এনজিওদের জবাবদিহীতা
বাংলাদেশের এনজিও সমিকরণ
মার্চ ০৯ ২০২১, ১০:২৮
বাংলাদেশের এনজিও সমিকরণ ।
আজকের ঝলক :
বাংলাদেশে বর্তমানে আড়াই লাখ এনজিও আছে যেখানে কাজ করছেন লক্ষ লক্ষ এনজিও কর্মী । প্রতিদিন এনজিওগুলী কর্মীদের মাধ্যমে বিনিয়োগ ও আদায় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা । এনজিও কর্মীরা নিজেরাও জানেন তাদের মাধ্যমে মাসে কত টাকা লাভ করে সংস্থা গুলো । খুবই নগন্য সংখ্যক এনজিও কর্মীদের টাকা নিয়ে ঝামেলা থাকলেও । প্রায় ৯৯ ভাগ কর্মীই সততার সাথে কাজ করছেন । তবে এনজিও কর্মীদের ভাগ্যের তেমন কোন উন্নয়ন হচ্ছে না ।
অনেক এনজিও কর্মী চাকুরী ছেড়ে দেয়ার পরে আর্থিক লেনদেনের সাথে যুক্ত থাকায় ঝামেলার শিকার হচ্ছেন । তাই কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোড়দার করা জরুরী । যেমন বেতন নির্ধারণ, বাৎসরিক পারফরমেন্স এর আলোকে বেতন নির্ধারণ, ছুটি ও কর্মী পদত্যাগ করলে চুড়ান্ত ছাড়পত্র ও ফাইনাল অর্থ প্রদানের নির্ধারিত সময়সীমা থাকা দরকার ।
সকল এনজিওদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভালো :
প্রতিটি এনজিওর লক্ষ্য উদ্দেশ্য অত্যান্ত মহৎ তবে এনজিও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে অধিকাংশ এনজিওগুলো মালিকানায় পরিনত হয় । যদিও আইনে বলা আছে এনজিওর মালিক হলো সকল সদস্য তবে তা কাগজ কলমেই । পরিতাপের বিষয় হলো বাংলাদেশের অধিকাংশ এনজিও মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করে এবং মাঝে মাঝে মানবাধিকার ক্ষুন্ন করার অভিযোগও ওঠে ।
তদারকির অভাব :
প্রশ্ন হলো কেন এমন হয় এর প্রধান কারণ হলো তদারকির অভাব মনিটরিং’র অভাব । বিদেশী এনজিওগুলো যেখানে মানবীয় নীতিতে মনোযোগী সেখানে দেশীয় এনজিওগুলো ব্যবসায় মনোযোগী । দাতা সংস্থা মানবিক উন্নয়নে প্রজেক্ট করলেও দেশের এনজিওগুলো তা সঠিক ভাবে অর্জন করতে পারেনা । যদিও বেশ কিছু এনজিও আছে যারা তাদের তাদের কাজের গুনগতমান নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় ।
নিতে হবে সরকারি পদক্ষেপ :
কথা হলো এসব নিরসনের উপায় কী ? এর নিরসনের উপায় হলো । এনজিও বিষয়ক আইন তৈরী, সংশোধন করা । ক্ষুদ্র ঋনের জন্য আদালাদা নীতিমালা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার জন্য আলাদা নীতিমালা তৈরী করে সকল এনজিওদের একটি নিয়মের মধ্যে আনা যাতে তারা এনজিওকে একটি প্রতিষ্ঠান মনে করে সম্পত্তি মনে না করে ।
এনজিও সদস্য ও কর্মীদের নিরাপত্তা জরুরী :
এনজিওদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য চাকুরি বিধি করা উচিত যদি কোনো এনজিও বাতিল হয়ে যায় বা বিলুপ্ত হয়ে যায় তার দায়ভার ও দায় দায়িত্ব সরকারকে বহন করা । যদি এরুপ হয় তাহলে গ্রহকদের হয়রানী ও কর্মীরা তাদের চাকুরির নিরাপত্তা বোধ করবে ।
এনজিও বিষয়ক মন্ত্রনালয় প্রয়োজন
https://www.youtube.com/watch?v=-RdGkTO-D2Y&list=RDMM-RdGkTO-D2Y&start_radio=1