এনজিওগুলোর অনেক অসহায়ত্ব আছে
জুন ২০ ২০২২, ১১:১৩
প্রসঙ্গ পত্রিকার হেডলাইন: “ঘরে খাওন নাই, কিস্তি দিমু ক্যামনে” ?
অভিযোগ খুবই গুরুতর! নিজে এনজিওতে চাকরি করি, সেই এনজিও আবার ঋণ দেয়- তাই এ ধরণের খবর পড়লে দুঃখ তো হয়ই, ভীষণ লজ্জায় পড়ে যাই।কোন এনজিও যদি এই বন্যার সময়ও কিস্তি আদায় করতে যায়, সেটা অন্যায় অবশ্যই। কিন্তু এটা যেন কোনভাবেই না হয় এ জন্য তো শুধু এনজিওটির উপর সব দায় চাপিয়ে দিলে হবে না। এক্ষেত্রে এনজিওগুলোর অনেক অসহায়ত্ব আছে, যে বিষয়গুলো সামনে আসে না।
যেমন বেশিরভাগ এনজিওই গ্রামে লোন দেয় অন্য কারও কাছ থেকে লোন এনে। এক্ষেত্রে একটা বড় প্রতিষ্ঠান হলো পিকেএসএফ এবং বেশ কিছু ব্যাংক। সাধারণত কোন একটা এলাকায় কিছু সমস্যা হলেই স্থানীয় পর্যায়ে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার দাবি করা হয়, কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে কিস্তি বন্ধ হলে এনজিওগুলো পিকেএসএফ বা ব্যাংকের কিস্তি দেবে কোত্থেকে? সুতরাং সরকার বা প্রশাসনের উচিত হলো এধরণের দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার এনজিওদের কাছ থেকেও যেন কিস্তি আদায় না করা হয় সে ব্যাপারে পিকেএসএফ, ব্যাংকসহ সংশিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া আগে। এটা হলে এনজিওগুলো কিস্তি আদায় তো করবেই না, বরং যার যা আছে তাই নিয়ে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এরকম উদাহরণ আছে অনেক। চামড়ার উপরে দেখা যায় এমন রোগের চিকিৎসা প্রকৃত চিকিৎসা নয়, দূর করতে হবে রোগের আসল কারণ!
লেখক,
মো: মজিবুল হক মুনির।