বরিশাল সেমিনারে নাগরিক সমাজ

শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, জেলেদের নিরাপদ ও টেকসই বিকল্প জীবিকা নিশ্চিত করুন

Spread the love

বরিশাল সেমিনারে নাগরিক সমাজ;

শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, জেলেদের নিরাপদ ও টেকসই বিকল্প জীবিকা নিশ্চিত করুন

বরিশাল ১৮ অক্টোবর ২০২৫: মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জীবিকা সুরক্ষায় ন্যায্য সহায়তা ও বিকল্প আয়ের সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে বরিশাল প্রেস ক্লাবে কোস্ট ফাউন্ডেশন একটি সেমিনার আয়োজন করেন।

এখানে বক্তারা জানান বরিশালের জেলেরা নানাবিধ সমস্যা মোকাবেলা করেন, বিশেষ করে অবরোধের সময় এ অঞ্চলের জেলেরা খুবই মানবেতর জীবন যাপন করে, সরকারীভাবে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা একদিকে অপ্রতৃল যা দিয়ে তাদের ৩০% খরচ মেটানো সম্ভব হয়না, যা দিয়ে তাদের সংসার চলেনা আবার সেই বরাদ্দ সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে না পৌঁছানোর কারণে খুব একটা কাজেও আসেনা। জেলেদের বিকল্প আয়ের তেমন কোনো সুযোগ না থাকার কারণে তাদের পরিবারে নারী সদস্যদরে ওপর এই চাপ আরও গভীর হয়। আয় কমে গলেে পরবিাররে মধ্যে ঘরোয়া সহংিসতার হার বড়েে যায়, বশিষে করে নষিধোজ্ঞার সময়।ে কোস্ট ফাঊন্ডশেনরে মাঠর্পযায়রে জরপি অনুযায়ী, বরশিালরে নদী উপকূলর্বতী এলাকায় ৩৮% নারী জলেে পরবিাররে নারী সদস্য নষিধোজ্ঞাকালীন সময়ে কোনো না কোনোভাবে সহংিসতার শকিার হন, যা অধকিাংশ ক্ষত্রেে র্আথকি সংকট ও খাদ্য ঘাটতরি ফল।

বরশিাল জলোর নদীভত্তিকি মান্দা বা ভাসমান জেলে সম্প্রদায় হলো সবচয়েে বঞ্চতি একটি গোষ্ঠী। তাদরে কোনো স্থায়ী বসতি বা জমি নইে, অধকিাংশই নদীতে নৌকায় বসবাস কর। সরকারি তালকিায় না থাকায় তারা খাদ্য সহায়তা, জলেে র্কাড বা সামাজকি সুরক্ষা সুবধিা কছিুই পায় না।

মোঃ জহরিুল ইসলাম, জলো সমন্বয়কারী, কোস্ট ফাউন্ডশেন তার কী নোট উপস্থাপনায় বলনে, বরশিালরে জলেদেরে ৮৫% নদী বা মোহনা-নর্ভির, যাদরে অধকিাংশই ছোট টলার বা কাঠরে নৌকায় মাছ ধরনে। কোস্ট ফান্ডন্ডেশনের এর ২০২৫ সালরে গবষেণায় দখো গছে,ে তাদরে মাসকি গড় আয় নষিধোজ্ঞাকালীন সময়ে ১৫,০০০ টাকা থকেে নমেে দাঁড়ায় মাত্র ৩,০০০-৪,০০০ টাকায়। পাশাপাশি সরকার যে চাল সহায়তা দয়ে, তা পরবিারপ্রতি গড়ে মাত্র ১০-১২ দনি চল।ে ফলে জলেরো বাধ্য হয় দাদনদার বা মহাজনরে কাছ থকেে চড়া সুদে ঋণ নতি।ে এছাড়া নষিধোজ্ঞার সময় প্রায় ৬০% জলেে দনিমজুররি কাজে (রকিশা, ভ্যান চালানো, কৃষশ্রিমকি, নৌকা মরোমত ইত্যাদ)ি যুক্ত হন, ২৫% জলেে ঋণরে ওপর নর্ভির করনে, এবং ১৫% জলেে জীবকিার তাগদিে নষিধোজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরনে। এতে প্রশাসনরে নজরদারি বাড়লওে জীবকিার বকিল্প ব্যবস্থা না থাকায় এই প্রবণতা রোধ করা যাচ্ছে না।

সনত কুমার ভৌমকি, উপ-নর্বিাহী পরচিালক, কোস্ট ফাউন্ডশেন বলনে,সরকারকে অবশ্যই নষিধোজ্ঞা শুরু হওয়ার আগইে প্রতটিি নবিন্ধতি জলেে পরবিারকে ৪০ কজেি চাল ও ৮ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে এবং অন্তত একজন সদস্যরে জন্য বকিল্প আয়ভত্তিকি কাজরে সুযোগ নশ্চিতি করতে হব।ে” তনিি আরও বলনে, যুব মৎস্যজীবীদরে জন্য পশোগত প্রশক্ষিণ ও বকিল্প জীবকিার সুযোগ তরৈি করতে হবে।  পাশাপাশি ছোট নৌকায় (খাল ও নদীত) বসবাসকারী মান্দা সম্প্রদায়কে জলেে র্কাড প্রদান ও নষিধোজ্ঞার আওতার বাইরে রাখার আহবান জানান।

মোঃ জসিম উদ্দিন-সর্দার মান্দা জেলে জনগোষ্ঠী বলেন “জাতীয় পরিচয় হিসেবে আমাদের অনেকের এখনো জাতীয় আইডি কার্ড প্রদান করা হয় নাই, কোস্ট গার্ড এর স্পীডবোট গেলে ঢেউয়ে নৌকায় থাকা রান্না খাবার পড়ে যায়। এছাড়াও মান্দার জেলেদের থাকার জন্য কোনো জায়গা নাই এমনকি মৃত্যুর পরে তাদের কবর দেওয়ার জন্য কোনো কবরস্থান নাই ”
ইসরাইল পন্ডিত- সভাপতি, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সমিতি বলেন “ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন প্রতিনিধি জেলে জনগোষ্ঠীর তালিকা করেন সেক্ষেত্রে অনেকসময় প্রকৃত জেলে থাকেন না তাই জেলে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এই তালিকা করলে প্রকৃত জেলে জনগোষ্ঠী সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হবেন।”

ইসমত আরা- সমাজ সেবা কর্মকর্তা বলেন “বিকল্প কাজের ব্যবস্থা শুধু অবরোধকালীন সময়ে না যখন তাদের কাজ থাকবে না তখনকার সময়ের জন্য বিকল্প কাজ দরকার সেজন্য বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা, এছাড়া সুদমুক্ত ঋন এর ব্যবস্থা করা, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে সময়মত চাল সরবরাহ করা জরুরী।
মেহেরুন নাহার মুন্নিÑ উপ-পরিচালক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বলেন “জেলে সম্প্রদায় এর মধ্যে নারী জেলেরাও কাজ করছেন তার সাথে তাদের সন্তানরাও থাকেন তারা নৌকার ভিতরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন যাহাতে তাদের জীবন ঝুকি থাকে এক্ষেত্রে অনেকসময় তারা ঝড়, বৃষ্টিতে তাদের নৌকাডুবির শঙ্কা থাকে, তাই তাদের নিরপত্তা খুবই জরুরী।
মাইনুদ্দিন- চীফ পেটি অফিসার কোস্টগার্ডÑ বলেন, অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন অবরোধ কালীন সময়ে প্রতিটি মা ইলিশ একবারে প্রায় ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ ডিম পাড়ে তাই এই সময়ে মাছ না ধরার আহŸান এবং এই সাময়িক অসুবিধা কালীন সময়ে আমরা বৃহৎ ভাবে উপকৃত হবো অধিক মাছ পেয়ে, তাই সকলের উচিত জেলেদের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করে, তাদের খাদ্য ও নিরাপত্তা দেয়া যাতে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পায়।
#সেমিনারে উপস্থিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা জানান“গত পাঁচ বছরে ইলশি আহরণ ৩.৪% হ্রাস পয়েছে।ে নারী ও যুবকদরে আয়ভত্তিকি র্কমসূচতিে সম্পৃক্ত করা গলেে পরবিাররে আয় উল্লখেযোগ্যভাবে বাড়ব।ে নষিধোজ্ঞা চলাকালে সময়মতো খাদ্য ও র্অথ বতিরণ, অর্ন্তভুক্তমিূলক আয়ভত্তিকি র্কমসংস্থান, স্বল্পসুদে ঋণ সুবধিা এবং প্রান্তকি মৎস্যজীবীদরে সরকারি র্কমসূচতিে ন্যায্য অর্ন্তভুক্তি নশ্চিতি করা হোক, যাতে কোনো মৎস্যজীবী পরবিার ক্ষুধার মুখে না পড়ে।

যোগাযোগ : মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোবাইল: ০১৭১৩৩২৮৮৩০

জেলেদের চাল দেয়া একমাত্র সমাধান নয়

জেলে পরিবারে নারীদের স্বাবলম্বী করতে করণীয়

https://www.youtube.com/watch?v=SY9n-ogOtAM&lc=UgyDJ9wQ-4g5SaQagox4AaABAg



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »