৌ’তুক দিয়েও রেহাই পাননি ছালেহা

Spread the love

রাজধানীর ডেমরায় তৃ’তীয় দফায় যৌতুকের দাবিতে মোছা. ছালে’হা আক্তার (৩৬) নামে এক গৃহবধূ তার স্বামী, দেবর ও শাশুড়ির পাশবিক নির্যাতনের শি’কার হয়েছেন। দুই দফায় ২৪ লাখ ৬০ হা’জার টাকা যৌতুক দিয়েও রেহাই পাননি ৩ সন্তানের মা ছালেহা আক্তার। এ ঘটনায় ভু’ক্তভোগী গৃহবধূ গত শনিবার দিনগত রাতে ডে’মরা থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

আসামিরা হলেন, ছালেহা অ’ক্তারের স্বামী মানিকগঞ্জের সিংগাইর থা’নার দাসেরহাটি গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে মো. বজলুর রশিদ (৪৮), তার মা হা’জেরা বেগম (৬২) ও তার ভাই মজ’নু (৪২)। বজলুর রশিদ তার পরিবার নিয়ে’ ডেমারার পূর্ব বক্সনগর ময়নান বাড়িতে ভা’ড়া থাকেন। এদিকে, মামলার দুই দি’ন অতিবাহিত হলেও আসামিরা পলাতক র’য়েছে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীর বরা’ত দিয়ে ডেমরা থানার অপারেশন অফিসা’র (ইন্সপেক্টর) নূরে আলম সিদ্দিকী বলে’ন, পারিবারিকভাবে গত ২০০৪ সালে সালে’হার সঙ্গে বিয়ে হয় বজলুর রশিদের। বি’য়ের কিছুদিন পরে সৌদি আরবে যাওয়া’র জন্য ছালেহার পিত্রালয় থেকে বজলু’রকে ৭ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়। গ’ত বছর বিদেশ থেকে চলে আসলে বজ’লুর ব্যবসার জন্য তার শ্বশুড়ের পে’নসন ও বসতভিটার বন্ধকের মোট ১৭ লাখ ৬০ হা’জার টাকা আবারও যৌতুক হিসেবে দে’ওয়া হয়। আর এ টাকা দিয়ে গত ১ অক্টো’বর ডেমরার একাট মার্কেটে দোকান দিয়ে ব্যব’সা চালু করেন তিনি।

নূরে আ’লম সিদ্দিকী আরো বলেন, গত ৫ নভে’ম্বর গ্রাম থেকে ছালেহার শাশুড়ি ও দেবর তা’দের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত ১০ নভে’ম্বর রাতে আসামিরা ব্যবসার পুঁজি বাড়া’তে ছালেহার পিত্রালয় থেকে আরো ১০ ল’ক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করেন। এ প্রস্তাব অ’স্বীকার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১১ নভে’ম্বর দিনগত রাতে আসামিরা ছালেহাকে এ’পাথারী মারধর শুরু করে। একপর্যা’য়ে বজলুর রশিদ ড্রেসিং টেবিলের গ্লাস ভে’ঙে ছালেহার গলায়, হাতে ও পিঠে রক্তাক্ত করে। এ স’ময় তার বড় মেয়ে অয়েশা’ও মারধর করে যৌতুক লোভীরা।

ডেমরা থা’নার ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘ’টনার পর আসামিরা পলাতক থাক’লেও দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আ’ওতায় আনা হবে।’



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »