এবারও আলুর নির্ধারিত দাম মানছে না কেউ

Spread the love

 

এবার কেজিতে পাঁ’চ টাকা বাড়িয়ে সরকার নতুন করে আলু’র দাম বেঁধে দিলেও সে দামে বিক্রি করছেন না পাইকারি ও খু’চরা বিক্রেতারা। আগের মতো’ই গতকাল বুধবার খুচরা বাজা’রে মান’ভেদে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে আ’লু বিক্রি করতে দেখা গে’ছে।

এদিকে আলুর বাজা’র স্থি’তিশীল রাখতে প্রথমবারের মতো রা’ষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর’পোরেশন অব বাং’লাদেশ (টিসিবি) সারা দেশে খো’লাবাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু ক’রেছে।

সরকার নি’র্ধারিত দামে আলু বিক্রি না করার বিষয়ে খু’চরা বিক্রেতারা বলছেন, এ’খনো পাইকারিতে দাম আগের মতোই রয়েছে, বাড়তি দামেই তাঁ’দের কিনতে হচ্ছে। আর পাইকা’রি বি’ক্রেতারা বলছেন, হি’মাগার থেকে এখনো আলুর সরবরাহ বা’ড়েনি। যেটুকু আসছে তাও দা’ম বে’শি। ফলে দা’ম কমছে না।

হিমাগার মালিকদের দাবি, সংরক্ষিত আ’লুর মালিক কৃষক ও ব্যাপারীরা। এর ম’ধ্যে বিভিন্ন জেলার হিমাগার থেকে চা’হিদার ভিত্তিতে তাঁরা দুই-তৃতীংশ আলু স’রবরাহ করেছেন। যেটুকু র’য়েছে তা বীজ আলু হিসে’বে সংরক্ষিত।

গত’কাল রাজধানীর সেগুনবাগিচা, মানিকনগর, পুরা’না পল্টন, মতিঝিল ও মু’গদাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দো’কানেই ভালো মানের আ’লু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কে’জি দরে। কিছুটা কম মানেরগুলো বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টা’কা কেজি। কারওয়ান বাজারে পাই’কারি দোকানে আলু বি’ক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৪ টা’কা কেজি দরে। তবে বি’ভিন্ন সুপারশপে ছাড় মূল্যে বি’ক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজার’গুলোতে এর মধ্যে আলুর সরবরাহ ক’মে গেছে। একই অবস্থা পা’ইকারি বাজারগুলোতেও। কারওয়ান বাজারে গত’কাল চার-পাঁচটি পাইকারি দোকানে আ’লু দেখা গেছে। অথচ’ এই বাজারে ২২-২৩টি পাইকারি দোকা’ন সব সময় খোলা থাকে।

এক ব্য’বসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলে’ন, বাজারে অভিযান ‘চলে, এ জন্য অনেকে বিক্রি বন্ধ রেখেছে। সরকা’রের বেঁধে দেওয়া দামে হি’গার থেকে আলু এলে আবার ঠি’ক হয়ে যাবে।

পুরা’না পল্টন বাজারের সবজি বিক্রেতা ওয়াদুদ  ব’লেন, কারওয়ান বাজারে আলুর বা’ড়তি দাম দেখে একবার ভেবেছেন আ’নবেন না। পরে পাওয়া যাবে না—এই চিন্তা করে এক বস্তা এনে’ছেন। অথচ আগে তিনি প্রতি’দিন তিন বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০-৬০ কেজি) আলু বিক্রি করেন।

গত মঙ্গ’লবার সরকার আলুর দাম কে’জিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে খুচরা পর্যায়ে ৩৫ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৩০ টাকা ও হিমাগার পর্যায়ে ২৭ টাকা নির্ধারণ করে। এর আগে আ’লুর বাজারে নৈরাজ্য শুরু হলে সরকার খুচরায় ৩০ টাকা, পাই’কারিতে ২৫ ও হিমাগার পর্যায়ে ২৩ টাকা কেজি’ দর ঠিক করে দেয়। সেই দাম মানেননি কোনো পর্যায়ের ব্যবসায়ীই।

গতকাল জয়পু’রহাটের হিমাগার মা’লিকরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, জে’লার ১৭টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ ক্ষমতা দে’ড় লাখ মেট্রিক টন হলেও এবার আলু ম’জুদ হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার মে’ট্রিক টন। প্রতিটি হিমাগারেই সং’রক্ষণের প্রায় দুই-তৃতী’য়াংশ আলু চাহিদার ভিত্তিতে কৃষক ও আলু ব্যবসা’য়ীরা ভাড়া পরিশোধ করে হি’মাগার থেকে নিয়ে গেছেন।

এদিকে গত’কাল রাজধানীর মতিঝিল, সচিবালয় গেটসহ রাজধা’নীর ৩০টি স্থানে টিসিবি আলু বিক্রি করেছে। খুচরা বাজারে দাম বে’শি থাকায় ব্যাপক ‘চাহিদা দেখা গেছে টিসিবির ট্রাকগু’লোতে। বিক্রি শুরুর দুই-তিন ঘণ্টায় বি’ক্রি শেষ হয়ে গেছে এসব ট্রা’কের আলু।

মতিঝিল এ’লাকায় কথা হয় আল মাদিনা এন্টারপ্রাইজের মালি’ক টিসিবির ডিলার জুয়েল আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) থেকেই আ’লু বিক্রি শুরু হয়েছে। ২৫ টাকা ক’রে প্রতিটি ট্রাকে ৩০০ কেজি আলু বিক্রি কর’ছি আমরা। বাজারে দাম বেশি থাকায় ট্রাকে সব পণ্যেরই ব্যা’পক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে আলু আর পেঁয়াজের চাহি’দা বেশি।’

টিসি’বি ট্রাকে করে খোলা’বাজারে ৫০ টাকা কেজি মসুর ডাল, ৮০ টাকা লি’টার বোতলজাত সয়া’বিন তেল ও ৩৬ টা’কা কেজি দরে পেঁ’য়াজ আগে থেকেই বিক্রি করে আ’সছে।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »