মো: জহিরুল ইসলাম
মোল্লারহাট ইউনিয়ন পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে!
জুলাই ০৬ ২০২১, ২১:০১
মোল্লারহাট-ইউনিয়নটি হতে পারে একটি পর্যটনকেন্দ্র!
তথ্য : মো: জহিরুল ইসলাম (রাজু)
আজকের ঝলক নিউজ নিজস্ব প্রতিনিধি:
১. অবস্থান
বরিশাল বিভাগের অন্যতম প্রসিদ্ধ জেলা ঝালকাঠী । এই জেলায় রয়েছে পুরাতন উপজেলা ও পৌরসভা যার নাম নলছিটি । নলছিটি উপজেলার সর্ব দক্ষিনের ইউনিয়নটি হলো মোল্লারহাট । ভৌগোলিক দিক থেকে এই ইউনিয়নটি খুবই গুরুত্বপূর্ন যার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্র একটি নদী যার নাম মরা বীষখালী ও মূল বীষখালী নদী। এই ইউনিয়নটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির দিক থেকেও বেশ এগিয়ে ।
প্রতিষ্ঠা ভৌগলিক দিক
কালের স্বাক্ষী বহনকারী বীশখালী নদরী তীরে গড়ে উঠা নলছিটি উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো মোল্লারহাট ইউনিয়ন ।কাল পরিক্রমায় আজ মোল্লারহাট ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, দেশ ও বিশ্বের সাথে সহজ যোগাযোগের মাধ্যম সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল।মোল্লারহাট ইউনিয়ন ১৯৯২ সালে স্থাপিত হয়েছে।অত্র ইউনিয়নটি বৃহওর ৫ নং সুবিদপুর ও ৪ নং রানাপাশা ইউনিয়নের অংশ হিসাব ছিল।বর্তমানে জনগনের ক্রমন্বেয়ে চাপ ও তৎকালিন প্রয়াত জাতীয় সংসদ সদস্য মরহুম জুলফিকার আলী ভূট্রো অত্র ইউনিয়নটি পতিষ্ঠিত করেন। ইউনিয়নের দক্ষিন সীমানা বাখেরগঞ্জ উপজেলা ,পশ্চিম দিকে
ভৈীগলিক অবস্থা, নলছিটি উপজেলার সর্ব শেষ দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত ।পশ্চিম দিকে হদুয়া দরবার শরীফ।পূর্ব দিকে সুবিদপুর ইউনিয়ন,উত্তর দিকে কুলকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ।মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদ,নলছিটি উপজেলা হতে ১৫ কি:মি: দক্ষিনে অবস্থিত।
২. ইউনিয়নটির গুরুত্ব
এই ইউনিয়ন রয়েছেন দুইজন জাতীয় সংসদ সদস্য’র বাড়ি মরহুম জনাব মকিম হোসেন ও জনাব জুলফিকার আলী ভূট্রো দুজন এমপি বেশ প্রভাবশালী ছিলেন । এছাড়াও এই ইউনিয়নটিতে আছে নলছিটি উপজেলা পরিষদের জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নিরপেক্ষ নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার জি,কে মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনেক রাজনৈতিক, শিল্পপতি ও সরকারী আমলা । আধুনিক নলছিটি ও মোল্লারহাটের স্বপ্নদ্রষ্টা জুলফিকার আলী ভূট্রো এমপি এই ইউনিয়নটিকে বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সাথে সংযোগ করে দিয়েছেন পাশা-পাশি করেছেন বরিশাল বিভাগের সাথে যোগাযোগোর ৩টি রাস্তা । মোল্লারহাট বাজারের পাশ ঘেসে যে নদীটি বয়ে গেছে সেটি মোল্লারহাট ও বাকেরগঞ্জকে আলাদা করেছে । এই নদীর উপরে আছে একটি বেলী ব্রীজ যেটি বিনোদন প্রেমীদের জন্য অন্যান্ত প্রিয় স্থান।
৩. পিকিনিক স্পট
বরিশাল বিভাগের অদূরে তেমন কোনো বিনোদন বা পিকনিক স্পট নেই । এই ইউনিয়নটি হতে পারে বিনোদনের জন্য একটি প্রাণ কেন্দ্র । ইতিমধ্যে নলছিটিতে আছে বরিশালের অন্যতম বড় মাঝের ঘের যা কবির জোমাদ্দারের ঘের নামে পরিচিত । মোল্লারহাট একটি বিনোদন কেন্দ্র হলে পর্যটন প্রেমিদের জন্য সেটি হবে একটি পয়েন্ট । যদিও জুলফিকার আলী ভূট্রো শিশু পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের উদ্যোগ নিলেও তার মৃত্যুর পরে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি ।
৫. যেসকল সুযোগ কাজে লাগানো যাবে
এই ইউনিয়নে রয়েছে, জুলফিকার আলী ডিগ্রী কলেজ যেটি মনোরম পরিবেশ অবস্থিত, ক্যাম্পাসটিও বেশ সুন্দ। আরো আছে খ্রীষ্টানদের অন্যতম একটি ঐতিয্যবাহী গীর্জা যেখানে অনেক ভ্রমন পিপাষু মানুষ আসেন যেটি খ্রীষ্টান পাড়া হিসাবে পরিচিত । মোল্লারহাট বেলী ব্রীজ থেকে রাজাবাড়ীয়া নদীর পারে যে রাস্তাটি রয়েছে যেটি হতে পারে পর্যটকদের মনোরম পরিবেশ। প্রয়োজন কিছু উদ্যোগ । এজন্য প্রয়োজন নদীর পারের রাস্তটি বিশেষ কিছু গাছ দিয়ে সাজানো নদীর মাঝে মাঝে ইকো পার্ক, ছোট রেস্টুরেন্ট, ছোট ছোট ব্রীজ ।
রাজাবাড়িয়ায়ে একটি বেলী/ঝুলন্ত ব্রীজ যেটি বাকেরগঞ্জ’র চামটা ও বরগুনার বেতাগীকে সংযুক্ত করবে । এর পরে বর্তমান গুচ্ছগ্রামে একটি পিকনিক স্পট, রাজাবাড়িয়ায় ইকোপার্ক ও পিকনিক স্পট । মোল্লারহাট থেকে রাজাবাড়ীয়া ঘোড়ার গাড়ি, নদীতে নৌকা ও স্পীডবোটের ব্যবস্থা করা । বিশেষ করে দূরের ভ্রমণ পিপষুদের জন্য মোটেলের ব্যবস্থা করা । যেহেতু এই রাস্তার মাঝ বরাবরে মোল্লারহাট পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে তাই নিরাপত্তার জন্য আলাদা ব্যবস্থার প্রয়োজন হবেনা । যেহেতু নদীর পারে ইউনিয়নটি হতে পারে ব্যবসার জন্য প্রাণকেন্দ্র ।
এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগ গ্রহন করলে ইউনিয়নটি হতে পারে একটি পর্যটন কেন্দ্র ।
মোর দাদায় চহিদার; মো: জহিরুল ইসলাম
ভালো থেকো প্রিয়;মোঃ জহিরুল ইসলাম
সরকারি চাকুরে ছাড়া ভালো নেই কেউ
ভিডিও দেখুন https://www.youtube.com/watch?v=iX3TGtVs-NA&t=34s