ভ্যালু ইনোভেশন থিওরি প্রয়োগের মাধ্যমে

ক্ষুদ্র ব্যবসা উন্নয়ন যেভাবে সম্ভব !!

Spread the love

ভ্যালু ইনোভেশন থিওরি প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরের উন্নয়ন।

ভ্যালু ইনোভেশন থিওরি, যা ব্লু ওশেন স্ট্র্যাটেজির অংশ, প্রতিষ্ঠানের জন্য এমন নতুন পদ্ধতি নির্ধারণ করে যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বাজারে প্রতিযোগিতা ছাড়াই মানসিদ্ধান্ত করতে পারে। ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরে ভ্যালু ইনোভেশন প্রয়োগ করলে গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী এবং সহজে প্রাপ্তিসাধ্য সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে, যা তাদের আর্থিক জীবনমান উন্নত করতে সাহায্য করবে। ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরে ভ্যালু ইনোভেশন থিওরি প্রয়োগের মাধ্যমে নতুনত্ব এবং কৌশলগত চিন্তাভাবনার সাথে সেবা প্রদান করা সম্ভব। গ্রাহকের প্রয়োজন ও সেবার গুণগতমানের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নত করার জন্য কিছু কৌশল নিম্নে তুলে ধরা হলো-

১। লক্ষিত গ্রাহক এবং প্রয়োজনীয়তার নির্ধারণ- প্রথমেই, ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরে ভ্যালু ইনোভেশন প্রয়োগ করতে হলে লক্ষিত গ্রাহকের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নির্ধারণ করতে হবে। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তা এবং তাদের চাহিদা সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপ, ক্ষুদ্র কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, গৃহিণী, এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদাগুলো ভিন্ন হয়; তাই সেবার বৈচিত্র্য এবং সহজে প্রবেশযোগ্য সেবা প্রদান প্রয়োজন।

২। ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি – ডিজিটালাইজেশন ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরে খরচ এবং সময় উভয়ই সাশ্রয় করতে সহায়ক। মোবাইল ব্যাংকিং এবং অনলাইন ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়াগুলি সহজতর করা যেতে পারে, যা গ্রাহকদের সেবা প্রাপ্তি সহজ করে এবং সেক্টরটিকে লাভজনক করে তোলে। তদ্ব্যতীত, এই ডিজিটাল সেবা দ্রুততার সাথে ঋণ প্রদান ও পরিশোধে সহায়ক হয়, যা গ্রাহকদের সাশ্রয়ী উপায়ে অর্থ সঞ্চয় করতে সাহায্য করে।

৩। সহজ শর্ত এবং স্বল্প সুদের হার – ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঋণের উচ্চ সুদের হার এবং কঠোর শর্তাবলী। ভ্যালু ইনোভেশন থিওরি প্রয়োগ করে সহজ শর্ত এবং স্বল্প সুদের হার নির্ধারণ করা সম্ভব যা গ্রাহকদের জন্য ঋণগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করে।

৪। নতুন পণ্য ও সেবা উদ্ভাবন – ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরে নতুন ধরনের ঋণ পণ্য এবং নন-ফিনান্সিয়াল সেবা তৈরি করে ভ্যালু ইনোভেশন সম্ভব। যেমন, কৃষি ঋণ, শিক্ষা ঋণ এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ তৈরি করা যেতে পারে। এছাড়া, গ্রাহকদের ব্যবসা পরিচালনা ও আর্থিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করা যেতে পারে, যা তাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়তা করবে।

৫। সেবার স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি – ভ্যালু ইনোভেশন প্রয়োগে সেবার স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরের ওপর গ্রাহকের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। সঠিকভাবে তথ্য প্রদান, অনলাইন সেবা ও অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের আপডেট রাখা এবং যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান করা গেলে সেক্টরের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

৬। সামাজিক প্রভাবের ওপর গুরুত্ব প্রদান – ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরের মূল উদ্দেশ্য শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, বরং সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো। ভ্যালু ইনোভেশন প্রয়োগ করে গ্রাহকদের জীবনের আর্থিক ও সামাজিক মান উন্নত করা সম্ভব, যা সেক্টরটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। ভ্যালু ইনোভেশন থিওরি প্রয়োগ করে ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরে এমন কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করা সম্ভব, যা গ্রাহকদের আর্থিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সাশ্রয়ী সেবা প্রদান করবে। গ্রাহকের জন্য নতুন সুযোগ এবং অধিক মানসিদ্ধান্ত প্রদান করে সেক্টরটি আর্থিক এবং সামাজিকভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারে। এই থিওরির মাধ্যমে অর্থায়ন সেক্টরের কৌশলগত চিন্তাভাবনা উন্নত করা সম্ভব, যা সেক্টরটির দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

আরো পড়ুন এনজিওর গাফেলতিতে জেলে কাটল দুই ব্যবসায়ির ঈদ

ঋণের ভার সইতে না পেরে আত্মহত্যা

ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস কে জানুন

কার্টেসী: মোঃ পেয়ারুল ইসলাম চৌধুরী।

 

এ মাটি নয় জঙ্গীবাদের এ মাটি মানবতার, এ মাটি নয় জঙ্গীবাদের । গানের লিরিক্স ।.



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »