জাল দলিল চেনার ৯ উপায়

Spread the love

জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে সা’বধান না হলে পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ভুগতে হয়। এমন বহু মানুষ র’য়েছেন, জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে আসল দলি’ল চিনতে না পারায় ঝামেলায় প’ড়েন। এজন্য দলিল চেনা খুব’ই জরুরি। আজকে প্রতিবেদনে থাকছে, কি’ভাবে চেনা যাবে জাল দলিল।’

জাল দলি’ল চেনার উপায়:

১. ভ’লিউডেমর তথ্য:
সাব-রেজি’স্ট্রি অফিসে দলিলের প্রকৃতি অনুযায়ী চারটি রে’জিস্ট্রার বা ভলিউমে লেখা হয়ে থাকে। কোনো দলিল নিয়ে সন্দেহ হলে রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষণ করা দলিলের সাল মিলিয়ে দে’খতে হবে। এজন্য নির্দিষ্টভাবে দ’রখাস্ত করতে হবে। এতে দলিলটির যাবতীয় ত’থ্য দিতে হবে।

২. স্বাক্ষর যাচাই:
অনেক স’ময় স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দলিলদাতা বা গ্রহীতার সা’জা হয়। এক্ষেত্রে স্বাক্ষর বিশেষ’জ্ঞের মাধ্যমে স্বাক্ষরের সত্যতা যাচাই করিয়ে নেয়া যেতে পারে। এছাড়া ভূমি অফিস থে’কে বিভিন্ন সিল পরীক্ষা করেও জালি’য়াতি নির্ণয় করা যায়।

খেয়াল রা’খতে হবে, অনেক আগের দলিলে আগের চি’হ্নিত কিছু সিল ব্যবহারই থাকে। আগের দলিল কিন্তু সি’ল যদি নতুন হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, দ’লিলটি জাল হতে পারে। একই সঙ্গে তারিখটিও ভা’লোভাবে যাচাই করতে হবে। দলি’ল রেজিস্ট্রির তারিখ কোনো স’রকারি বন্ধের দিন থাকলে সন্দেহের অ’বকাশ থাকবে। অনেক সময় অ’র্পিত সম্পত্তি বা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি জীবিত দেখিয়ে জা’ল করা হয়।

৩. মূল মালিক শনাক্ত:
এক জমির এ’কাধিক মালিকের নামে করা থাকলে ধরে নি’তে হবে দলিলটি জাল হতে পারে। এক্ষে’ত্রে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মূল মালিক কে, তা নির্ণয় ক’রতে হবে।

৪. নামজারি:
সহকা’রী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে জমির মিউ’টেশন বা নামজারি সম্পর্কে খোঁ’জ নিতে হবে। নামজারিতে ধারা’বাহিকতা ঠিক আছে কি না, সে’টা সুচারুভাবে প’র্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি দেখা যায়, সি’এস জরিপের সঙ্গে বি’ক্রেতার খতিয়ানের কো’নো গরমিল আছে, তাহলে বুঝতে হবে, কোনো জ’টিলতা আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, জ’রিপ খতিয়ানে জমির পরিমাণ পরবর্তী সময়ে যতবার বিক্রি হয়েছে, তার সঙ্গে জমির পরি’মাণ মিল আছে কি না, তা যাচাই করে দেখা। দাগ ন’ম্বর, ঠিকানা এসব ঠিক আছে কি না, এসব যাচাই করতে হবে।

৫. আমমোক্তারনামা:
সম্প্রতি কোনো আম’মোক্তারনামা দলিল থাকলে তাতে উভয় প’ক্ষের ছবি ব্যবহার হয়েছে কি না যা’চাই করতে হবে।

৬. তারিখ যাচাই:
কোনো দান করা জ’মি হলে দলিলে সম্পাদনের তারিখ দে’খে কবে জমিতে গ্রহীতা দখলে গেছে তা যা’চাই করতে হবে। দলিলটি রেজিস্ট্রি করা কি না এবং দলি’লদাতার সঙ্গে গ্রহীতার সম্পর্ক কী, তা যা’চাই করতে হবে।

৭. লেখক যাচাই:
সম্প্রতি সম্পন্ন হ’ওয়া কোনো বিক্রীত দলিলের দ’লিল লেখকের নাম ঠিকানা জেনে সরেজ’মিন কথা বলে নেয়া দরকার।

৮. মালিকানা যাচাই:
জমির স্বত্ব কী বা মালিকানা যাচা’ই করতে হবে। বিক্রেতার কাছ থেকে সব দলিল, বিশেষ করে ভায়া দলিল চেয়ে নিতে হবে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জানতে হবে সব ‘দলিলের ক্র’মিক নম্বর, দলিল নম্বর ঠিক আ’ছে কি না।

৯. সিল-স্ট্যাম্প যাচাই:
দলিল সম্পাদনের সময় ব্য’বহৃত স্ট্যাম্পের পেছনে কোন ভে’ন্ডার থেকে স্ট্যাম্প কেনা হয়েছে এ’বং কার নামে কেনা হয়েছে খেয়াল রাখুন। প্রতিটি স্ট্যাম্পের পে’ছনে একটি ক্রমিক নম্বর উল্লে’খ থাকে। এ নম্বরটি ঠিক আছে কি না, প্র’য়োজনে স্ট্যাম্প বিক্রেতার সঙ্গে দে’খা করে যাচাই করে নি’ন।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »