বেতারের সুরকার/প্রযোজক হলেন জহিরুল ইসলাম
মে ২০ ২০২৪, ১৭:১৮
আজকের ঝলক নিউজ
বাংলাদেশ বেতারের সুরকার/প্রযোজক (সংগীত) হলেন মো: জহিরুল ইসলাম
একজন সংগঠক, দাতা, উদ্দ্যোক্তা, সংগীত শিল্পী , লেখক ও কর্মজীবী মানুষের সাথে আর একটি সম্মোধন যুক্ত হলো তা হলো সুরকার প্রযোজক (সংগীত) বাংলাদেশ বেতার ।
একজন মানুষ নানাগুনে গুনান্বিত হতে পারেন তার বাস্তব উদাহরন, মোঃ জহিরুল ইসলাম, তার ডাকনাম রাজু , ঠিকানা: গ্রাম ও পোষ্ট অফিস কাটাখালী, মোল্লারহাট বন্দর উপজেলা নলছিটি, জেলা ঝালকাঠী, গ্রামে তাকে সবাই রাজু নামেই চেনেন।
ব্যতিক্রম কর্মকান্ড গুলো বর্ননা করেন তার এক বন্ধু তিনি জানান ‘‘রাজু মোল্লারহাটে সর্ব প্রথম ক্রিকেট টুর্নমেন্টের আয়োজন করেন, তখন ক্রিকের যাত্রা শুরু হয় গ্রাম পর্যায়ে। সে টেলিটক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ক্যম্পেইন প্রোগ্রাম নাটিকায় অংশ গ্রহন করেন, যদিও পড়ালেখার জন্য তিনি সে কাজটি চলমান রাখেনি। সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলেও পরাশুনার জন্য ছিলো একটু আলাদা তাইতো সকল বন্ধু বান্ধবদের মধ্যে মানবিক বিভাগে জেড এ ভুট্রো ডিগ্রী কলেজ থেকে একমাত্র ১ম শ্রেণীতে উক্তিন্য হয় সে। এর পরে বিএম কলেজের যাত্রা শুরু, ছাত্র জীবনে সে বিএম কলেজ শাখায় বিএনসিসি’র নৌ শাখায় ক্যাডেট হিসাবে ভর্তি হয়, গানে সুরে আর কমান্ডে মাতিয়ে রাখতেন পুরো টীম কে । সে খুলনায় নৌ বাহিনীর ক্যম্পে ২১ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহন করে এবং তৃতীয় সারির সৌনিক হিসাবে দেশের খাতায় নাম লেখান। ২০০৪ সালে তিনি বাংলাদেশ বেতার বরিশাল কেন্দ্রে পল্লীগীতি কন্ঠ শিল্পী অডিশন পরীক্ষায় পাশ করে কনিষ্ট শিল্পী হিসাবে নাম লেখায়। একাধারে চলতে থাকে বাংলাদেশ স্কাউটের সাথে কর্মকান্ড, সে বাংলাদেশ স্কাউট চারণ কবি মুকুন্দ দাস মুক্ত রোভার দলের সিনিয়র রোভার মেট ছিলো ৪ বছর এসময় সে বাংলাদেশ স্কাউট কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যপি জীবন দক্ষতা কোর্সের দক্ষ প্রশিক্ষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে। তিনি বাংলাদেশ লোক সংগীত পরিষদ বরিশাল বিভাগীয় কমিটির প্রচার সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন দক্ষতার সাথে একাধারে একই প্রতিষ্ঠানে সংগীত চর্চা করেন, তার সংগীত গুরু বরিশালের বিখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী ও ওস্তাত নুরুল আমিন চৌধুরী।
তার সাথে আলোচনার মাধ্যমে জানা যায় তার সকল ছাত্রদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম রাজু বেশ প্রিয়। এমনি করে তার বন্ধু- বান্ধব পরিবারের ভাই, বোন, ভাবী আত্নীয় স্বজন সবার কাছেই প্রিয় জহিরুল ইসলামের কাছে জানতে তিনি বলেন , ‘‘স্বার্থহীন, পক্ষপাতহীন, অণ্যের ক্ষতি ও কারো অমঙ্গল না করলেই সকলের কাছে প্রিয় থাকা সম্ভব। শিক্ষা জীবনে তিনি সংগীত, সংগঠক, লেখক হিসাবে অনেক পুরুস্কার পেয়েছেন। তিনি ২০০৪ সাথে স্মৃতি সুখের বা দূখের হোক নামে একটি উপন্যাস লেখেন যা বেশ জনপ্রিয় ছিলো।
কর্মজীবনে বেসরকারী সেচ্ছাসেবী একটি প্রতিষ্টানে শিক্ষা কার্যক্রমে উপজেলা টীম লিডার হিসাবে কাজ শুরু করেন এবং যতদিন যেখানে কাজ করেছেন সেখানে শিশুদের ছড়া, আনন্দময় শিক্ষাসহ বিভিন্ন মজার গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন।
তিনি কর্ম জীবনে ১২ বছর ভোলায় কাটিয়েছেন এবং ২০২১ সালে বরিশালে যোগদান করার পরে তিনি বরিশাল শিল্পকলা, নাট্যম, নজরুল সাংস্কৃতিক জোট, ঈসান সংগীত একাডেমীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন।
তিনি বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠানে আইন সহায়তা প্রকল্পে প্রকল্প প্রধান হিসাবে কাজ করছেন। সাম্প্রতি তাঁর একটি বই বরিশালে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তার নাম ’’বরিশাল বিভাগের তথ্য কণিকা’’ এই বইটিতে বরিশাল কে পরিচিতি করানো হয়েছে এবং জরুরী টেলিফোন নম্বরগুলো যুক্ত করা হয়েছে।
মানুষের মঙ্গলে কাজ করে যাওয়াই তার ব্রত বলে জানান এই নতুন সুরকার।
আরো পড়ুন