নলছিটিতে কুশঙ্গল নিকারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই দিনে তিন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট) ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন শিক্ষককে নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান স্বপন স্বাক্ষরিত ওই শোকজ নোটিশে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কুশঙ্গল নিকারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সহকারি শিক্ষিকা আয়শা আক্তার শান্তা ও সাবিহা সুলতানা অফিস কক্ষে বসে আছেন। তবে কোনো শিক্ষার্থীই বিদ্যালয়ের উপস্থিত ছিল না তখন।
শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সেলিম হোসাইন, সহকারি শিক্ষক মো. ফেরদৌস সর্দার ও নাজমা বেগম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না। মাঝে মধ্যে আসলেও দেরিতে আসেন। সঠিক সময়ে শিক্ষকরা না থাকলে দুষ্টুমি আর মারামারি করে থাকে। এ অবস্থায় এলাকার বাইরে শিশুদের পড়ালেখা করানোর চিন্তা করছেন অনেক এলাকাবাসীরা। তবে হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে তাদের সন্তানকে অন্য জায়গায় পড়ালেখা করানোর ক্ষমতা না থাকায় বাধ্য হয়ে এ স্কুলে পড়াতে হচ্ছে।
কুশঙ্গল নিকারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সেলিম হোসাইন, এটিও স্যারের কাছে আমার ছুটির আবেদন দেয়া ছিল। আর সহকারি শিক্ষিকা নাজমা বেগম ছুটি চাওয়ায় তাকে মৌখিকভাবে ছুটি দিয়েছি। ফেরদৌস নামে অপর সহকারি শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বাড়ি চলে গেছেন।
তবে প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকা অবস্থায় সহকারি শিক্ষকদের ছুটি দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান স্বপন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে এরই মধ্যে শোকজ করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।