ঝুঁকিতে এনজিও উদ্যোগতা ও কর্মীরা

করোনায় ঝুঁকিতে আছেন দেশের ক্ষুদ্রঋণ

Spread the love

করোনায় ঝুঁকিতে আছেন দেশের ক্ষুদ্রঋণ

আজকের ঝলক নিউজ: দেশের ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা শোনা যায় হতে এটি একবাক্যে স্বীকার করতে হবে যে, গ্রাম গঞ্জের মানুষ সহজ শর্তে, সহজে সঠিক সময়ে ঋণ পেয়ে থাকেন এনজিওদের কাছ থেকে । এজন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষুদ্র ঋনের উপর নির্ভরশীল । আবার এই পেশার সাথে যুক্ত থেকে কর্মসংস্থান তৈরী করছেন অনেক উদ্যোগতা । পাশা-পাশি দেশের অর্থনীতিতে রাখছেন বড় ভূমিকা ।

করোনার গত এক বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেক ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা । ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলো অধিক মুনাফা লাভের প্রত্যাশায় ব্যংকে লিকুইট টাকা জমা রাখেনা তাই অধিকাংশ এনজিওদের প্রায় সকল টাকাই মাঠে সদস্যদের কাছে, গত বছর লক ডাউনের সময় লিকুইট টাকার অভাবে অনেক এনজিও কর্মীদের বেতন দিতে পারেনি । গত ৬ মাস যাবৎ এনজিওগুলো মাঠে শৃংখলা ফেরাতে ও সদস্যদের নিয়মিত করতে চেষ্টা করেছে । হঠাৎ করে আবার করোনা বেড়ে যাওয়ায় ২য় বারের মতো লক ডাউনে যাচ্ছে দেশ । এ অবস্থায় ক্ষতির সম্মুখ্খিন হবে ক্ষুদ্র ঋণ এবং এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এনজিওদের কঠোর পরিশ্রম ও বেগ পেতে হতে পারে ।

নিরপেক্ষ গবেষণা বলছে, দেশের আর্থসামাজিক ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে ক্ষুদ্র ঋণ।

দক্ষিণাঞ্চলের দুটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সিডর ও আইলায় আর্থিক ক্ষতির পর পরিবারগুলোর ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণের বড় অবদান দেখিয়েছে আইএনএম। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় উঠে এসেছে, ওই সময়ে প্রতিটি পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই বসতবাড়ির ক্ষতি। তবে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কিছু মানুষ ক্ষতির কবল থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারলেও ক্ষুদ্র ঋণ যারা নেয়নি তাদের বেশির ভাগই ফিরতে পারেনি। সাধারণ দুর্যোগ থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সম্পদ বিক্রি, অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ গ্রহণ, সঞ্চয় ব্যবহার, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুদান কিংবা মাইক্রোফাইনান্স প্রতিষ্ঠানের ঋণ। আর্থিক সেবার বাইরে বিরাট একটি অংশ এখনো রয়ে গেছে। তবে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহ ঋণ ও সঞ্চয়ের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাছাড়া গ্রামাঞ্চলে যেসব পরিবারে ক্ষুদ্র উদ্যোগ প্রকল্প আছে তাদের গড় আয় অন্যদের তুলনায় বেশি। এছাড়া তাদের জীবনযাত্রার মান অপেক্ষাকৃত উন্নত। ফলে সার্বিক ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণের একটি বড় প্রভাব রয়েছে।

২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সারা দেশে গ্রামে-গঞ্জের আনাচকানাচে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ৪৯৬টি ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২১ হাজার ৪০টি শাখা স্থাপিত হয়েছে। এতে কর্মরত রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি শিক্ষিত কর্মী। সদস্য সংগঠিত করে ক্ষুদ্র আর্থিক সেবায় এনেছে প্রায় ৩ কোটি ২৫ লাখ পরিবারকে। এদের মধ্যে ৯৬ শতাংশ মহিলা। প্রতি বছর ঋণ বিতরণ হয় প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার মতো। যার স্থিতি থাকে মাঠে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জন ধরলে এ অর্জন আরো ১০-১২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। আদায়ের হার ৯৫ শতাংশের ঊর্ধ্বে। এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত, জামানতবিহীন ঋণগ্রহীতাদের পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস, দুর্নীতিমুক্ত ঋণ বিতরণ ও আদায় ব্যবস্থার ফলে আদায়ের এ উচ্চ হার বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে। সারা দেশে নিবন্ধন ও নিবন্ধনের বাইরে প্রায় আড়াই হাজারের কাছাকাছি প্রতিষ্ঠান এ আর্থিক সেবা প্রদানে নিয়োজিত হলেও মূলত ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক ও আশা এ তিনটি বড় প্রতিষ্ঠানের মার্কেট শেয়ার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। তবে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান যারা জাতীয় পর্যায়ে কাজ করছে, সে প্রতিষ্ঠানগুলো হলো টিএমএসএস, ব্যুরো বাংলাদেশ, সাজেদা ফাউন্ডেশন, বীজ, এমএসএস, এসএসএস, শক্তি ফাউন্ডেশন ইত্যাদি। এছাড়া আঞ্চলিক বেশকিছু ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বেশ ভূমিকা রেখে চলেছে।

ক্ষুদ্র ঋণ হচ্ছে কোনো ব্যক্তি অথবা কিছু দরিদ্র সদস্যকে সমিতিবদ্ধ করে জামানতবিহীন অল্প পরিমাণ মূলধন হাতে তুলে দেয়া, যা দ্বারা স্ব-কর্মসংস্থান বা কোনো না কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ করে, সংসারের স্বাভাবিক আয়ের উেসর সঙ্গে বাড়তি আয় সৃষ্টি করে। মোটাদাগে এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে জামানতবিহীন অল্প পুঁজি, দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষ করে মহিলা হচ্ছে এর গ্রহীতা। ব্যক্তি বা সমিতি দুটোর মাধ্যমে লেনদেন হয়। সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ, আয় থেকে ঋণের দায় পরিশোধ, স্ব-কর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি। নিয়মিত সাপ্তাহিক সভায় নির্দিষ্ট একটি স্থানে লেনদেন। সদস্য ও সদস্যদের দোরগোড়ায় আর্থিক সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য ঋণ কর্মকর্তারা সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে সেবা নিশ্চিত করে। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে কী হচ্ছে সেটি বিশ্লেষণের জন্য কয়েকটি সূচকের উন্নয়নে কী ভূমিকা রাখছে সেটি দেখা দরকার। প্রথমত দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণ বড় ধরনের কার্যকর ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক বিভিন্ন সূচকের মান উন্নয়নে ক্ষুদ্র ঋণের অবদান অনস্বীকার্য।

ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় তিন-চার দশক আগে শুধু কিছু ঋণ প্রদানের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে এর পরিধি অনেক বিস্তৃত হয়েছে। তাই এখন এটাকে বলা হয় ক্ষুদ্র আর্থিক সেবা যা ঋণের পাশাপাশি সঞ্চয়, মানি ট্রান্সফার, জীবন বীমা এসবকে এর অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফলে এর কর্মপরিধির অনেক বিস্তৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। সাধারণত অনেকে মনে করে, ক্ষুদ্র ঋণে ৫-১০ হাজার টাকা একটা পরিবারকে দিয়ে থাকে। সময় ও চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সদস্যদের বিনিয়োগ সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি ও গ্রাজুয়েশন হওয়ার ফলে ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে থেকে একটা বড় অংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। যারা ১০-২০ লাখ টাকা নিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্পে বিনিয়োগ করে এবং অনেক মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

ক্ষুদ্র ঋণের শুরুটা হয়েছিল পাকিস্তান আমলে, তত্কালীন সময় পাকিস্তান একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (পিএআরডি) যা বর্তমানে বার্ড কুমিল্লা নামে অধিক পরিচিত। এটি প্রতিষ্ঠাতা ড. আক্তার হামিদ খানের দ্বারা সমবায় পদ্ধতির মাধ্যমে প্রান্তিক ও ভূমিহীন বর্গাচাষীদের ঋণ দেয়ার মাধ্যমে। তারপর গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশাসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় অংশগ্রহণে এর পূর্ণতা পায়। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দুস্থ মানুষকে সহায়তা করার তাড়নায় প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্র্যাক। প্রথমে সুনামগঞ্জের ভাটি অঞ্চলে শাল্লা-দিরাইয়ের সহায়-সম্বলহীন ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়ায় ব্র্যাক। শুরুতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও ১৯৭৪ সালে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু করে ব্র্যাক।

১৯৭৬ সালের চট্টগ্রামের জোবরা গ্রাম দিয়ে বড় পরিবর্তনের সূত্রপাত করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল মানুষ দরিদ্রদের জামানতবিহীন ছোট ঋণ দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেন। গ্রামের ৪২ জন নারীর জন্য সহস্বাক্ষর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই করলেন। ঋণ পেলেন নারীরা, যথাসময়ে সুদ ও আসল ফেরত পাওয়া গেল। দরিদ্ররাও যে ঋণের যোগ্য ও যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন, সে শিক্ষাই এর মধ্য দিয়ে নথিভুক্ত হলো। জোবরা গ্রামের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ক্রমান্বয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে লাগল গ্রামীণ ব্যাংকসহ অসংখ্য সংগঠনের হাত ধরে। গত চার দশকে ক্ষুদ্র ঋণ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ব্যাপ্তি পেয়েছে আন্তর্জাতিক পরিসরে। জাতিসংঘ ২০০৬ সালকে ইয়ার অব মাইক্রোফাইন্যান্স পালন করে। ক্ষুদ্র ঋণের বদৌলতে বাংলাদেশের ঘরে আসে নোবেল। ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ২০০৬ সাল থেকে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) প্রতিষ্ঠা লাভের পর এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫৯টি ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এর আগে অনেক এনজিও/এমএফআই, সমাজকল্যাণ/ জয়েন্ট স্টক কোম্পানি বা এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো থেকে নিবন্ধন নিয়ে কাজ করত। তবে ২০০৬ সাল থেকে এমআরএর লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

মূলধনের অভ্যন্তরীণ উৎস বিদেশী অনুদান নয়: অনেকে একটা ভুল ধারণা পোষণ করে থাকেন যে এনজিও মানেই বিদেশীদের অনুদান ও সাহায্যপুষ্ট, এটা কিন্তু ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে মোটেই প্রযোজ্য নয়। কয়েকটি সোর্স থেকে অর্থায়ন হয় তার মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস যেমন সদস্যদের সঞ্চয় প্রায় ৪৩ শতাংশ, বাড়তি আয় বা উদ্বৃত্ত হতে প্রায় ৩১ শতাংশ অর্থের জোগান আসে। প্রাতিষ্ঠানিক উৎস ব্যাংক থেকে ১৯ শতাংশ, পিকেএসএফ ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ২ শতাংশ (সিডিএফ স্ট্যাটিস্টিকস-২০১৮-১৯)। বিদেশী অর্থায়ন বলতে গেলে শূন্যের কোঠায়।

ক্ষুদ্র ঋণের বহুমাত্রিক প্রভাব: নিঃসন্দেহে এটা প্রমাণিত ক্ষুদ্র ঋণের বহুমাত্রিক ইতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান। বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বিআইডিএস এবং বিভিন্ন গবেষক যেমন স্টুয়ার্ড রাদারফোর্ড, ড. এসআর ওসমানী, ড. আতিউর রহমান, ড. সাজ্জাদ জহির, ড. বিনায়ক সেন, সিডিএফ, আইএনএম, ইনাফি, এফএনবি সবার গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে দরিদ্র নিরসন ও নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার বিস্তার, দৈনন্দিন জীবনমান, আবাসিক, স্যানিটেশনের ব্যাপক উন্নতি হয়। স্বাধীনতা-উত্তর মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি ছিল হতদরিদ্র। বর্তমানে দারিদ্র্যসীমার নিচের জনগোষ্ঠী নেমে এসেছে প্রায় ১৮ শতাংশের নিচে এবং হতদরিদ্র ১০ শতাংশের নিচে। দেশের দরিদ্র হ্রাস পাচ্ছে প্রতি বছর ১-২ শতাংশ হারে। অনেক গবেষণা থেকে জানা গেছে, এ হার নিম্নগামী হওয়ার পেছনে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা ছিল অন্যতম। গত কয়েক বছরের পৃথক পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ কর্তৃক ২০০৬-০৭ সালে পরিচালিত একটি গবেষণাকর্মে দেখা যায়, দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে যারা ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করে তাদের মাত্র ৭ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠতে পেরেছিল। অন্যদিকে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার একটি গবেষণায় তার পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে আইএনএমের ২০১৩ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকা ১০ শতাংশ। ফলে সংখ্যাতাত্ত্বিক অবদানের পার্থক্য থাকলেও দেশের দারিদ্র্য কমাতে ক্ষুদ্র ঋণের একটি বড় অবদান রয়েছে। কেননা দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণের স্পিল ওভার ইফেক্ট বা অন্যান্য চলকের ওপর ক্ষুদ্র ঋণের প্রভাবকে বিবেচনায় নিলে অবদানটি আরো বড় হবে। দারিদ্র্য বিমোচনে শুধু ক্ষুদ্র ঋণের সরাসরি প্রভাবকে বিবেচনায় আনা হয়েছে।

গত ৬ মাস যাবৎ এনজিওগুলো মাঠে শৃংখলা ফেরাতে ও সদস্যদের নিয়মিত করতে চেষ্টা করেছে । হঠাৎ করে আবার করোনা বেড়ে যাওয়ায় ২য় বারের মতো লক ডাউনে যাচ্ছে দেশ । এ অবস্থায় ক্ষতির সম্মুখ্খিন হবে ক্ষুদ্র ঋণ এবং এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এনজিওদের কঠোর পরিশ্রম ও বেগ পেতে হতে পারে ।

আরো পড়ুন

এবারের লক-ডাউনে বন্ধ থাকবে এনজিও অফিস

বাংলাদেশের এনজিও সমিকরণ

করোনায় চাকুরির ঝুঁকিতে আছেন এনজিও কর্মীরা

 

ভিডিও দেখুন : https://www.youtube.com/watch?v=-mVd6FZbUqE



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »