আসছে নির্বাচনে “না” ভোট অপশন চাই

Spread the love

আজকের ঝলক নিউজ

আগামী নির্বাচনে ভোটারদের জন্য “না” ভোটের ব্যাবস্থা জরুরি – মোঃআজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন
৫ জানুয়ারি ২০১৪ সাল ও ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যে দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।সকলের অংশ গ্রহণে নির্বাচনটি যেমন সর্বাঙ্গ সুন্দর হতে পারতো তা হয়নি,বিশেষ করে বড় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলো ২০১৪ নির্বাচনের ফল কি দাঁড়ালো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন এমপি।
এর মূল কারণ হচ্ছে – বাংলাদেশ যে নির্বাচন কমিশন আইন আছে সেখানে বলা আছে,একজন জনপ্রতিনিধির নির্বাচনী এলাকায় যত ভোট পড়বে তার শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট যদি কোন প্রার্থী না পায় তাহলে তার প্রার্থীতার সঙ্গে জমা দেওয়া জামানত টাকা বাজেয়াপ্ত হবে কিন্তু সেই আইনে লিখা নাই একজন জনপ্রতিনিধি কে কত পার্সেন্ট ভোট পেতে হবে একজন প্রার্থী যদি তার এলাকায় মোট ভোটের ৫১ % ভোট না পায় তাহলে কি তার জনপ্রিয়তা আছে প্রমাণ করে।
একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন নীতিমালা ও পদ্ধতি পরিবর্তন জরুরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দেশের সুশীল সমাজ, পেশাজীবি, শিক্ষক সমাজ সহ সকলে সাথে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় করছেন।আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হয় এবং জনগণের আস্থা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়।
৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে দেশের জনগণ যখন জানতে পারলো আওয়ামী লীগ এবং মহাজোটভুক্ত অন্যান্য দলকে ভোট দান করা ছাড়া তাদের কাছে আর অন্য কোনো প্রার্থী নেই -ভোটারারা সেই নির্বাচনে আর আগ্রহ দেখায়নি ভোটহীন নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থী কে নির্বাচিত
ঘোষণা করা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের আর কিছুই করার ছিলো কারণ আইনে নেই একজন জনপ্রতিনিধি কে কত পার্সেন্ট ভোট পেতে হবে?
ধরুন একটি নির্বাচনী এলাকায় যারা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তাদের কাউকেই ভোটারের পছন্দ না হলে সে কি করবে? ভোটাররা তা ব্যালট পেপার বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে জানাতে পারবেন?
ভোটাররা কি জানাতে পারবে- এই প্রার্থীদের মধ্যে কেউই নন!
আগামী নির্বাচনে যদি ভোটারদের প্রার্থী পছন্দ না হয় তাহলে তাদের ঘরে বসে থাকা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না হয়তো আবার ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হয়ে যাবেন!
কারণ ভোটারের কাছে ভোট কেন্দ্র গিয়ে সেই প্রতিবাদ জানানোর বৈধ রাস্তাটাই নেই।যদি থাকতো একজন ভোটার তার মনে ক্ষোভটা অন্তত প্রকাশ করতে পারতো আর এ-ই দেশের যারা নিজেদের কে জনগণের সেবক বলে সারাক্ষণ বয়ান দেন তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই হয়ে যেতো।
ভিডিও দেখুন https://www.youtube.com/watch?v=CshhbHuIvzE&t=7s



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »