কথা রাখলেন ফারজানা ওহাব
মে ১৫ ২০২০, ২১:৫০

ফারাজানা ওহাব তার ফেসবুক পেজে লেখেন ‘‘ কিছু দিন আগে বলেছিলাম আমি ব্যক্তিগত ভাবে ছয়টি ইউনিয়নে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু উপহার সামগ্রী দেবো। ছয়টি ইউনিয়নে ১২০০জন, প্রতি ইউনিয়নে ২০০ জন লোককে তা পৌঁছে দেবার চেষ্টা করছি। গতকাল তা দূরের দুটি ইউনিয়ন ( বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ও কেদারপুর ইউনিয়নে পৌঁছে দেয়া হয়েছে)।এবার এই পুরো কাজটি করেছে নতুন প্রজন্মের ছেলেরা।প্যাকেট থেকে শুরু করে বাড়ি,বাড়ি গিয়ে পৌছানো পর্যন্ত। আগেই বলে রাখি এটা আমার পরিবারের ঈদের খরচের টাকা, আমার গচ্ছিত কিছু টাকা ছিলো সব মিলিয়ে কাজটা করেছি। তাই এটা নিয়ে দলাদলি করার কোন সুযোগ নাই। যে কোন মানুষ কাজ করতে ভয় পায় শুধু কিছু কর্মহীন সমলোচকদের ভয়ে। যেকোনও কাজ যদি কেউ করে আর তাতে যদি দেশ ও জনগনের কোন ক্ষতি না হয় আর তা যদি অবৈধ টাকা না হয় তবে তাতে দয়া করে গায়ে পরে সমালোচনা করবেন না। কারন যে যত কাজ কম করবে সে তত বেশি সমালোচনা করবে এটা স্বীকৃত সত্য। নেতিবাচক চিন্তা মানুষগুলো কে বলবো আরো অনেক জনপ্রতিনিধি আছে আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করেন আমি একাই সব করতে পারবনা সেই ক্ষমতা আমার নাই।কাজ করি ভোটের জন্য নয় দায়িত্ববোধ, মানবতাবোধ থেকে। আর যাদের আমার কাজে গায়ে জ্বালা ধরবে তারা আমার পোস্ট এড়িয়ে যাবেন। এই মহামারীর সময় দলবাজি টা বন্ধ রাখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তো তাই বলছেন বারবার। সবসময়ই বলি ভালো কাজে প্রতিযোগিতা ইসলামধর্মে গ্রহণযোগ্য। তাই যারা লুকিয়ে ভালো কাজ করতে চান করেন তাতেও যেমন সমস্যা নেই, আর আমি যেভাবে করছি তাতেও আমার ধর্মে বাধা নেই। তাই আমি আমার মতই কাজ করতে চাই। সকলে ভাল থাকবেন, ঘরে থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।
তাকে এ কাজের জন্য রিপন সাইদুল ইসলাম ফেসবুক পেজে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে লেখেন ‘’করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে চলমান সংকটে মানুষের কাঙ্ক্ষিত অনেক জনপ্রতিনিধি ও সমাজ সেবকেই পাশে পায়নিএ অঞ্চলের মানুষ । সেখানে নিজের সাধ্য অনুযায়ী সর্বচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে গেছেন এ প্রতিনিধি । মানুষের জন্য করা এটা তার পৈতৃকতা থেকেই পাওয়া মানুষের জন্য করতে হলে যে অনেক অর্থ প্রচুর্যর মালিক হতে হবে তার ভুল প্রমাণ। তার পিতার ন্যায় তিনিও করে যাচ্ছেন, জনবান্ধন ফারজানার কাছ থেকে জানামতে শুধু এখন নয় মানুষ সবসময়ই পেয়ে থাকেন আস্থার প্রতিদান। মানুষও তাকে দুহাত ভরেই দিয়েছেন। ফারজানাকে রেখেছেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী স্থানে, ব্যাক্তি ফারজানার বিষয়ে কখনো আপোষ করতে শেখেনি এ অঞ্চলের মানুষ, দেখাগেছে সংকট শুরুর মুহুর্ত থেকেই নিজের সাধ্য অনুযায়ী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার নিয়ে রয়েছেন মানুষের পাশে, আর তার এ কর্মযোগ্যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো উদ্যমী কিছু সংবাদকর্মী ও সার্থহীন কতিপয় যুবকের। আমরা তার মানবিক কর্মের সফলতা কামনা করি ও তার চলার পথ হোক মানবিকময়। উল্লেখ্য যে, ফারজানা বিনতে ওহাব বরিশাল জেলা পরিষদের একজন সদস্য এবং ওহাব খানের মেয়ে ।
































































































