করোনা নিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হতাশা ; মতিউর রহমান আকন্দ
জুলাই ০৫ ২০২০, ২০:০৪
করোনা নিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হতাশা
মতিউর রহমান আকন্দ
দিন যত যাচ্ছে করুনা ভাইরাস ততই বিস্তার লাভ করছে।করোনা নিয়ে গবেষনায় বের হয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য।পৃথিবীর ৩২ টি দেশের ২৩৯ জন গবেষক একযোগে করোনা ভাইরাসের উপর তাদের গবেষনার ফলাফল তুলে ধরেছেন। তারা বিশ্বস্বাস্হ্য সংস্হাকে দায়ী করে বলেন করোনা সংক্রমণের সবগুলো কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেনি।
গবেষকগন তাদের গবেষনায় করোনা ভাইরাসের বিস্তারের নতুন তথ্য তুলে ধরেছেন।
প্রায় ৭ মাস হতে চলেছে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের।এর মাঝে অনেক দেশ লকডাউন এমন কি কারফিউ জারী করেছে আবার তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ ছুটে চলেছে কর্মক্ষেত্রে।প্রত্যাশা ছিল দ্রুত চিকিৎসার সন্ধান পাওয়া যাবে।
কবে আসবে করোনার ভ্যাকসিন, তা নিয়ে অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে হতাশার খবর দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির স্পেশাল এনভয় ড. ডেভিড নাবারো জানান, করোনাভাইরাসের কাঙ্ক্ষিত ভ্যাকসিন হাতে পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও অন্তত আড়াই বছর। এছাড়া আপাতত করোনা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তির কোনো উপায় নেই।
একজন মুসলিম হিসেবে আমাকে আল্লাহর বিধানের দিকে নজর দিতে হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন:
”আর আমি কতো জনপদের অধিবাসীদের সংশোধন হবার জন্যে অবকাশ দিয়েছিলাম, যদিও তারা ছিল পৃথিবীতে অশান্তি ,দাংগা, বিপর্যয়, বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী যালিম।সুযোগের কাজে লাগিয়ে তারা যখন নিজেদের সংশোধন করেনি তখন আমি তাদেরকে আমার আযাব দ্বারা গ্রেফতার করেছি,তোমরাও স্মরনে রেখো,পরিশেষে তোমাদেরকে আমারই কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।”(আল হাজ্জ-৪৮)
করোনা ভাইরাস সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের কৃত অপরাধের কথা স্মরন করে তার দিকে ফিরে আসার তাগিদ দিয়েছেন। তাই দ্রুত তার নিকট আত্মসমর্পন করতে হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও রক্ষাকারী।
লেখক: আইনজীবী।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।