৭৪ শতাংশ মানুষ ক্ষুদ্র ঋণের উপর নির্ভরশীল
জুন ২৫ ২০২২, ১২:৪২
‘‘দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ ক্ষুদ্র ঋণের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ করোনার সময়ে গ্রামীন অর্থনীতি ভেঙে পড়েনি এই ক্ষুদ্র ঋণের কারণে। গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষুদ্রঋণ জিডিপিতে ১৪% অবদান রাখছে। বাংলাদেশের এনজিওগুলো মাসে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা প্রোটফলিও। অথচ সরকারীভাবে এখনো ক্ষুদ্রঋণের তেমন কোনো স্বীকৃতি নেই। এমনকি ক্ষুদ্রঋণের সাথে কর্মরতদের পেশার কোনো সংজ্ঞা নেই এবং রাষ্ট্রের কোনো দলিলে তার উল্লেখ নেই। সময় হয়েছে জাতীয় বাজেটে ক্ষুদ্রঋণের স্বীকৃতি প্রদান ও এনজিও পেশার সংজ্ঞা প্রদান করার। এজন্য এমএফআই ও পিকেএসএফ’র ভ‚মিকা ব্যাপক’’- তারেক সাইদ হারুন
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৫০ বছর। সে হিসেবে দেশের অর্থনীতি যতটা শক্ত-সামর্থ্য থাকার কথা ছিল, তা হয়নি। তবে আশার কথা, গত দু’দশকে দেশের অর্থনীতিতে একটি বিপ্লব হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দরিদ্র অর্থনীতির উত্তরণ ঘটিয়ে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এ উন্নয়নের পেছনে গার্মেন্ট ও বৈদেশিক রেমিটেন্সের পাশাপাশি যে খাতটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, তা হচ্ছে এনজিও ও এমএফআইয়ের ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা। জাতীয় বাজেটে এনজিও পেশার স্বীকৃতি দিন
দেশব্যাপী প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠান দারিদ্র্য নিরসনের লক্ষ্যে প্রায় ৩ কোটি দরিদ্র, হতদরিদ্র ও নি¤œ আয়ের মানুষকে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করেছে। এ ক্ষুদ্র ঋণপ্রাপ্ত পরিবারগুলো উৎপাদন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম যেমন হাঁস-মুরগির ফার্ম, ডেইরি ফার্ম, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প, সবজি বাগান, মাছ চাষ, দোকান ইত্যাদি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করে নিজেরাও যেমন স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে, তেমনই দেশজ উৎপাদনেও সহায়কশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
ফলে যেসব পরিবার দরিদ্র ও হতদরিদ্র ছিল তাদের এক বিশাল অংশেরই দারিদ্র্য নিরসন হয়েছে। আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি কেউ কেউ অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। ভিক্ষাবৃত্তি ও মহাজনি ঋণগ্রস্থ হাত স্বাবলম্বী কর্মীর হাতে পরিণত হয়েছে।
এভাবেই দেশজ উৎপাদন ও দারিদ্র্যের হার কমে যাওয়ায় জাতীয় অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার ছেড়ে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তাই ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহন করা খুবই জরুরী।
তথ্য ও প্রতিবেদন
মো: জহিরুল ইসলাম