মানুষ যদি সে মানুষ না হয় কি করার থাকে ?
মন্দ স্বভাবের মানুষগুলো
ফেব্রুয়ারি ২০ ২০২১, ১৫:২৬
মন্দ স্বভাবের মানুষগুলো
আজকের ঝলক নিউজ :
উকিল মুন্সীর লেখায় বারী ছিদ্দীকীর কণ্ঠের অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান হলো ‘‘ আমার মন্দ স্বভাব জেনেও তুমি কেনো চাইলে আমারে, এতো ভালো হয়কি মানুষ নিজের ক্ষতি করে’’ এই গানটি একটি লাইভ অনুষ্ঠানে গাওয়ার সময় উকিল মুন্সী ও বারী ছিদ্দীকি দুজনই উপস্থিত ছিলেন । উপস্থাপক এই গানটি রচনার ইতিহাস জানতে চাইলে রচয়িতা বল্লেন ‘‘আমি যখন গানটি লিখে বারী ভাইয়ের কাছে দিলাম তখন বারী ভাই হেসে বলেছিলেন গানটির কথা কি আমাকে নিয়ে লিখেছেন ‘‘।
প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা জরুরী
রচয়িতা তার লেখার বর্ননা করতে গিয়ে বল্লেন ‘‘প্রায় সব মানুষ গানে নিজের দোষটা লুকিয়ে ব্যর্থতার ভারটি অন্যকে দিয়ে থাকেন, কিন্তু এই গানে সকল দোষ আমরা নিজের মাথায় নিয়েছি, ফলে বাকিদের মুক্তি দিয়েছে’’ ।
নিজেরে আমরা খুঁজতে চেষ্টা করিনা :
সতিকার অর্থে আমরা কখনো নিজের দোষটা দেখতে পাইনা । অন্য’র কাছ থেকে প্রাপ্ত হাজারো দিনের ভালোবাসা নিজের স্বার্থের জন্য এক মুহুর্তে ভুলে যাই । আমরা নিজের রুপটি শুধু আয়নায় দেখি কিন্তু নিজের চরিত্রটি কখনো দেখার চেষ্টা করিনা ।
মানুষ এতো খারাপ হতে পারে আপনি ভাবতেও পারবেন না । তবে সবাই কি খারাপ ? সব সময় খারাপ ? সব অবস্থায় খারাপ ? ধর্ষণ কি শুধু শারিরীক বিষয় না;কি মানুষ প্রতি নিয়ত মানুষ কথার মাধ্যমেও ধর্ষিত হয় ।
সমির সাহেব রাত ১১ টার পরেও বাহিরে, সে তো চরিত্রহীন !!!
এই তো গতকাল সমির সাহেব একটি অনুষ্ঠানে গেলেন নাটক দেখতে রাত ১০টা বাজতে বউয়ের ফোন, ফোনে করা হলো একের পরে এক ধর্ষণমূলক শব্দ ‘‘ রাতে বাড়ি ফিরবে না’কি ওখানেই থাকবে ? নিশ্চই জলসা মিলেছে, নিশ্চই শেখানে মেয়েরা আছে , যাদের সাথে রাতে শোবে, বাসায় আসার দরকার কি, শোয়ার আকাম করার তো মেয়ে আছে, বাকি শব্দ যা বলেছেন তা আর নাই বা বল্লাম।
চরফ্যাশনে ধর্ষন চেষ্টা মামলায় ব্যবসায়ীকে হয়রানি করায় সংবাদ সম্মেলন
সমির সাহেব তার কলিগদের সাথে তাই আছেন । একসাথে সবাই থাকায় কোন ভাষায় এই কথা গুলোর উত্তর দিবেন তা বঝে উঠতে পারছিলেন না । বোঝার চেষ্টা করেছিলাম সমির সাহেব কি প্রায়ই এরকম করেন না’কি ? খোজ নিয়ে জানলাম মোটেওনা সমির সাহেব ঘরমুখো মাঝে মাঝে ঘর থেকে একদম বের হন না। এমনকি বাজে কোনো বদ অভ্যাস নেই তাতে কি সাংস্কৃতিক মনা লোকদের চরিত্র আর ভালো হয় না’কি । পৃথিবীতে তো সাংস্কৃতিকমনা লোক গুলোই বাজে । বাকিরা তো যেমন তেমন ভালো বলে চালিয়ে নেয়া যায় ।
হতভম্ব সমির সাহেব : রাত ৯টার পরে বাহিরে থাকার মানুষ নন তিনি । শেষ ১ বছরের মধ্যে এই প্রথম সে নাটক দেখতে গিয়ে রাত ১১.৩০ মিনিটে বাড়ি ফিরেছেন । এদিকে সমির সাহেবের বউয়ের মোবাইলে বকা-বকি করে তার ঝাল মিটাতে না পেরে, মেইনগেট বন্ধ করে মোবাইল মিউট করে সবাইকে নিয়ে ঘৃুমিয়ে গেছেন ।
গেটের বাইরে কির করনীয় সমির সাহেবের ?
সমির সাহেব গেটের বাইরে বসে কল দিচ্ছেন আর ডাকা-ডাকি করছেন, সমির সাহেব সমাজের বখাটে, অবাধ্য, নেশাখোর , ঝগরাটে হিসাবে পরিচিতত নন তাই বাহিরে বসে লজ্জ্বা পাচ্ছিলেন । ডাকা-ডাকি শুনে নীচতলা থেকে চাবি দিয়ে এক ভাড়াটিয়া গেট খুলে দিলেন । মুচকি হেসে সমির সাহেব বল্লেন ‘‘হয়তো সবাই টায়ার্ড ঘুমিয়ে পরেছে সবাই ধন্যবাদ‘‘। মূল দরজায় ৫-৭ বার নক করার পরে ঘুম থেকে উঠে দরজা খুল্লেন কাজের মহিলা সময় তখন ১১.৫৫ ।
বিব্রত করিম সাহেব
কাজের মহিলা ভাত গরম করতে গিয়ে দেখলেন সমির সাহেবের স্ত্রী ভাতে পানি ঢেলে রেখেছেন, তার মানে রাতে ঘরে ফিরে একজন চরিত্রহীন লোক ভাত খাবে তা কি হয় !! । ১২ টার দিকে সমির সাহেব তার কলিগকে মেসেজ দিয়ে জানালেন তিনি নিরাপদে ঘরে ঢুকেছেন । তখনো সেখানে নাটক চলছে । রাত ৩টায় ফিরতে বার্তা দেখলেন, ঘুম থেকে উঠে ।
তার মানে তাদেরও পরিবার আছে রাত ৩টার পরে তারা কিভাবে ঘরে ঢুকেছে সেটা ভেবে করিম সাহেব একটু বিস্মত ! হয়তো তারা সমির সাহেবের চেয়ে চরিত্রবান নয়তো তাদের ঘরের পরিবারের বউয়েরা সমির সাহেবের বউয়েল চেয়ে এতো ভালো নয় বা তাদের বউদের চরিত্র খারাপ সে জন্য চরিত্রহীন স্বামীদের ঘরে ঢুকতে দিয়েছেন ।
সমির সাহাবের বাসার লোকজন কি প্রতিনিয়ত এতো তারাতারি ঘুমায় ?
এই বাসার সবাই প্রতি দিনই বিছানায় যায় রাত এই ১১টার পরে কিন্তু আজ সবার যে প্রচন্ড ঘুম, কারণ সমির সাহেব যে অন্য কোনো নারী নিয়ে মেতে আছেন । না আসলে হয়তো হোটেলে কাটিয়ে দেবেন পুরো রাত । সমির সাহেবের স্ত্রী জানেন তার স্বামী তাকে ছেড়ে অন্য নারীদের নিয়ে হোটেলে রাত কাটায় প্রায়ই নয়তো কেনো দরজা বন্ধ করে ঘুমাবেন ।
চরিত্রহীন সমির সাহেব :
এমন কোনো নারী নেই তার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, সমির সাহেবের আশে-পাশের ও সমির সাহেবের স্ত্রীর যত পরিচিত-অপরিচিত অনেক নারীকে নিয়েই সে হোটেলে রাত কাটিয়েছে এটা সমির সাহেবের স্ত্রীর বক্তব্য। এরকম হাজারো নারীর বিচার তিনি করেছেন না হলে কেনো একটু রাতে বাইরে থাকলেই রাগ করবেন বা এরকম ধর্ষণমুলক শব্দ উচ্চারণ করবেন ।
মানুষ এতো খারাপ হয় কি করে !
তাই সমির সাহেবের স্ত্রীর আত্নীয় স্বজন সবাই জানেন যে তার চরিত্র খৃুবই খারাপ এমন একটি মানুষের সাথে সমির সাহেবের স্ত্রী সংশার করেন এটাই তো সমির সাহাবের পরম পাওয়া । মানুষ খারাপ হতে পারে তাই বলে এতো খারাপ হতে ! পারে তা সমির সাহেবকে না দেখেরে বোঝা যেতো না । সমির সাহেব সব কথা শুনে নিরব । তার কথা হলো নিরাবতা মানে সব কিছু মেনে নেয়া নয় নিরাবতা হলো সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ ।
সমির সাহেবের স্ত্রী চরিত্রবান নারী । জীবনে কারো সাথে প্রেম করেনি, শরীর তো দূরের কথা তার হাত অবধি কেউ স্পর্শ করতে পারিনি । কেউ কেউ সমির সাহেবের স্ত্রীর চরিত্রে কালিমা দিতে বলে ছাত্র জীবনে অন্য কেউ তাকে ভোগ করেছে কিন্তু সেটা মোটেও সত্য নয় শুধু কুৎসা ।
https://www.facebook.com/AjkerJholokNews/