দেড় লাখ টাকার শাড়ি, ৯০০ বছর ধরে বুনছেন এক পরিবার!

Spread the love

পাটন পাটোলা। অ’নেক কাছেই এই নামটা অ’জানা। অথচ সারা বিশ্বে ভা’রতের এই শিল্পের জনপ্রিয়তায় আ’কাশছোঁয়া। বিশ্বের বি’লাসবহুল পোশাকের স’ঙ্গে একই সারিতে বসা’নো হয় এই পাটন পাটোলা শা’ড়িকে।

পাটন পাটো’লার কাহিনি শুরু হয় ৯০০ বছর আ’গে। বলা হয় রাজা কু’মারপালার হাত ধরেই এর আত্ম’প্রকাশ। গুজরাতের পাটন জে’লা থেকেই সূত্রপাত এই শি’ল্পের। তাই এমন নাম। পা’টনের রাজা কুমারপালার অত্যন্ত পছ’ন্দের ছিল এই ফ্যাব্রিকের পো’শাক। তিনি মন্দিরে প্রার্থনা করার আ’গে রোজ আলাদা আ’লাদা পাটোলা ফ্যাব্রিকের পোশাক পর’তেন। রাজার বিশ্বাস ছিল, পা’টোলা শাড়ি শুদ্ধতার প্রতীক। এই পোশাক পরে প্রা’র্থনা করলে অশুভ কিছু ঘ’টবে না।
তখ’ন অবশ্য গুজরাতের পাটন জেলায় এই পা’টোলা শিল্প গড়ে ওঠেনি। মূ’লত মহারাষ্ট্রের জালনার কারিগর’দের কাছ থেকে তা আমদানি করতেন রা’জা। কুমারপালা পরে জান’তে পারেন, তার কাছে বিক্রি করার আগে জালনার রাজা সেগুলোকে বিছানার চা’দর হিসেবে ব্যবহার করতেন। তার পরই সেই জেলা থেকে সেগুলো বি’ক্রির উদ্দেশে অ’ন্যত্র পাড়ি দিত। এটা জানার পর রাজার সম্মা’নে আঘাত আসে।
মহারাষ্ট্র এবং ক’র্নাটক থেকে ৭০০ পাটোলা শিল্পীর পরি’বারকে নিজের রাজ্যে নিয়ে চ’লে আসেন। তাদের পুনর্বাসন দে’ওয়া হয় পাটন জেলায়। তখন থেকেই ক্র’মে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গুজরা’তের পাটন পাটোলা।

খুব জ’টিল পদ্ধতিতে তৈরি এই পোশাক বানা’তে সময় লাগে অন্তত ৭ মাস। কি’ন্তু আশ্চর্যের বিষয়, রাজা এই পোশাক নিয়ে এত’টাই নাছোড়বান্দা ছিলেন যে, প্র’তি দিনই একটা করে নতুন পো’শাক পরতেন প্রার্থনার আগে। এই শাড়ি বুন’নের পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল। সি’ল্ক সুতোয় বোনা হয় শা’ড়ি। যে কোনও সা’ধারণ কারিগরের প’ক্ষে তা করা প্রায় অসম্ভব। শা’ড়ি ছিঁড়ে যাবে, ত’বু রং যাবে না- এই শাড়ি নিয়ে গু’জরাতে এমন কথাই প্র’চলিত।

এক এ’কটা শাড়ি বুনতে সময় লাগে অ’ন্তত ৭ মাস আর একটা কা’স্টমাইজড শাড়ি বুন’তে সময় লাগে অন্তত ২ বছর। সে কা’রণে আসল পাটোলা শা’ড়ির দামও আকাশছোঁয়া। দা’ম শুরু হয় দেড় লা’খ টাকা থেকে। পা’টোলা শিল্পীদের যে ৭০০ পরি’বার ছিল, তাদের মধ্যে এ’কটি পরিবার ছাড়া অন্যেরা সক’লেই ধীরে ধীরে নানা পেশায় চ’লে গিয়েছেন।

গুজ’রাত বা বলা যায় ভারতে এখন একমা’ত্র সালভি পরিবারই ৯০০ বছর ধ’রে বংশ পরম্পরায় এ’ই কাজ করে আসছে। এই প’রিবারই একমাত্র সাবেকি ‘পদ্ধ’তিতে এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃ’তিক দ্রব্যের ব্যবহার ক’রে পাটোলা শাড়ি বু’নে থাকেন।

হলুদ, এ’ক বিশেষ ধরনের গা’ছের শিকড়, গাঁদা ফুল, বেদানা ই’ত্যাদি ব্যবহার করেই শা’ড়ির মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয় নানা রং। সুক্ষ কাজে’ ঠাসা এই শাড়ি দেখতে ভারী লা’লেও আদতে তা খুবই হাল’কা। এক এক’টা শাড়ির ওজন মা’ত্র ৪৫০ গ্রাম।

সূত্র : আ’নন্দবাজার প’ত্রিকা।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »