লালমোহনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ।

Spread the love
সাহিদুর রহমানঃ-
 ভোলার লালমোহন উপজেলার সদর ইউনিয়নের “দক্ষিণ লালমোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়”।
১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন। তার পূর্বে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন তার পিতা মোঃ হানিফ। তখন (সেপ্টেম্বর ২০০৫) ওই প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার এর শিক্ষক ছিলেন মোঃ জাকির হোসেন। পিতার অবসরের পর প্রধান শিক্ষক পদটি নিজেদের দখলে রাখতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিধি অমান্য করে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন মোঃ জাকির হোসেন, এমন অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য মৃত আলী মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন নিরব।
এ মর্মে গত ৫ অক্টোবর অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিরব।
অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়, “দক্ষিণ লালমোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়” এর বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন গত ১ সেপ্টেম্বর ২০০৫ তারিখে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে এমপিও প্রাপ্ত হন। পরে ওই প্রতিষ্ঠানে গত ২ জুলাই ২০১৪ তারিখে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান ও ৩০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমপিও প্রাপ্ত হন জাকির হোসেন।
যা ততকালীন বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা কে লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং বর্তমান প্রধান শিক্ষক ওই নিয়োগ বিধি ভঙ্গ করে অনিয়মের আশ্রয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে মাত্র ১০ বছর ৭মাস ২৯দিনের অভিজ্ঞতায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন।
অপরদিকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তি পরবর্তী ওই প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য শিক্ষক/কর্মচারী  নিয়োগের নামে বাণিজ্যসহ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও দূর্নীতি করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, বর্তমান প্রধান শিক্ষকের পিতা মোঃ হানিফ মিয়া ওই বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি অবসরে যাওয়ার পূর্বেদুর্নীতির আশ্রয়ে নিজের ছেলেকে তরিঘরি করে প্রধান শিক্ষক পদে বসিয়ে দেন এবং নিজে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (লালমোহন) এর নির্দেশনা মোতাবেক অভিযোগের তদন্তের জন্য প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ  গত ৫নভেম্বর সকাল ১১টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত থাকার অনুরোধ  চিটি দেয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। তবে ৪ নভেম্বর সময় চেয়ে আবেদন করেন প্রধান শিক্ষক। পরে আগামী ১২ নভেম্বর তদন্তের দিন ধার্য করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে দক্ষিণ লালমোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে বক্তব্য না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।
ওই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান সভাপতি মোঃ হানিফ মিয়ার মুঠোফোনে কল দিলে সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়েই ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন এবং পরবর্তীতে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের আলোকে তদন্তকরার জন্য গত ৫ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক কে নিয়োগ সংক্রান্তসকল কাগজপত্রাদিসহ উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। পরে প্রধান শিক্ষক কতৃক সময় চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) তদন্তের দিন ধার্যকরা হয়েছে।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »