৮ দিনের মাথায় সোমবার বসছে পদ্মা সেতুর আরেকটি স্প্যান
অক্টোবর ১৮ ২০২০, ১৭:৫৩
মাত্র ৮ দিনের ব্য’বধানে পদ্মা সেতুতে বসতে যাচ্ছে ৩৩তম স্প্যান। সো’মবার (১৯ অক্টোবর) স্প্যা’নটি বসানো হলে সেতুর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার (৪ হাজার ৯৫০ মিটার) দৃশ্যমান হবে।
এর আগে গত ১১ অক্টো’বর বহুমুখী সেতুটির ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর স্থা’পন করা হয় ৩২তম স্প্যান। ৩১তম স্প্যান বসানোর ৪ মাস পর এই স্প্যা’নটি বসানো হয়েছিল। এবার মাত্র ৮দিন পর বসানো হ’লো ৩৩তম স্প্যান।
গত আ’গস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ৫টি স্প্যান খুঁটির ওপর ব’সানোর লক্ষ্য ছিল। তবে মাওয়া প্রান্তের মূ’ল পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত থাকায় একটি স্প্যা’নও বসানো সম্ভব হয়নি। এখন পদ্মায় ব’ন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্রোতের তী’ব্রতাও স্বাভাবিক গতিতে ফিরেছে। ফ’লে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজেও গ’তি ফিরেছে।
এ’দিকে ২৫ অক্টোবর ৭ ও ৮ নম্বর পিয়ারের ও’পর ৩৪তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা র’য়েছে বলে জানা গেছে। ৩০ অ’ক্টোবর ২ এবং ৩ নম্বর পি’য়ারের ওপর ৩৫তম ব’সানো হবে। ৪ নভেম্বর ৩৬তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা র’য়েছে। অর্থাৎ প্রতি পাঁচ দিন অ’ন্তর একটি করে স্প্যান বসানোর ল’ক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। বাকি পাঁ’চটি স্প্যানও চলতি বছরই ব’সানোর পরিকল্পনা র’য়েছে।
৬ দশমিক ১৫ কি’লোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সে’তুতে মোট ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হ’চ্ছে। এর মধ্যে মা’ওয়া প্রান্তে ২১টি ও জা’জিরা প্রান্তে ২১টি। আর ৪২টি খুঁ’টির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যা’ন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সা’লের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নি’র্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সা’লের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ ন’র খুঁটিতে প্রথম স্প্যা’নটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃ’শ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এর’পর একে একে বসানো হলো ৩২টি ‘স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পি’লারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কি’লোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ ক’রা হবে। এর ম’ধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃ’শ্যমান হয়েছে।
মূল সেতু নি’র্মাণের জন্য কাজ করছে চী’নের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মে’জর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কো’ম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দে’শটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হা’ইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ স’ড়ক ও অবকাঠামো নি’র্মাণ করেছে বাং’লাদেশের আবদুল মোমেন লি’মিটেড।
ব’হুমুখী এ সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কং’ক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কা’ঠামো। পদ্মা সেতুর নি’র্মাণ কাজ স’ম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০২১ সালেই খুলে দে’য়া হবে বলে আশা করা যা’চ্ছে।