শিক্ষকদের শতভাগ বোনাস নয় কেনো ?

বেসরকারী শিক্ষকদের শতভাগ বোনাস !

Spread the love

আজকের ঝলক ‘:

দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারী শিক্ষকরা জাতীয়করণসহ নানাবিধ বৈষম্য নিয়ে শান্তিপ্রিয় আন্দোলন করে আসছে ।

বর্তমানে বেসরকারী শিক্ষকদের শতভাগ বোনাস বিষয় আন্দোলন করে আসছেন । কেউ কেউ বোনাস ও ভাতার টাকা ফেরৎ দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন । গত ২৮ মার্চ ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১’ জারির পর শতভাগ বোনাস পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।

এ বিষয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য :

এ পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শতভাগ বোনাস দিতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। নীতিমালায় শতভাগ উল্লেখ করতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হতো।

মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী উৎসব ভাতা পাবেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। বিদ্যমান যা আছে তা নিয়ে কিছু করিনি। সেটি এই নীতিমালায় আনা হয়নি। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারের সর্বশেষ নীতিমালা যা রয়েছে সেটাই। বেতন পাবেন জাতীয় বেতন স্কেলেই। তবে শতভাগ বোনাস দিতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। এই নীতিমালার মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে পারবো না। নীতিমালায় একটি সাধারণ গাইডলাইন তৈরি করেছি, কীভাবে এমপিওভুক্ত করা হবে। আর্থিক বিষয়ে বলা হয়েছে, সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আর নীতিমালার ‘শিক্ষক ও কর্মচারীদের (স্কুল ও কলেজ) বেতন-ভাতা নির্ধারণ’ অনুচ্ছেদের ১১.৭-এর ‘ঙ’ অংশে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতন/বোনাসের নির্ধারিত অংশ/উৎসব ভাতার নির্ধারিত অংশ/বৈশাখী ভাতার নির্ধারিত অংশ সরকারের জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫/সরকারের সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে অথবা সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে মিল রেখে করতে হবে।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে সরকারের সর্বশেষ নির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১’। এছাড়া নতুন করে নির্দেশনা জারি করতে হবে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, যেহেতু ‘করতে হবে’ শব্দ উল্লেখ রয়েছে সেহেতু মন্ত্রণালয় নতুন নির্দেশনা জারি করলেই উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান হয়ে যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে ১৫ দিনের বেশি সময় লাগবে না। এটা মন্ত্রণালয় আন্তরিক হলেই সম্ভব।

অন্যদিকে

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর মার্চে সরকারি আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর তাদের কপালে দুশ্চিন্তার যে ভাঁজ ফেলেছে তা দূর হয়নি আজও। তাদের মানবেতর জীবনের কথা প্রায়ই পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ পায়। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কেউ তাদের অসহায়ত্ব দূর করার উদ্যোগ নেয়নি।

দেশে প্রায় ৬০ হাজার কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে প্রায় ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ শিক্ষক রয়েছেন। এসব শিক্ষক চরম বিপাকে পড়েছেন। মহামারীর কারণে ৩৭ হাজারেরও বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দুই লাখেরও বেশি নন-এমপিও শিক্ষক সংকটে পড়েছেন।

ডিপিএড সনদ জমা দিতে আগ্রহ নেই অনেক শিক্ষকের

https://www.youtube.com/watch?v=CHVk90rFvQU&t=11s

 



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »